ধোনির পরামর্শ বিরাটের কাছে গুরুত্বপূর্ণ: সচিন

টিম অব দ্য ডিকেড

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক:  ধোনির পরামর্শ ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ বিরাটের জন্য? বিশ্বকাপের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। এবার আবার ফেবারিটদের তালিকায় অনেকটাই ওপরে রয়েছে কোহলি ব্রিগেড। ইংল্যান্ডে শুরু হতে যাওয়া এবারের বিশ্বকাপে ভারতের পারফরমেন্সের অনেকটাই যে ক্যাপ্টেন কোহলির ওপর নির্ভর করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের পারফরমেন্স দেখে অনেকেই নেতা কোহলির সমালোচনা করেছিলেন। প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন দল পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতা নিয়েও। সে প্রসঙ্গে কোহলি এবার পাশে পেয়ে গেলেন খোদ শচীন তেন্ডুলকারকে। পাশাপাশি বিশ্বকাপে ধোনির পরামর্শ বিরাটের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেতা কোহলির রেকর্ড যথেষ্টই আকর্ষণীয়। তবে উইকেটের পিছন থেকে ধোনি যেভাবে কোহলিকে বা জুনিয়র বোলারদের পরামর্শ দেন, সেটা যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন শচীন। তাঁর কথায়, ‘‌উইকেটকিপার পুরো মাঠকে ব্যাটসম্যানের মতো করে দেখতে পায়। তাছাড়া উইকেট কেমন আচরণ করছে সেটাও ভালভাবে বুঝতে পারে। তাই যে কোনও পরিস্থিতিতে ম্যাচে উইকেটকিপারের দেওয়া তথ্য অধিনায়ক বা বোলার সকলের কাছেই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আর সেটা ধোনির মতো অভিজ্ঞ কেউ হলে তো বোনাস হয়ে যায়।’‌

আইপিএলের মতো টি২০ ফরম্যাটে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সঙ্গে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টা গুলিয়ে ফেলতে নারাজ শচীন। পাশাপাশি আরসিবি–র পারফরমেন্স দিয়ে ক্যাপ্টেন কোহলিকে বিচার করার পক্ষপাতী নন বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। শচীনের কথায়, ‘‌প্রথমত আইপিএলের সঙ্গে আমি আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের হয়ে খেলাকে গুলিয়ে ফেলতে চাই না। দুটো আলাদা ফরম্যাট। একটা টি২০ ক্রিকেট। যেখানে বিদেশি ক্রিকেটাররাও তোমার দলে থাকে। অন্যটায় সকলেই তোমার জাতীয় দলের সদস্য। সুতরাং আমি দুটোর তুলনা টানতে চাই না। তবে নেতা বিরাট বরাবরই একনিষ্ঠ।’‌

বিশেষজ্ঞদের মতে ব্যাটিংয়ে ধাওয়ান, রোহিত, কোহলির ওপর ভারতীয় দল নির্ভরশীল। শচীন যদিও এই তত্ত্ব মানতে নারাজ। বলেন, ‘‌এমনটা আমি মনে করি না। কোনও এক বা দুজন ভাল কিছু করল সেটা ঠিক আছে। কিন্তু টুর্নামেন্টে ভাল কিছু করতে গেলে বাকিদেরও সমানভাবে পারফর্ম করতে হবে। কারণ কোনও একজনের অবিশ্বাস্য পারফরমেন্সের ওপর নির্ভর করে এক–দুটো ম্যাচ জেতা যায়। খুব বেশিদূর এগোনো সম্ভব নয়।’‌ ইংল্যান্ডে বিরাটদের ফেবারিট তকমা পাওয়া প্রসঙ্গে শচীনের অভিমত, ‘‌সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের ওপর ভিত্তি করেই ক্রিকেট দুনিয়া বিশ্বাস করছে বিশ্বকাপে ভারত দারুণ কিছু করবে। এটা অবশ্যই দারুণ ব্যাপার। এই আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে এগিয়ে যাওয়াটা খুব জরুরি। পাশাপাশি অতীত ঝেড়ে ফেলে এখানে নতুনভাবে শুরু করতে হবে, এটাও মাথায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফোকাস ধরে রেখে সেরাটা দিতে হবে। আমার বিশ্বাস ভারতীয় দল বিশ্বকাপে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করে দারুণ কিছু করে দেখাবে।’‌

দেশের জার্সিতে তিনি ছয়বার বিশ্বকাপ খেলেছেন। নিঃসন্দেহে সেরা মুহূর্তের তালিকায় এক নম্বরে ২০১১ সালে বিশ্বকাপ হাতে তোলা। সেটাকে পাশে রেখে বিশ্বকাপের স্মরণীয় মুহূর্ত বাছতে বসে শচীনের স্মৃতিচারণ, ‘‌২০০৩ সালে সেঞ্চুরিয়নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ। এই ম্যাচে আমরা যেভাবে পারফর্ম করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলাম, সেটা মনে রাখার মতো। ম্যাচের পর সেলিব্রেশনটাও। মনে আছে, সেদিন দেশবাসী কীভাবে সেলিব্রেশনে মেতেছিল কয়েকজন বন্ধু ফোন করেও বলেছিল। নিঃসন্দেহে ওটা স্পেশ্যাল।’