কোহলি আর স্মিথের নতুন ফ্যান কী বলছেন বিশ্বকাপের আগে

কোহলি আর স্মিথের নতুন ফ্যান

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কোহলি আর স্মিথের নতুন ফ্যান তিনি। আইপিএলে খুব কাছ থেকে দেখেছেন দু’‌জনকে। স্টিভ স্মিথ তাঁর নিজের দল রাজস্থান রয়্যালসেই ছিলেন। আর বিরাট কোহলি ছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে। তাই বেন স্টোকস খুব ভাল করে জানেন, এই দুজন কোন ধাতুতে গড়া। ভক্ত হয়ে গিয়েছেন এই দুজনের।

ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘‌দুজনেই অসাধারণ। দুজনকেই প্রচুর খেলতে দেখেছি। ওদের খেলা দেখলে মনে হয়, বাকিদের থেকে ওদের কাছে ক্রিকেটটা কত সহজ। আমি দুজনেরই বিরাট ভক্ত হয়ে গিয়েছি। দুজনের খেলার ধরন আলাদা। কিন্তু দুজনেই অসম্ভব কার্যকরী।’‌ দুজনকে দেখে এতটাই মুগ্ধ হয়েছেন স্টোকস যে, বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে হারতে হলেও ভাল লাগবে তাঁর। বলেন, ‘‌বিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামা মানে একটাই লক্ষ্য থাকে, তাদের হারানো। কিন্তু আমার কাছে ওদের জন্য ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। আমি ক্রিকেট ভালবাসি। তাই যেভাবে ওরা ধারাবাহিকভাবে দলকে জিতিয়ে ফেরে, সেটা দেখতে ভাল লাগে।’‌

এবার ইংল্যান্ড নিজেদের দেশে বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট। এটা বাড়তি চাপ কিনা জানতে চাওয়া হলে স্টোকস বলেন, ‘‌আমরা এমনি এমনি ফেবারিটের তকমা নিয়ে নামছি না। আমরা এটা অর্জন করেছি। গত তিন–‌চার বছর ধরে আমরা যে ক্রিকেট খেলেছি, তার জন্যই আমরা ফেবারিট। আমরা এখন এক নম্বর। ভারত বা অস্ট্রেলিয়াও যদি র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে থেকে বিশ্বকাপে নামত, তাহলে ওরাও ফেবারিট হত। তবে এক নম্বর বলে আমরা কোনও কিছুই হালকাভাবে নিচ্ছি না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমরা দারুণ খেলেছিলাম। কিন্তু পাকিস্তান ম্যাচটা আমাদের এমন উইকেটে খেলতে হয়েছিল, যেটা ওদের বেশি সাহায্য করেছিল। সেটা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। তাই আমরা এখন আরও ভাল দল।’‌

কেন ধারাবাহিকভাবে ইংল্যান্ড ভাল খেলছে, তার ব্যাখ্যা দিয়ে স্টোকস বলেন, ‘‌আমাদের দলটা বিশেষ কোনও প্লেয়ারের ওপর নির্ভরশীল নয়। মইন আলি, জেসন রয়, জো রুট, জনি বেয়ারস্টো, ক্যাপ্টেন ইওয়িন মর্গান এবং অবশ্যই জস বাটলার— এরা প্রত্যেকেই অসাধারণ। তবে সবার আগে ক্যাপ্টেন হিসেবে মর্গানের জ্বলে ওঠাটা আমাদের কাছে খুব জরুরি।’‌

আগামীকাল, মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের চূড়ান্ত ১৫ জনের দল ঘোষণা হওয়ার কথা। টেনশনে ছটফট করছেন ক্রিস ওকস। এই জোরে বোলারের বক্তব্য, ‘‌সবাই আমরা হাঁ করে ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকব। অনেকেই আছে, যারা ওয়ার্ল্ড কাপের দলে নিশ্চিত। তারাও ফোনের দিকে চেয়ে থাকবে। কখন নির্বাচকদের সেই ফোনটা আসবে। সিলেক্টরদের কাজটা এবার খুব কঠিন। এই ১৭–‌১৮ জনের দল থেকে কাকে ছাঁটবেন ওঁরা, সেটা ঠিক করা খুব শক্ত।’‌

খোদ অধিনায়ক মর্গানও নিশ্চিত নন কোন ১৫ জনকে রাখা হবে দলে। বলেন, ‘‌আমরা ক্রমশ উন্নতি করছি। তাই এবারের দল বাছাটা সত্যিই কঠিন কাজ। এই ১৭ জনের প্রত্যেকে দলে থাকার যোগ্য।’‌

ইংল্যান্ড কতটা উন্নতি করেছে, সেটা একটা তথ্যেই যথেষ্ট। পাকিস্তানকে চার ম্যাচের একদিনের সিরিজে ৪–‌০ ফলে হারিয়েছে তারা। এই সিরিজে তারা একটি বিশ্বরেকর্ডও করে ফেলেছে। প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পর পরের চারটি ম্যাচে ইংল্যান্ডের রান ৩৭৩/‌৩, ৩৫৯/‌৪,৩৪১/‌৭, ৩৫১/‌৯। তারাই প্রথম দল হিসেবে একদিনের ম্যাচে পরপর চারটি ইনিংসে ৩৪০–‌এর ওপর রান করল। ‌‌‌