টোকিও অলিম্পিকে হতাশ করলেন সিন্ধু-অতনু, কোয়ার্টারে মেয়েদের হকি

টোকিও অলিম্পিকে হতাশ করলেন সিন্ধু

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: টোকিও অলিম্পিকে হতাশ করলেন সিন্ধু ও অতনু। দু’জনকে ঘিরেই বড় স্বপ্ন দেখেছিল ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীরা। দু’জনেই ছিলেন ফর্মের তুঙ্গে। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবল ব্যাডমিন্টন তারকা পিভি সিন্ধু ও তিরন্দাজ অতনু দাসের। তবে সিন্ধুর সামনে পদক জয়ের আশা এখনও রয়ে গিয়েছে। সোনা বা রুপো হয়তো হয় না কিন্তু ব্রোঞ্জ পদকের লক্ষ্যে তাঁকে নামতে হবে। শনিবার তিনি হারলেন বিশ্বের এক নম্বর তাইওয়ানের তাই জু ইংয়ের কাছে স্ট্রেট গেমে।  রবিবার ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে নামবেন তিনি।

সেমিফাইনালে হেরে সিন্ধু বলেন, ‘‘এটা খুব দুঃখের আমি ফাইনালে জেতে পারলাম না। ভারত থেকে প্রচুর মানুষ আমাকে সমর্থন করেছে, তাঁদের ভালবাসা দেখিয়েছে। কিন্তু এটা আমার দিন ছিল না। আমি আমার সেরাটা দিয়েছি। আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি। আগামীকাল আবার চেষ্টা করব।’’

এদিন তিরন্দাজিতে হেরে অলিম্পিক থেকে ছিটকে গেলেন অতনু দাস। শনিবার তিনি ৪-৬-এ হারলেন তাকাহারু ফুরুকাওয়ার কাছে। হেরে ভারতের মানুষদের কাছে ক্ষমা চাইলেন অতনু। মেনস রিকার্ভ সিঙ্গলস রাউন্ড অফ ১৬-র ম্যাচে হারের পর অতনু টুইটে লেখেন, ‘‘সরি ইন্ডিয়া, এই অলিম্পিকে আমি সাফল্য নিয়ে আসতে পারলাম না। কিন্তু যে সমর্থন সংবাদ মাধ্যম, সাই, ভারতীয় আর্চারির সেরাদের থেকে পেয়েছিল তা অসাধারণ। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া আর কিছু বলার নেই। জয় হিন্দ।’’

তবে শনিবার ভারতের অলিম্পিকে সবটাই হতাশার নয়। এদিন সাফল্যও এসেছে। অলিম্পিকের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ভারতের মহিলা হকি দল। ভারতীয় মহিলা হকির ইতিহাসে এই প্রথম অলিম্পিকের কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখল দল। শুরুটা যদিও ভাল হয়নি রানিদের। কিন্তু ক্রমশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শনিবাঈর দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে আশা জিইয়ে রেখেছিল আর তার পর লিগ পর্বের একটা ছোট্ট হিসেবই কোয়ার্টারের দরজা খুলে দিল মেয়েদের সামনে। গ্রেট ব্রিটেন ২-০ গোলে আয়ারল্যান্ডকে হারাতেই ভাগ্য খুলল ভারতের। সোমবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই তাঁদের।

শনিবার ভারতের ডিসকাস থ্রোয়ার কমলপ্রীত কাউর ৬৪ মিটার থ্রোইংয়ের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বে জিতে ফাইনালে জায়গা করে নিলেন। একই ইভেন্টে যোগ্যতা অর্জন করতে পারলেন না ভারতের সীমা পুনিয়া। তিনি ৬০.৪৭ মিটার থ্রো করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে ছাঁপিয়ে গেলেন বাকিরা। কমলপ্রীত তৃতীয়বারের চেষ্টায় ছুঁড়লেন ৬৪ মিটার। সেই থ্রোয়ের ভিডিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে টুইটারে। প্রথম থ্রো ছিল ৬০.২০, দ্বিতীয় থ্রো ৬৩.৯৭ এবং শেষ থ্রো ৬৪, যা অটোমেটিক কোয়ালিফিকেশন মার্ক। এই ইভেন্টে প্রথম ভারতীয় হিসেবে পদক জয়ের আশা জিইয়ে রাখলেন তিনি।

এদিকে ভারতের প্রথম সুপার হেভিওয়েট (+৯১ কেজি) বক্সার সতীশ কুমার নামবেন অলিম্পিকের মঞ্চে। কিন্তু তাঁর চোট চিন্তায় রেখেছে বক্সিং ফেডারেশনকে। ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ড অজয় সিং জানিয়েছেন, রবিবার ডাক্তাররা তাঁকে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেবেন পরের ম্যাচে তিনি নামতে পারবেন কিনা। তাঁর প্রথম ম্যাচেই তিনি চোট পান। সাতটি সেলাই পড়েছে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)