সৌরভ-বিরাট ঝগড়া ক্রমশ কলতলায় পৌঁছে যাচ্ছে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আর বিরাট কোহলির মধ্যে সখ্যতা নেই তা নিয়ে কারও কোনও সংশয় নেই। তা বলে সেটা এভাবে সামনে নিয়ে আসবে ভারতীয় ক্রিকেটের দুই তারকা—সেটাও মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু সম্প্রতি তেমনটাই বার বার সামনে চলে আসছে। কেউই থামছেন না। একজন কিছু একটা করছে তো আর একজন তার পাল্টা না দিয়ে থামছেন না। আসলে দুনিয়াটা এখন বড্ড খোলা। তাই সব কিছুই ধরা পড়ে যায় সাধারণ মানুষের খালি চোখে। টেলিভিশন চ্যানেল হোক বা সামাজিক মাধ্যম—সেলিব্রিটিদের যে কোনও পদক্ষেপ নজর এড়িয়ে যায় না ভক্তদের। আসলে সেলেবদের ভাবার সময় এসেছে তাঁরা অনেকেরই পথপ্রদর্শক। তাই প্রকাশ্যে সংযত হওয়াটা মনে হয় অনেকটাই জরুরী।

এবার আসা যাক ঘটনায়। ঠিক কী কী ঘটেছে যা নিয়ে তোলপাড় সমাজমাধ্যম। এবার ঘটেছে দুটো ঘটনা পর পর। একটা খোলা মাঠে আর অন্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রথম ঘটনাটি ঘটে শনিবার। দিল্লি বনাম বেঙ্গালুরু ম্যাচের পর দুই দলের প্লেয়ার থেকে সাপোর্ট স্টাফ সকলেই একে অপড়ের সঙ্গে মাঠেই হাত মেলান সৌজন্য দেখিয়ে। তেমনটাই চলছিল। এই মুহূর্তে দিল্লি ক্যাপিটালসের ‘ডিরেক্টর অব ক্রিকেট’ সৌরভ।

শনিবার দুটো ঘটনা ঘটে। ম্যাচের মাঝ খানে দিল্লি দলের কোনও এক প্লেয়ারের ক্যাচ ধরে ডাগ আউটের দিকে এমনভাবে তাকান বিরাট কোহলি যেন ব্যঙ্গ করছেন। তার পাল্টা কোনও অভিব্যক্তি দেননি সৌরভ। সেই সময় সেখানে ছিলেন রিকি পন্টিংও। এবার যেটা সবার চোখে ভীষনভাবে ধরা পড়ে সেটা হল হাত মেলানোর সময়। রিকি পন্টিংয়ের পিছনেই ছিলেন সৌরভ। পন্টিং যখন বিরাটের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন তখন সৌরভ পন্টিংকে টপকে এগিয়ে যান এবং বিরাটের পরে থাকা ক্রিকেটারের সঙ্গে হাত মেলান। সেই ভিডিও সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এবার পাল্টা দেন বিরাট কোহলি। রবিবার তিনি ইন্টাগ্রাম থেকে সৌরভকে আনফলো করে দেন। ইনস্টাগ্রামে ২৭৬ জনকে ফলো করতেন বিরাট। তার মধ্যে ছিলেন সৌরভও। কিন্তু শনিবারের ঘটনার পর সেখান থেকে বাদ পড়লেন সৌরভ। যদিও সৌরভ এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু করেননি। তিনি যে বিরাটকে ফলো করতেন সেটা একইরকম রয়েছে।

সৌরভ-বিরাট মাঠের বাইরের এই দ্বৈরথ নতুন কোনও ঘটনা নয়। এর শুরু বহু দিন আগে থেকেই। যখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন অনিল কুম্বলে। রবি শাস্ত্রীকে  সরিয়ে কুম্বলে রাতারাতি নিয়ে আসা হয়েছিল দায়িত্বে। কিন্তু তিনি বেশিদিন টিকতে পারেননি। বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্য অনুযায়ী বিরাট শাস্ত্রী ঘনিষ্ঠ হওয়ার কুম্বলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সব সময়ই খারাপ ছিল। এর পর কুম্বলে সিরিজের মাঝ খানেই সরে দাঁড়ানোর বার্তা দেন। তিনি ছিলেন ২০১৬ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হারের পর দায়িত্ব ছেড়েছিলেন তিনি।  তার পর রাতারাতি ফিরে আসেন রবি শাস্ত্রী।

সেই সময় কোচেস সিলেকশন কমিটিতে ছিলেন সৌরভ। কিন্তু তখন বিরাট কোহলির মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এর পর বিসিসিআই-এর সভাপতির পদে বসেন সৌরভ। সেই সময় রবি শাস্ত্রীর হেড কোচ হিসেবে চুক্তি আর নতুন করে করা হয়নি। আবারও সেই শাস্ত্রী ঘটিত সমস্যা চলে আসে সৌরভ আর বিরাটের মাঝখানে। বিরাট তখনও চেয়েছিলেন শাস্ত্রীকে। এদিকে, পারফর্মেন্সের নিরিখে বিরাটও ভাল জায়গায় ছিলেন না। অধিনায়কের পদ থেকে একটা একটা করে সরে দাঁড়ান তিনি। নিন্দুকেরা বলেন, তাঁকে বাধ্য করা হয়েছিল অধিনায়কত্ব ছাড়তে। এর পর ভারতীয় দলের কোচ করা হয় রাহুল দ্রাবিড়কে, অধিনায়ক হন রোহিত শর্মা। ধিকি ধিকি আগুনটা জ্বলছে সেই ২০১৬ থেকেই। তার এখন বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে মাঝে মাঝেই।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle