সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ গোলশূন্য ড্র

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচে কোনও গোলই হল না। বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচ গোলশূন্য রেখেই মাঠ ছাড়তে হল ইগর স্টিমাচের দলকে। এক ঝাঁক ভুল ও একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করার খেসারত দিতে হয় সুনীল ছেত্রীদের। মালের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে এ দিন আধিপত্য ছিল ভারতেরই। বল পজেশনেও তারা অনেক এগিয়ে ছিল। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারার ব্যর্থতাই এ দিন জিততে দিল না সাত বারের চ্যাম্পিয়নদের। এই ড্রয়ের ফলে সাফের দুই ম্যাচে দুই পয়েন্ট পেল ভারত। ঠিকমতো সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে এ দিন অন্তত তিন গোলে ম্যাচটা জিততে পারত।

বৃহস্পতিবার তিনটি পরিবর্তন করে প্রথম ১১ নামান ভারতীয় কোচ ইগর স্টিমাচ। প্রীতম কোটাল, মনবীর সিং ও চিঙলেনসানা সিংকে বসিয়ে প্রথম একাদশে আনা হয় মন্দার রাও দেশাই, সেরিটন ফার্নান্ডেজ ও সুরেশ সিংকে। মন্দার ছাড়া অন্য দুজন এ দিন ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। খেলাটাও হচ্ছিল মূলত শ্রীলঙ্কার অঞ্চলেই। বাঁ দিক দিয়ে মন্দার, কোলাসোরা গোলের সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা শুরু করেন ও ডান দিক দিয়ে উদান্ত সিংকে সুযোগ তৈরিতে সাহায্য করার চেষ্টা করেন সুরেশ।

ম্যাচের বয়স যখন ১৫ মিনিট, তখন মন্দার সুনীল ছেত্রীর উদ্দেশ্যে লম্বা ক্রস দেন গোলের সামনে। কিন্তু ঠিকমতো বলের নাগাল পাননি ভারত অধিনায়ক। দেশের হয়ে ৭৭ গোল করে কিংবদন্তি পেলেকে ছোঁয়ার সুযোগ নষ্ট করেন এ ভাবেই। এর সাত মিনিট পরে বক্সের মধ্যে যখন কোলাসোর হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়, তখন সামনে শুধু শ্রীলঙ্কার গোলরক্ষক সুজন পেরেরা ছিলেন। প্রথমার্ধে সুজনকে যতটা চাপে থাকতে হয়, তার দশ শতাংশও চাপে ছিলেন না গুরপ্রীত। সারা ম্যাচে কোনও শট যায়নি তাঁর কাছে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সুরেশের জায়গায় তরুণ ইয়াসির মহম্মদকে নামান স্টিমাচ। কিন্তু প্রথমার্ধে যে সমস্যা দেখা গিয়েছিল, সেই সমস্যাই ঘুরে ফিরে আসে তাদের দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সেও।

৬০ মিনিটের মাথায় বক্সের বাঁ দিক থেকে মন্দার গোলের সামনে ক্রস দিলেও তাতে পা ছোঁয়াতে পারেননি অনিরুদ্ধ থাপা। আগের দিন এই ভুলগুলোই শোধরানোর কথা বলেছিলেন কোচ স্টিমাচ। কিন্তু তাদের ভুলের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল এ দিনও। দলের এই অপ্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দেখে হতাশ কোচ স্টিমাচকে মেজাজ হারাতেও দেখা যায়। দ্বিতীয়ার্ধে রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে হলুদ কার্ডও দেখতে হয় তাঁকে। এর পর কোলাসোকে বসিয়ে সাহাল আব্দুল সামাদ ও থাপাকে বসিয়ে ফারুক চৌধুরিকে আনা হয়। মাঠে নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই ৭৩ মিনিটের মাথায় জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন ফারুক। কিন্তু তার আগেই বক্সের মধ্যে শুভাশিস বিপক্ষের খেলোয়াড় ডাকসনকে ফাউল করায় সে গোল বাতিল হয়ে যায়।

শেষ দশ মিনিটের জন্য মনবীর সিং-কে নামিয়ে গোলের মুখ খোলার চেষ্টা সফল হয়নি। ৮৭ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন শুভাশিস। গোল লাইনের প্রায় সামনে থেকে বল গোলে না ঠেলে বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শেষে আট মিনিট বাড়তি সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এতটা সময় পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ভারতীয়রা। ফাইনালে ওঠার আশা জিইয়ে রাখতে রবিবার নেপালের বিরুদ্ধে ও বুধবার আয়োজক মলদ্বীপের বিরুদ্ধে শেষ দুই ম্যাচে জিততেই হবে ভারতকে।

ভারতীয় দল: গুরপ্রীত সিং সান্ধু (গোল), রাহুল ভেকে, মন্দার রাও দেশাই (মনবীর সিং), শুভাশিস বসু, সেরিটন ফার্নান্ডেজ, অনিরুদ্ধ থাপা (ফারুক চৌধুরি), সুরেশ সিং (ইয়াসির মহম্মদ), গ্ল্যান মার্টিন্স, লিস্টন কোলাসো (সাহাল আব্দুল সামাদ), সুনীল ছেত্রী, উদান্ত সিং।

(খবর ও লেখা আইএসএল ওয়েবসাইট থেকে)

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)