প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে হার, তবু এখনই কোহলিদের নিয়ে ভয় পেতে রাজি নন সচিন

Sachin On Virat

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে হার নিউজিল্যান্ডের কাছে, ৭৭ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে। তবু বিরাট কোহলিদের নিয়ে ভয় পাচ্ছেন না সচিন তেণ্ডুলকর। তাঁর কাছে এই প্রস্তুতি ম্যাচগুলো আসল পরীক্ষায় বসার আগে নকল পরীক্ষা। সেখানে পাশ–‌ফেলটা বড় কথা নয়, অভিজ্ঞতা অর্জন করা, শিখে নেওয়াটাই আসল।

মুম্বই টি২০ লিগের ম্যাচে এসে সচিন বলেন, ‘‌‘প্রতিটি ম্যাচের পর দল নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে আমি রাজি নই। এটা একটা বড় প্রতিযোগিতা। এ রকম দু–‌একটা ম্যাচে হতেই পারে। তা ছাড়া আসল প্রতিযোগিতা তো এখনও শুরুই হয়নি।’‌’

তাহলে কী করতে হবে?‌ সচিনের জবাব, ‘‘‌আগে আমাদের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা জরুরি। তার জন্য দু–‌একটা ম্যাচ হয়তো লেগে যাবে। এই প্র‌্যাকটিস ম্যাচগুলো পুরোপুরি কাজে লাগাক ভারত। কী ধরনের উইকেটে খেলতে হতে পারে, সেটা আগে ধারণা করে নিক। ফলে এখনই আমি ভয় পাচ্ছি না।’‌’ শুধু ভারত নয়, অন্য দলকেও প্রস্তুতি ম্যাচে হারতে হতে পারে জানিয়ে সচিন বলেন, ‘‌‘অনেক সময়ই দলগুলো বিভিন্ন কম্বিনেশন দেখে নেয়। ব্যাটিং লাইন–আপ নিয়ে নানা পরীক্ষা–‌নিরীক্ষা করে। অনেক দলই প্রথম একাদশ নিয়েও নিশ্চিত থাকে না। অনেক ব্যাটসম্যান বা বোলারকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। কেউই চাইবে না তাদের আসল প্রথম একাদশ সবাই জেনে যাক।’’

ভারতের মতো পাকিস্তানেরও প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ভরাডুবি হয়েছে। আফগানিস্তান তাদের ৩ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে। আফগানিস্তানের কথা আলাদা করে তুলে ধরে সচিন বলেন, ‘‌‘আমি আগেও বলেছি আফগানিস্তান ওয়ার্ল্ড কাপে চমকে দেবে। কারণ ওদের স্পিন বোলিং আক্রমণ বিশ্বের অন্যতম সেরা। এটাকে টেস্ট ক্রিকেট হিসেবে ধরলেও ওরা মাঝের ওভারগুলোয় উইকেট তুলে নিতে পারে।’‌’

এবার ১০টি সেরা দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ হচ্ছে। এটা সচিনের পছন্দ নয়। তিনি বলেন, ‘‘‌এটাকে যখন বিশ্বকাপ বলা হচ্ছে, তখন, গোটা বিশ্বের এতে অংশ নেওয়া উচিত। আরও বেশি দল যাতে খেলতে পারে, সেটা দেখা দরকার। তবে খেলার মানটা ধরে রাখা দরকার। কাজটা রাতারাতি হবে না। কিন্তু কীভাবে হবে, সেটা ঠিক করতে হবে। তাই আমি চাই, ওয়ার্ল্ড কাপে ১০টার বেশি দল খেলুক।’’‌ রাস্তাটাও বাতলে দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘‌‘ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের ‘‌এ’‌ দলগুলো নতুন দলগুলোর সঙ্গে খেলুক। শুধু একদিনের ম্যাচই নয়, তিন–‌চারদিনের ম্যাচ খেলুক। এতে নতুন দলগুলোর সামনে সুযোগ বাড়বে। তারা ক্রিকেটের মান ঠিক কোন জায়গায়, সেটা বুঝতে পারবে। বড় আসরে খেলার জন্য নিজেদের তৈরি করতে পারবে।’‌’

ইংল্যান্ডে কী ধরনের উইকেটে খেলা হবে জানতে চাইলে সচিন বলেন, ‘‘‌ভারতের ওয়ার্ম–‌আপ ম্যাচটায় উইকেট একটু অন্যরকম ছিল। উইকেটে ঘাস ছিল। বোলাররা কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধে পেয়েছে। মনে হয়, ওয়ার্ল্ড কাপ এই ধরনের উইকেটে খেলা হবে না। তখন উইকেট অনেক পাটা হবে। স্পিনারদের ভূমিকা বাড়বে।’‌’

প্রসঙ্গ ওঠে রনজিতে মুম্বই দলের পারফরমেন্স নিয়েও। মুম্বই ৪১ বারের চ্যাম্পিয়ন হয়েও এবার রনজির নক‌আউট পর্বে পৌঁছতে পারেনি। সচিনের ব্যাখ্যা, ‘‌‘আমাদের প্রতিভা আছে। কিন্তু প্রতি বছর রনজি জেতা সম্ভব নয় কারও পক্ষেই। এখন অন্য রাজ্যগুলোর ক্রিকেটীয় পরিকাঠামোও আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। মুম্বইয়ের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে ভিতটা মজবুত করা দরকার। তবে রাতারাতি ফল পাওয়া যাবে না। এটা একটা সিস্টেম। তার ফল পেতে ৫–‌১০ বছর লাগবে। তবে আমার মনে হয় না, মুম্বইয়ের ক্রিকেটের খুব খারাপ অবস্থা। প্রতি বছরের নিরিখে পারফরমেন্স বিচার করলে ব্যাপারটা কঠিন। কিন্তু গত ১০–‌১২ বছরের পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এরকম তো নয় যে, আমরা আর জিততেই পারছি না।’‌‌‌’

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)