বিদায় রাশিয়া-সুইডেন, দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া

বিদায় রাশিয়া-সুইডেনক্রোয়েশিয়ার জয়ের উল্লাস।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিদায় রাশিয়া-সুইডেন। বাজিমাত ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া। বেকহ্যাম অনেক আগেই তাঁর দেশকে ফাইনালে দেখেছিলেন এ বার। তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণের দিকে আরও একধাপ এগোল ইংল্যান্ড। সুইডেনকে ২-০ গোল হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড। ১৯৯০ ইতালি বিশ্বকাপের পর এই প্রথম। ১৯৬৬-এর পর এই প্রথম বিশ্বকাপের মঞ্চে এত গোল করল ইংল্যান্ড। ২০০০-এর ইংল্যন্ড দলকে ‘গোল্ডেন জেনারেশন’ বলা হত কিন্তু তাদের ছাপিয়ে এখন এই দলকেই সেরা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

আর অন্যদিকে যে রাশিয়া শুরু থেকে গোটা দেশকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিল তাঁদের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। ২-২ থেকে টাইব্রেকার। সেখানেই হার আয়োজক দেশের। অনেক আশা নিয়ে শনিবার গ্যালারি ভরিয়েছিল রাশিয়ানরা। কিন্তু চোখের জলেই স্টেডিয়াম ছাড়তে হল তাঁদের।

গোলের পর ইংল্যান্ড।

দিনের প্রথম ম্যাচ অবশ্য ব্রিটিশদের গানে মেতে থাকল স্টেডিয়াম, ‘ইটস কাম হোম, ইটস কাম হোম’। ইংল্যান্ড এ বার বিশ্বকাপ জিতলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। ৯০ মিনিটের ম্যাচে যে ভাবে সুইডেনকে খেলতেই দিল না ইংল্যান্ড তাতে ক্রোয়েশিয়াকে সেমিফাইনালে নামার আগে ভাল মতো অঙ্ক কষতে হবে। এখান থেকে ইংল্যান্ডের ফাইনালে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। যদি না কোনও অঘটন ঘটে।

বিশ্বকাপের সব খবরের জন্য ক্লিক করুন

ইংল্যান্ড যে সেটপিসে বাজিমাত করতেই তৈরি হয়ে এসেছে সেটা আরও একবার প্রমাণ করে দিল ম্যাচের প্রথম গোল। ৩০ মিনিটে র্কনার থেকে বক্সের মধ্যে বল রেখেছিলেন ইয়ং। সুইডেন রক্ষণের মাথার উপর দিয়ে সেই বল হেডে গোলে পাঠান মাগুইরে। এর আগে পর্যন্ত তেমন ভাবে যে সুযোগ তৈরি করেছিল ইংল্যান্ড এমনট নয়। অপেক্ষা হয়ত ছিল সেট পিসের। যা মাগুইরের জন্য প্লেটে করে সাজিয়ে দিয়েছিলেন ইয়ং।

হতাশ রাশিয়া শিবির।

২০১৮ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ৮০ শতাংশ গোলই হয়েছে সেটপিস থেকে। এর পর বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে ইংল্যান্ড। সুইডেন কিন্তু রক্ষনাত্মকই থেকে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা চাপ তৈরি করে সুইডেন। প্রথমার্ধ পিছিয়ে থেকে বিশ্বকাপের মঞ্চে কখনও ম্যাচ জেতেনি সুইডেন। এ বারও হল না। ৫৮ মিনিটে ২-০ করে দিল ইংল্যান্ড। লিংগার্ডের ক্রস থেকে আলির দুরন্ত ফিনিশ। এর পরও হাতে অনেকটা সময় ছিল। কিন্তু তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ সুইডেন।

অন্যদিকে রাশিয়া-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ গড়ায় ১২০ মিনিট পর্যন্ত। ৯০ মিনিটে ১-১ গোলে শেষ হয়েছিল ম্যাচ। সেখানে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল রাশিয়াই ৩১ মিনিটে চেরিসেভের গোলো। ৩৯ মিনিটেই ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরায় ক্রামারিচ। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এ বার ১০০ মিনিটে ভিদার গোলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু বেশি সময় নেয়নি রাশিয়া। সমানে সমানে লড়ে ১১৫ মিনিটেই আয়োজক দেশকে সমতায় ফেরায় ফানার্ন্ডেস।

জর্ডন পিকফোর্ড।

এর পর টান টান উত্তেজনার টাইব্রেকার। প্রথম শটই সুবাসিচের হাতে আটকে যায় রাশিয়ার সোলোভ। ক্রোয়েশিয়াকে এগিয়ে দেন ব্রোজোভিচ। ১-১ করেন জাগোয়েভ। এ বার রাশিয়ার গোলকিপার আকিনফেভের হাতে আটকে যান ক্রোয়েশিয়ার কোভাসিস। পরের শটেই ফার্নান্ডেসের মিস। ২-১ করেন মডরিচ। ২-২ করেন ইগানসেভিচ। পেনাল্টি থেকেও গোল করে ক্রোয়েশিয়াকে এগিয়ে দেন ভিদা। ৩-৩ করেন কুজায়েভ। ৪-৩ করেন রাকিটিচ।

স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ক্রোয়েশিয়া। এ বার সামনে কঠিন লড়াই। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।

ছবি: ফিফা টুইটার থেকে।