রোনাল্ডো ছিলেনই, ফিরলেন নেইমার, মেসি এখনও নয়

রোনাল্ডো ছিলেনই

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রোনাল্ডো ছিলেনই । বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দারুণ ফর্মে। এ বার নেইমারও ফিরলেন। শুধু ফিরতে পারলেন না মেসি। কোথাও যেন বদলে গিয়েছে পুরোটাই। প্রত্যাশার পাহাড়ে ক্রমশ চাপা পড়তে পড়তে হারিয়ে যাচ্ছেন আর্জেন্তিনার মেসি। বার্সেলোনার মেসি নিয়ে এই প্রশ্ন এখনও ওঠেনি। কিন্তু বিশ্বকাপটা যে মেসির জন্য নয় তা বার বারই উঠে আসছে।

যে তিন তারকাকে নিয়ে ফুটবল বিশ্ব তোলপাড় হয় সেই তিনের দু’জনেই গোলের মধ্যে রয়েছেন। প্রথম ম্যাচে নেইমারের স্বার্থপরতা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই তা স্বমূলে উৎপাট করলেন তিনি। জিতে কাঁদলেন হাউ হাউ করে। যেন বলতে চাইলেন, ‘আমি স্বার্থপর ছিলাম না।’ সেই সময় কেউ টেলিভিশনের চ্যানেল খুললে ভাবত হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। আসলে ওটা ছিল আবেগের, জবাবের কান্না। ওই যে একটা কথা আছে না, ওস্তাদের মার শেষ রাতে। সেটাই দেখাল ব্রাজিল। যদিও ব্রাজিলের খেলা দেখে খুব উচ্ছ্বসিত হওয়ার মত কিছু নেই। কোস্টারিকার বিরুদ্ধে যে ভাবে ৯০ মিনিট হতাশ করলেন নেইমাররা তাতে শেষ ১৬য় গেলেও ভুগতে হবে দলকে।

মেসি, তোমার জন্য কষ্ট হয়। মেসি…

ভাগ্যিস গোলের মুখটা হঠাৎই খুলে দিয়েছিলেন কুটিনহো। তাই শুক্রবারের নায়ক তিনিই। শেষটা করলেন নেইমার। জয় পেল ব্রাজিল। শেষ ম্যাচে জিততে পারলে শেষ ১৬ নিশ্চিত হয়ে যাবে ব্রাজিলের। অন্যদিকে, প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র আর দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হার আর্জেন্তিনাকে যতটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল তার থেকে কিছুটা উদ্ধার করল নাইজিরিয়া বনাম আইসল্যান্ড ম্যাচ। নাইজিরিয়া আইসল্যান্ডকে হারানোর সঙ্গে সঙ্গেই শেষ ১৬র অক্সিজেন পেলেন মেসিরা।

তবে, শেষ ম্যাচে এই নাইজিরিয়ার বিরুদ্ধে আর্জেন্তিনার ম্যাচটা কিন্তু মাস্ট উইন। নীল-সাদা ব্রিগেডের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে সংশয়টা যদিও কাটছে না। সে আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে আটকে গিয়েছিল আর্জেন্তিনা সেই আইসল্যান্ডকেই দারুণ খেলে হারিয়েছে নাইজিরিয়া। সেই নাইজিরিয়াকে হারানোও কিন্তু মেসিদের জন্য সহজ হবে না। এটাই মনে হয় মেসিদের সব থেকে খারাপ বিশ্বকাপের শুরু। আর্জেন্তিনার অনেক প্রাক্তনই একটা কথা বলছেন, যে দল নিয়ে প্রায় বিশ্বকাপে ওঠাই হচ্ছিল না সেই দল নিয়েই তো খেলতে এসেছে বিশ্বকাপ এর থেকে বেশি কী আর হবে! প্রশ্ন উঠছে সাম্পাওলির গেম প্ল্যান নিয়েও। শেষ ম্যাচেও প্রশ্নের মুখ পড়েছে তাঁর পরিকল্পাআর অভাব। পুরো ম্যাচ জুড়েই সেটা স্পষ্ট ছিল। একটা মেসি তা আর কী করে সামলাবেন।

তবে নাইজিরিয়া একটা রাস্তা খুলে দিয়েছে আর্জেন্তিনার সামনে। আইসল্যান্ড জিতলেও সুযোগ থাকত আর্জেন্তিনার সামনে।  জিততে তো হতই সঙ্গে আইসল্যান্ড ও আর্জেন্তিনার একই পয়েন্ট (৪) হয়ে যাওয়ায় দেখতে হত গোল র্পাথক্য। এ বার কিছুটা সুবিধে হল। আইসল্যান্ড যদি ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে জেতে আর আর্জেন্তিনা যদি নাইজিরিয়াকে হারায় তা হলেও পয়েন্ট এক হয়ে যাবে আইসল্যান্ড আর আর্জেন্তিনার। তখন দেখা হবে গোল পার্থক্য।