জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রঞ্জি ট্রফি শেষ কবে ভারতের ঘরে এসেছিল তা হয়তো এই বাংলা দলের অনেকই মনে নেই। অনেকেই সেই সময় অনেকটাই ছোট ছিলেন। কিন্তু ১৩ বছর পর বাংলার ক্রিকেটকে আবারও স্বপ্ন দেখাচ্ছেন এই একঝাঁক তরুণতুর্কি বাংলাকে ফাইনালে তুলে। মঙ্গলবার ম্যাচের একদিন বাকি থাকতেই তারকা খচিত কর্নাটককে ১৭৪ রানে হারিয়ে দিল বাংলার ছেলেরা। ইডেন গার্ডেনে বাংলার ঘরের মাঠে টস জিতে বাংলাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল কর্নাটক।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে বাংলার হয়ে দাপট দেখান অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার। যদিও তিনি হাল ধরার আগে বাংলার অবস্থা ছিল বেশ কঠিন। ৬৭ রানে ছয় উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকেই হাল ধরেন অনুষ্টুপ। ২১টি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন অনুষ্টুপ। বাংলা থামে ৩১২ রানে।
এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন
জবাবে ব্যাট করতে নেমে কর্নাটকের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১২২ রানে। এই কর্নাটক দলে রয়েছেন একঝাঁক তারকা প্লেয়ার। সেই তুলনায় বাংলা দলে তেমন কেউ নেই। লোকেশ রাহুল (২৬), করুণ নায়ার (৩), মণীশ পাণ্ড্যে (১২), অভিমন্যু মিঠুনের (২৪) মতো তারকাদের সঙ্গেই নিয়েই বাংলার বিরুদ্ধে নেমেছিল দক্ষিণের এই দল। কেউই দাঁড়াতে পারলেন না বাংলার বোলিংয়ের সামনে।
পাঁচ উইকেট নিলেন ঈশান পোড়েল। ১৩ ওভারে দিলেন মাত্র ৩৯ রান। তিন উইকেট নিলেন আকাশ দীপ, দুই উইকেট মুকেশ কুমারের।
দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য বাংলা দলের ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসের ঝলক ছিল না। তার মধ্যেই ৪১ রানের ইনিংস খেলেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। ১৬১ রানে শেষ হয় বাংলার দ্বিতীয় ইনিংস। কর্নাটকের হয়ে চার উইকেএট নেন অভিমন্যু মিঠুন। তিন উইকেট নেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। কিন্তু প্রতিপক্ষকে লক্ষ্যে পৌঁছতে দেননি বাংলার বোলাররা।
কর্নাটকের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত রান করেন দেবদূত পারিক্কাল। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৬২ রান। কিন্তু আর কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। লোকেশ রাহুলকে শূন্য রানে ফেরান ঈশান পোড়েল। ১৭৭ রানে অল আউট হয়ে যায় কর্নাটক।
That winning feeling! 👏👏
Bengal beat Karnataka by 174 runs to seal a place in the @paytm #RanjiTrophy 2019-20 final. 👌👌
Scorecard 👉 https://t.co/8vuWwOBGXI#BENvKAR @CabCricket pic.twitter.com/etHvg7IHtn
— BCCI Domestic (@BCCIdomestic) March 3, 2020
দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে বাজিমাত করেন মুকেশ কুমার। ২১ ওভারে ৬১ রান দিয়ে ছয় উইকেট নেন তিনি। দুও করে উইকেট নেন ঈশান পোড়েল ও আকাশ দীপ।
ফাইনালের কথা মাথায় রেখে বাংলা দলে ডেকে নেওয়া হয়েছে উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহাকে।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)
ফাইনালের জন্য বাংলা দল: অভিমন্যু ঈশ্বরণ (অধিনায়ক), মনোজ তিওয়ারি, ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেট কিপার), অনুষ্টুপ মজুমদার, শ্রীবৎস গোস্বামী (উইকেট কিপার), সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক রামন, অর্ণব নন্দী, শাহবাজ আহমেদ, ঈশান পোড়েল, শ্রেয়ান চক্রবর্তী, নীলকণ্ঠ দাস, মুকেশ কুমার, আকাশ দীপ, অগ্নিভ পান, সুদীপ ঘরামি।