দুরন্ত পৃথ্বী শ, অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি করে ছুয়ে ফেললেন সৌরভকে

দুরন্ত পৃথ্বী শদুরন্ত পৃথ্বী শ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দুরন্ত পৃথ্বী শ ।  তাঁকে যে এমনি বিস্ময় বালক বলা হয় না তা অভিষেকেই প্রমাণ করে দিলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি হাঁকালেন। ছুয়ে ফেললেন অমরনাথ, আজহার, সৌরভকে।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রাজকোটে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল ভারত। লোকশ রাহুলরাহুলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন নবাগত পৃথ্বী। শুরুতেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান লোকেশ। এর পর পৃথ্বীর সঙ্গে ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরেন চেতেশ্বর পূজারা। তার পরই শুরু হয় পৃথ্বী ম্যাজিক। যার ফল অভিষেক টেস্টেই শুধু সেঞ্চুরি নয় ভারতের দ্বিতীয় কনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ও নিজের নাম লিখিয়ে ফেললেন তিনি।

সব থেকে কম বয়সে সেঞ্চুরির রেকর্ড অবশ্য রয়েছে সচিন তেন্ডুলকরের। সেটা ১৯৯০ সাল। সচিন করেছিলেন ১৭তে। পৃথ্বী ক‍রলেন ১৮তে।

ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে নতুন নজির ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের

পৃথ্বী যখন থামলেন তখন তাঁর নামের পাশে লেখা হয়ে গিয়েছে ১৩৪ রান। ১৫৪ বলে ১৯টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে এই রানে পৌঁছন তিনি। শুরুতেই করে ফেললেন কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেকেই সেঞ্চুরির রেকর্ড। বিশোর বলে বিশোকেই ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন ১৮ বছরের এই কিশোর। পৃথ্বী যখন আউট হলেন তখন ভারতের রান ২৩২এ পৌঁছে গিয়েছে। এখনও রয়েছেন বিরাট কোহালি, অজিঙ্ক রাহানেরা।

পৃথ্বীর অনবদ্য ইনিংসে উচ্ছ্বসিত ক্রিকেট বিশ্ব। সচিন থেকে লক্ষ্মণ, মঞ্জরেকর থেকে রোহিত শর্মা, সকলেই চোখ রেখেছিলেন টিভিতে। আর ১৮ বছরের পৃথ্বী সেঞ্চুরি করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছার বিস্ফোরণ হল। আইসিসি টুইটে লিখেছে, ‘‘দারুণ অভিষেক।’’ হরভজন লেখেন, ‘‘অসাধারণ মুহূর্ত। ১৮ বছর বয়েসে ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকেই সেঞ্চুরি।’’ ভিভিএস লক্ষ্মণ বলেন, ‘‘এটা দেখে দারুণ লাগছে ১৮ বছরের একটা ছেলে মাঠে নেমে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলছে।’’

সেঞ্চুরি করতে পৃথ্বী নিলেন ৯৯ বল। ১০০ রানের ইনিংসে ছিল ১৫টি বাউন্ডারি। কোনও ওভার বাউন্ডারি হাঁকাননি। ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় কনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ন পৃথ্বী। বিশ্বে তিনি সপ্তম। এবং সেঞ্চুরি করলেন ১০০ বলের কমে। তাঁর আগে এই তালিকায় রয়েছেন শিখর ধওয়ন (৮৫) ও ডোয়েন ব্র্যাভো (৯৩)। পৃথ্বী করলেন ৯৯ বলে।

এ দিন সচিন লেখেন, ‘‘প্রথম ইনিংসেই এ রকম আক্রমণাত্মক ব্যাটিং দেখে দারুণ লাগল। এই নির্ভিক ব্যাটিংটাই চালিয়ে যেও।’’ রোহিত লেখেন, ‘‘শ দারুণ শো’’।  মহম্মদ কাইফ লেখেন, ‘‘এই ছেলের মধ্যে কিছু তো একটা আছে।’’ মঞ্জরেকর বলেন, ‘‘কোনও ঝুঁকি না নিয়ে অত্যদিক আক্রমণ না করেও স্ট্রাইকরেট ১০০ শতাংশ করাটা বড় বিষয়।’’ সহবাগ লেখেন, ‘‘শুভেচ্ছা শ। এতো শুধু শুরু।’’