জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Tokyo Olympics 2020-তে ভারতকে প্রথম পদক এনে দিয়েছেন মীরাবাই চানু। ভারোত্তোলনের ৪৯ কেজি বিভাগে তিনি রুপো জিতে নেন। তাঁর পদকের সঙ্গেই ভারত ঢুকে পড়ে অলিম্পিকের পদক তালিকায়। ইতিমধ্যেই মীরাবাই ফিরেও এসেছেন দেশে। পৌঁছে গিয়েছেলন তাঁর রাজ্যে। সোমবার সেখানে তাঁকে রাজকীয় সম্মান দেওয়া হয়। ততক্ষণে শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন জল্পনা। মীরাবাইয়ের রুপো বদলে যেতে পারে সোনায়। এই ইভেন্টে সোনা জেতেন চিনের ঝিহুই হোউ। অলিম্পিকে নতুন রেকর্ড গড়েন তিনি। স্ন্যাচ অ্যান্ড জার্ক বিভাগে মিলিয়ে তিনি মোট তোলেন ২১০ কেজি। চানুর পরিমান ২০২ কেজি।
এদিকে চানু দেশে ফিরে এলেও গেমস ভিলেজ এখনও ছাড়তে পারেননি সোনাজয়ী চিনা প্রতিযোগী। তাঁকে গেমস ভিলেজ ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। যা খবর তাঁর আবার ডোপ পরীক্ষা করা হবে। কোথাও একটা সন্দেহের বাতাবরন তৈরি হয়েছে চিনা প্রতিযোগীকে নিয়ে। যে কারণেই প্রতিযোগিতা হয়ে যাওয়ার পরও তাঁকে গেমস ভিলেজ ছাড়তে দেওয়া হয়নি এবং আবারও তাঁকে ডোপ পরীক্ষার মুখে পড়তে হচ্ছে। আর এই পরীক্ষায় সে ব্যর্থ হলেই বদলে যাবে চানুর পদকের রং। প্রথম হওয়া প্রতিযোগীকে অকৃতকার্য ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই চানুকে প্রথম ঘোষণা করা হবে।
যদিও এই বিষয়ে সরকারিভাবে ভারতীয় দলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের। যদিও এমন খবর খুব বেশি সময় চাপা থাকে না। তাই চিনা প্রতিযোগীর খবর আসতেই নতুন উৎসবের অপেক্ষায় ভারতের ভারোত্তোলন বিভাগ। রুপো জিতেই রেকর্ড গড়া চানু তথা দেশের কাছে সেটা হবে বড় প্রাপ্তি। অলিম্পিকে ভারতের সোনা খুবই হাতে গোনা। ব্যাক্তিগত স্তরে এখনও একটিই। তাতে যোগ হবে এটিও।
ভারোত্তোলনে ৪৯ কেজি বিভাগের ফাইনালে স্ন্যাচে ৮৭ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১৫ কেজি তুলেছিলেন রীমাবাই চানু। তিনিই দ্বিতীয় মহিলা প্রতিযোগী যিনি ভারোত্তোলনে পদক জিতলেন। এর আগে সিডনি অলিম্পিকে ২০০০ সালে পদক জিতেছিলেন কর্ণম মালেশ্বরী। ব্যক্তিগত ইভেন্টে ভারতের একমাত্র সোনা রয়েছে শুটার অভিনব বিন্দ্রার।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)