সন্দেশ ঝিঙ্গান ও প্রণয় হালদারকে ছেড়ে দিল এটিকে মোহনবাগান

সন্দেশ ঝিঙ্গান

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সন্দেশ ঝিঙ্গান ও মোহনবাগান সম্পর্ক আপাতত শেষ হল। মলদ্বীপে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচ শুরুর ঠিক দু’ঘন্টা আগে সন্দেশ ঝিঙ্গনকে বিদায় জানাল এটিকে মোহনবাগান। বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা ঘোষণা করে দিল সন্দেশকে অব্যহতি দেওয়ার খবর। বিদায় জানানো হল বাংলার মিডফিল্ডার প্রণয় হালদারকেও। বেশ কয়েক দিন ধরেই ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গনকে নিয়ে জল্পনা চলছিল যে, তিনি ইউরোপের কোনও ক্লাবে ডাক পাওয়ায় এটিকে মোহনবাগানের হয়ে এই মরশুমে খেলবেন না। বুধবার সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সবুজ-মেরুন শিবির সরকারি ভাবে তাঁকে বিদায় জানিয়ে দিল।

সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন তাঁকে ২০২০-২১ মরশুমের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার দেয়। বেশ কয়েক বছর ধরেই সন্দেশ ইউরোপিয়ান ফুটবলে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ খুঁজছিলেন বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু নিজের চোট ও অতিমারির কারণে সেই সুযোগ হয়নি তাঁর। অবশেষে সেই সুযোগ এল। জানা গিয়েছে, ক্রোয়েশিয়ার সর্বোচ্চ ডিভিশনের ক্লাব এইচএনকে সিবেনিকে যোগ দিতে চলেছেন তিনি।

হিরো আইএসএলের প্রথম মরশুমেই ইমার্জিং প্লেয়ার অফ দ্য লিগ নির্বাচিত হয়েছিলেন ঝিঙ্গন। ২০১১-১২-য় আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশন ক্লাব সিকিম ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম আত্মপ্রকাশ করা এই ফুটবলার টানা ছ’বছর কেরালার ক্লাবের হয়ে মাঠে নামেন। পাশাপাশি ভারতীয় দলেরও নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৬-র হিরো আইএসএলে দলকে ফাইনালেও তুলেছিলেন তিনি। তবে ফাইনালে এটিকে এফসি-র কাছে হেরে যান।

২০১৭-১৮ সালে কেরালা ব্লাস্টার্সের অধিনায়ক ঘোষণা করা হয় তাঁকে। দলের রক্ষণে রীতিমতো দুর্ভেদ্য দেওয়াল হয়ে ওঠেন তিনি। সে বার তাঁর দল মাত্র ২২টি গোল খেয়েছিল, হেরেছিল মাত্র পাঁচটি ম্যাচে। তবে ২০১৯-২০ মরশুমে খেলতেই পারেননি ২৮ বছর বয়সি এই ডিফেন্ডার। কেরালার দল তাঁর অনুপস্থিতিতে ৩২ গোল খেয়ে লিগ তালিকায় সাত নম্বর জায়গাটা নেয়।

১৩ মাস মাঠের বাইরে থাকার পরে গত মরশুমের আগে এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তিতে সই করেন সন্দেশ। সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে ২২টি ম্যাচ খেলেন। সারা মরশুমে ৫২টি ট্যাকল, ২৬টি ইন্টারসেপশন, ১১৯টি ক্লিয়ারেন্স ও ৪০টি ব্লকের হিসেব জমা হয় তাঁর পারফরম্যান্সের খতিয়ানে। সারা মরশুমে মাত্র দু’বার হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। কোনও লাল কার্ড ছিল না। এতটাই পরিচ্ছন্ন ফুটবল খেলেন তিনি। দলের নেতৃত্বের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।

অন্য দিকে, প্রণয় হালদারকেও বিদায় জানানো হয়েছে প্রায় একই সঙ্গে। গত মরশুমে তিনি সবুজ-মেরুন জার্সি পরে ১৬টি ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন। একটি গোলে অ্যাসিস্ট করেন। পাসিং অ্যাকিউরেসি ছিল ৬৯.৩ শতাংশ। মাঝমাঠের অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা প্রণয় হিরো আই লিগে খেলেছেন ডেম্পো এসসি-র হয়ে। ২০১৫-য় হিরো আইএসএল রানার্স আপ দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১৬-য় মুম্বই সিটি এফসি-তে যোগ দেন তিনি। কিন্তু পরের মরশুমে (২০১৭-১৮) ফিরে আসেন এফসি গোয়ায়, যারা সে বার সেমিফাইনালে উঠেছিল। ২০১৮-১৯ মরশুমের আগে প্রণয় যোগ দেন এটিকে এফসি-তে। সেই মরশুম থেকেই তিনি কলকাতায়। পরের বছরে এটিকে-র চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন ও গত বছর রানার্স আপ এটিকে মোহনবাগানেও ছিলেন তিনি।

(ম্যাচ রিপোর্ট ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ওয়েবসাইট থেকে)

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)