Mini Derby: মহমেডানকে হারিয়ে জয় মোহনবাগানের

Mini Derby

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মিনি ডার্বিতে (Mini Derby) পিছিয়ে থেকেও শেষ হাসি হাসল এটিকে মোহনবাগান। মরশুমের প্রথম ম্যাচে গতবারের হিরো আইএসএল সেমিফাইনালিস্টরা ২-১-এ হারাল কলকাতার আর এক প্রধান মহমেডান স্পোর্টিংকে। দু’টি গোলই করেন ফিনল্যান্ডের তারকা মিডফিল্ডার জনি কাউকো। মহমেডান স্পোর্টিংয়ের একমাত্র গোলটি পেনাল্টি থেকে করেন অভিষেক হালদার।

আসন্ন ডুরান্ড কাপের প্রস্তুতি হিসেবে নৈহাটিতে শনিবার মিনি ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতার দুই প্রধান। যেহেতু মরশুমের প্রথম ম্যাচ, তাও আবার মিনি ডার্বি, তাই ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উৎসাহের ভাটা ছিল না একেবারেই। ভরা গ্যালারির সামনে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে মহমেডান স্পোর্টিং বিরতির আগেই পেনাল্টি থেকে পাওয়া অভিষেকের গোলে এগিয়ে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের বয়স যখন সবে ৬০ মিনিট পেরিয়েছে, তখন এটিকে মোহনবাগানও একটি পেনাল্টি পায় ও তা থেকে গোল করেন কাউকো। একেবারে শেষ মুহূর্তে, স্টপেজ টাইমে ফের গোল করে দলকে জেতান ফিনল্যান্ডের হয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা এই মিডফিল্ডার।

দুই দলই ইতিমধ্যেই তাদের অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। ডুরান্ড কাপের প্রস্তুতি দুই শিবিরেই চলছে জোর কদমে। এর মধ্যেই এই ম্যাচে তাঁদের দল ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে, তা পরখ করে নিলেন দুই কোচ। এবং বলা যায়, দুই কোচেরই খুশি হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

ম্যাচের পরে এটিকে মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, তিনি দলের খেলায় খুশি। সদ্য প্রস্তুতিতে নামা দলের পক্ষে যতটা ভাল খেলা সম্ভব, তাঁর দলের ফুটবলাররা ততটাই ভাল খেলেছেন বলে ধারণা কোচের। এ দিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দলের ২০ জন ফুটবলারকে খেলান সবুজ-মেরুন কোচ।

ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হলেও কোনও দলই একে অপরকে জমি ছাড়তে রাজি ছিল না। ম্যাচের ফল ১-১ থাকলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মনঃসংযোগ বজায় রাখতে না পারার মাশুল দিতে হল সাদা-কালো বাহিনীকে।

ম্যাচের ৪০ মিনিটের মাথায় মহমেডানের শেখ ফৈয়াজ একটি পেনাল্টি আদায় করে নেন, যা থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন অভিষেক হালদার। এর আগে নুরউদ্দিনের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এক গোলে পিছিয়ে থাকা এটিকে মোহনবাগান দ্বিতীয়ার্ধে তাদের আক্রমণের ধার বাড়ায়।

মাঝমাঠ থেকে ফ্লোরেন্তিন পোগবা ও হুগো বুমৌসকে তুলে নিয়ে তাঁদের জায়গায় কাউকো ও কার্ল ম্যাকহিউকে নামান কোচ ফেরান্দো।  ঘনঘন তাঁদের জোগানো বল পেয়ে লিস্টন কোলাসো, ফারদিন আলি মোল্লারা ক্রমশ বিপক্ষের রক্ষণের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করেন।

এ রকমই এক ধারালো আক্রমণে ওঠার সময় ফারদিনকে বক্সের মধ্যে অবৈধ ভাবে বাধা দেন এক ডিফেন্ডার ও পেনাল্টি পায় সবুজ-মেরুন শিবির। এই পেনাল্টি থেকে ৬৮ মিনিটের মাথায় সমতা আনেন কাউকো। এর পরে একাধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি করেও সফল হননি কাউকোরা। মহমেডান রক্ষণও ম্যাচ ড্র রাখার জন্য বিপক্ষের সামনে কার্যত দেওয়াল তুলে দেয়।

কিন্তু ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে তাদের মনসংযোগে সামান্য চিড় ধরায় জয়সূচক গোলটি পেয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। শুভাশিস বোসের ফ্রি কিক বক্সের মধ্যে গিয়ে পড়লে সেখানে তৈরি জটলার মধ্যে থেকে ছিটকে আসা বল পান কাউকো ও গোলে বল ঠেলতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি। দলকে মরশুমের প্রথম ম্যাচে জয়ের মুখ দেখান তিনিই।

কাউকো এ দিন সবার নজর কেড়ে নিলেও যাঁর ওপর ফোকাস ছিল, সেই ফ্লোরেন্তিন পোগবা ভারতের মাটিতে প্রথম ম্যাচে সমর্থকদের মন জয় করতে পারেননি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, শরীরি জড়তা এখনও যেমন কাটিয়ে উঠতে পারেননি পল পোগবার বড়দা, তেমনই সতীর্থদের সঙ্গে বোঝাপড়াটাও এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি তাঁর। তবে যত দিন যাবে, ততই নিজেকে মেলে ধরবেন, এমন আশা করা যেতেই পারে। এই কাউকোও তো শুরুর দিকে সমর্থকদের হতাশই করেছিলেন।

(লেখা আইএসএল ওয়েবসাইট)

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle