কোভিড মোকাবিলায় মিনার্ভা পঞ্জাব, ৪৮ ঘণ্টায় ৩০০ বেডের হাসপাতাল

কোভিড মোকাবিলায় মিনার্ভা পঞ্জাব

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কোভিড মোকাবিলায় মিনার্ভা পঞ্জাব এগিয়ে এল এবার। পঞ্জাবের কোভডি পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। কোথায় হাসপাতালে বেড নেই তো কোথাও অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন আক্রান্তরা। গোটা  দেশের সঙ্গে একই দৃশ্য পঞ্জাবেও। দেশের সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি, সকলেই এগিয়ে আসছেন একে অপরের সাহায্যে। যাঁর পক্ষে যেভাবে সম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এবার সেই পথেই হাঁটতে চলেছেন আই লিগ জয়ী ক্লাব মিনার্ভা পঞ্জাবের কর্ণধার রঞ্জিত বজাজ।

বেশিদিন আগের কথা নয়, ভারতীয় ফুটবলে একটা জোয়ার এনে দিয়েছিলেন পঞ্জাবের এই ফুটবল পাগল মানুষটি। আগে পঞ্জাবের ফুটবল মানেই ছিল জেসিটি। যা অতীত হয়েছে অনেক কাল আগে। এত বছর পরে আবার পঞ্জাবকে ভারতীয় ফুটবলের মানচিত্রে তুলে আনার কারিগর এই মানুষটিই। যখন মনে হয়েছে খুল্লামখুল্লা প্রতিবাদে নেমেছেন। কাউকে তোয়াক্কা করেননি।

আইলিগ জয়ের পরের বছরই দল তুলে নিয়েছেন, শুধুমাত্র ভারতীয় ফুটবলকে ফুটবলারের সাপ্লাইলাইন বাড়িয়ে তোলার জন্য। একটা সময় ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাইলাইন ছিল টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমি। সেই জৌলুস এখন আর তাদের নেই। এখন আর তারকা ফুটবলার উঠে আসে না সেখান থেকে। সেই জায়গা নিয়েছে মিনার্ভা পঞ্জাব। অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপে যে ভারতীয় দল খেলেছিল তাঁর অর্ধেকের বেশি ফুটবলার উঠে এসেছিল তাঁরই অ্যাকাডেমি থেকে।

সেই মানুষটাই এখন মানুষের কঠিন সময়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাঁর ফুটবলের পরিকাঠামো নিয়েই। টুইট করে সে কথাই জানিয়েছিন রঞ্জিত বজাজ। তিনি জানিয়েছে, ক্লাবের অধীনে তাকা সব হস্টেল, মেস এবং অডিটোরিয়াম করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য কাজে লাগাতে চলেছেন তিনি। এগুলোকে কোভিড কেয়ার সেন্টারের রূপ দিতে চলেছেন।

তিনি লেখেন, ‘‘মিনার্ভা অ্যাকাডেমির হস্টেল, মেস, অডিটোরিয়ামকে কোভিড কেয়ার সেন্টার অথবা হাসপাতালে পরিণত করার ইচ্ছে রয়েছে। কেউ যদি পঞ্জাবকে সাহায্য করতে চান তাহলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৩০০ বেড, সব রকমের ব্যবস্থাসহ রেডি করে ফেলার চেষ্টা চলছে।’’

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)