প্রয়াত মিলখা সিং, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন

প্রয়াত মিলখা সিং

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: প্রয়াত মিলখা সিং, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। একই কারণে কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। ১৯ মে তাঁর কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। তবে তখন তিনি বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকার সিদ্ধান্ত নেনয় কিন্তু তার পর শরীর বেশি খারাপ হলে ২৪ মে তাঁকে হাসাপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাখা হয়েছিল আইসিইউ-তে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে শুক্রবার রাত ১১.৩০ নাগাদ শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

পরিবারের তরফে বার্তায় বলা হয়েছে, ‘‘তিনি অনেক লড়াই করেছেন কিন্তু ভগবানের নিজস্ব রাস্তা রয়েছে এছাড়া হয়তো এটা সত্যিকারের ভালবাসা এবং যৌথতা যে আমাদের না নির্মলা জি এবং বাবা দু’জনেই চলে গেলেন মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে।’’

একটা সময় মিলখা সিংয়ের কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোটর্ নেগেটিভও আসে। বাড়িও ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোভিড পরবর্তী সমস্যা শুরু হওয়ায় তাঁকে আবার হাসাপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দেশে সেরা স্প্রিন্টারের প্রয়ানে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেন তিনি। শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কোভিড হলেও সুস্থই ছিলেন তিনি। বরং সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠেছিলেন। তার মধ্যেই স্ত্রীর মৃত্যু বড় ধাক্কা দিয়েছিল তাঁকে। মিলখা সিংয়ের ছেলে জিভ মিলখা সিং বাবার অসুস্থতার খবরে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসেছিলেন সঙ্গে সঙ্গেই। জিভ সেই সময় জানিয়েছিলেন, ‘‘বাবার শরীর খারাপ হতে শুরু করায় আমি ফিরে আসি। শ্বাসকষ্টের সঙ্গে প্রচুর বমিও হতে থাকে। খাওয়া-দাওয়া একদম বন্ধ হয়ে যায়। তাই আমরা আর ঝুঁকি না নিয়ে সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে যাই। ডাক্তারদের তত্বাবধানে থাকলে সঠিক চিকিৎসা হবে সময় মতো। হাসপাতালে ভর্তি করার পর পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সুস্থ আছেন তিনি।’’

জীব জানিয়েছিলেন, এত বয়স হলেও শারীরিক ও মানসিকভাবে দারুণ ফিট এশিয়াডে জোড়া সোনা জয়ী অ্যাথলিট। ক্রীড়াবিদ থাকার ফল অবশ্যই। এই বয়সেও ফিট থাকা মানে খুবই নিয়ম মেনে জীবন কাটান তিনি। তবে চিন্তার কারণ একটাই ভ্যাকসিন নেননি মিলখা সিং। সুস্থ হয়ে ফিরলে সেটাই সবার প্রথম কাজ বলে মনে করছেন জীব। তবে তা আর করতে হল না।

প্রথম ঢেউয়ের সময় কোভিড ত্রাণে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন পিতা-পুত্র।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)