ক্যান্সারকে হারালেন মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা, নিজেই জানিয়েছে সে কথা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে চলে গিয়েছিলেন সব লাইমলাইটের বাইরে। চলছিল চিকিৎসা। কিন্তু সেই সবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফিরলেন টেনিস কোর্টের এক সময়ের সেরা লড়াকু এই মহিলা। তিনি মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা। তাঁর বুকে ও গলায় বাসা বেঁধেছিল মারণ রোগ। দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সামনে এসেছিলেন তিনি। পিয়ার্স মর্গ্যানের সঙ্গে সেই সাক্ষাৎকারের সময়ই তিনি জানান, তিনি ক্যান্সার মুক্ত। তিনি বলেন, ‘‘আমি যতদূর জানি আমি ক্যান্সার থেকে মুক্ত এখন।’’

ক্যান্সার সম্পর্কে অদ্ভুত এক আতঙ্ক কাজ করে মানুষের মধ্যে। যে আতঙ্কে সবার এক। আর সেটা হল মৃত্যুর আতঙ্ক। নাভ্রাতিলোভাও ব্যতিক্রম নন। ক্যান্সার ধরা পড়ার পর তাঁরও মনে হয়েছিল, পরের ক্রিসমাস আর তাঁর দেখা হবে না। তিনি হয়তো আর বাঁচবেন না। যে কারণে যে স্বপ্ন এতদিন ধরে লালন করছিলেন, সন্তান দত্তক নেওয়ার সেটাও বাতিল করে দিয়েছিলেন সাময়িকভাবে। তার পর থেকেই আবার নিজেরে বুঝিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করেন।

আসলে হবে নাই বা কেন, বছরের পর বছর কোর্টের হারকে জয়ে বদলেছেন মার্টিনা। ঘুরে দাঁড়ানোর আনন্দ যে কী তিনি জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে অনুভব করেছেন। তাহলে জীবনের লড়াইয়ে নয় কেন? আর সেটাই তাঁকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখিয়েছিল। আজ সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। এখন সামনে জীবনের আরও অনেক স্বপ্ন সফল করার দৌঁড় শুরু হবে। তার জন্য তৈরি হচ্ছেন তিনি।

চেক প্রজাতন্ত্র থেকে ১৯৮১-তে মার্কিন দেশের নাগরিকত্ব নেন তিনি। গত বছর নভেম্বরে ডব্লুটিএ ফাইনালের সময় তাঁর ক্যান্সার ধরা পড়ে। প্রসঙ্গত এর আগেও ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সেটা ১৩ বছর আগের কথা। তার পর এতদিন বহাল তবিয়তে ছিলেন। আবার ফিরে আসে সেই ক্যান্সার। ঘাড় ফুলে যাচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে হয়েছে। কিন্তু অনেকদিন হয়ে গেলেও না কমায় তিনি ডাক্তারের দ্বারস্থ হন। তখনই জানা যায় আবার ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি।

নাভ্রাতিলোভা বলেছেন, ‘‘এই সময়টা খুব কঠিন ছিল। শুরুতেই কেমো আর রেডিয়েশন একসঙ্গে দেওয়া হয়েছিল।  শরীর ফুলে গিয়েছিল। কষ্ট তো ছিলই। স্বাদ ছিল না।’’ সব সামলেছেন দাঁতে দাঁত চেপে। তার ফলও পেলেন। টেনিস কোর্টে কবে ফিরবেন তা নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle