বার্সেলোনার অপরাজিত চ্যাম্পিয়নের রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিল লেভান্তে

বার্সেলোনার অপরাজিত চ্যাম্পিয়নের রেকর্ডলেভান্তের হ্যাটট্রিক ম্যান। ছবি—লেভান্তের টুইটার।

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো:  বার্সেলোনার অপরাজিত চ্যাম্পিয়নের রেকর্ড থাকল না লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের দখলে। এই ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার। এমন কী এল ক্লাসিকোও ছিল নিমরক্ষার। এই ম্যাচ না জিতলেও কিছুই এসে যেত না বার্সেলোনার। কিন্তু সেই ম্যাচেও ১০ জনের বার্সেলোনার কাছে আটকে গিয়েছিল রিয়েল মাদ্রিদ। ম্যাচের ফল ছিল ২-২। লেভান্তের বিরুদ্ধে রবিবার রাতে লক্ষ্য ছিল সেই অপরাজিতের তকমাটা ধরে রাখা। কিন্তু বার্সার অপরাজিত চ্যাম্পিয়নের স্বপ্নে শেষে কিনা জল ঢেলে দিল লেভান্তে? এটাই মানতে অসুবিধে হচ্ছে বার্সা সমথর্কদের।

ম্যাচটা শুরু করে দিয়েছিলেন লেভান্তের ইমানুয়েল বোয়েতাংই। শেষ পর্যন্ত জীবনের প্রথম হ্যাটট্রিকটিও সেরে ফেলেন বার্সেলোনার বিরুদ্ধে। একসঙ্গে জোড়া প্রাপ্তি। হ্যাটট্রিক আর সেটা পুরো লা লিগা মরসুমে অপরাজিত থাকা বার্সেলোনার বিরুদ্ধে। তিনিই জয়ের রাস্তাটা দেখিয়ে দিয়েছিলেন লেভান্তেকে। ম্যাচ শুরুর ন’মিনিটের মধ্যে এগিয়ে গিয়ে আত্মবিশ্বাসটাই অনেকটা বাড়িয়ে নিয়েছিল লেভান্তে। যার প্রভাব দেখা গেল ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। দু’মিনিটের মধ্যেই ২-০ হয়ে যেতে পারত। কিন্তু বারধির শট ক্রসপিসে লেগে ফেরে।

স্ট্রিট চাইল্ড ওয়ার্ল্ড কাপ, একটা স্বপ্ন দেখা যেতেই পারে

পুরো ম্যাচে বার্সেলোনার রক্ষণ আর গোলকিপিং দেখলে কান্না পাবে সমর্থকদের। এত জঘন্য ডিফেন্স নিয়ে হয়ত এর আগে খেলেনি বার্সা। আর গোলকিপিং? মার্ক আন্দ্রে তের স্টেগান কী করলেন, কী করতে চাইলেন বোঝা গেল না। বেশিরভাগ সময়ই নিজের জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে দলকে গোল হজম করালেন। এতটাই বেরিয়ে এলেন যে আর ফিরতে পারলেন না। তার আগে প্রতিপক্ষকে গোল করার রাস্তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন বার্সা ডিফেন্ডাররা বার বার। দ্বিতীয় গোলটিও এল বোয়েতাংয়ের পা থেকে। আবারও সেই ডিফেন্সিভ ল্যাপস।

বার্সেলোনার অপরাজিত চ্যাম্পিয়নের রেকর্ড

 

৩৮ মিনিটে কুটিনহোর গোলে সমতায় ফেরে বার্সা। সুয়ারেজকেই যা একটু দেখা গেল গোলের জন্য ছটফট করতে। এই গোলটিও তারই ফল। তিনিই সাজিয়ে দিয়েছিলেন ফিলিপ কুটিনহোকে। ২-১ থেকে ৩-১ হতে সময় লাগল না। যে বারধির শট ক্রসপিসে লেগে ফিরেছিল সেই বারধিই গোল করে আবার এগিয়ে দিলেন। ৪৯ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিকটি সেরে ফেললেন বোয়েতাং। ৪-১ এর পর ৫-১ করলেন সেই বারধি ৫৬ মিনিটে।

৫-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে খেলায় ফেরার মরিয়া চেষ্টা দেখা যায় বার্সেলোনার মধ্যে। সেখান থেকে ৫-৪এ ম্যাচ শেষ করলেও সমতায় ফিরতে পারেনি চ্যাম্পিয়নরা। ৫৯ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন কুটিনহো। ৬৪ মিনিটে তিনিও হ্যাটট্রিকটি সেরে ফেলেন। পেনাল্টি থেকে চতুর্থ গোল সুয়ারেজের। জোড়া হ্যাটট্রিক এল দুই দলেরই। কিন্তু একজন উৎসব করলেন আর একজন মাথা নীচু করে মাঠ ছাড়লেন। ৪৩তম ম্যাচে এসে ভাঙল অপরাজিত থাকার দৌড়।