বিদায় কুলুথুঙ্গন, কান্নায় ভাসছে কলকাতা ময়দান থেকে ভারতীয় ফুটবল

বিদায় কুলুথুঙ্গান

জাস্ট দুনিয়া ব্য়ুরো: বিদায় কুলুথুঙ্গন। কলকাতায় খবরটা এসে পৌঁছেছিল শনিবার ভোরবেলা। তার কিছু ক্ষণ আগেই তামিলনাড়ুর থাঞ্জাভুরে এক বাইক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন কালিয়া পেরুমল কুলুথুঙ্গন। মাত্র ৪১ বছর বয়সে জীবনের মাঠ ছেড়ে চলে গেলেন তিনি।

তামিলনাড়ুর ফুটবলার কালিয়া কুলুথুঙ্গন কলকাতা ময়দানের ভীষণ প্রিয় ছিলেন। সেই ২০০২ থেকে কলকাতা ময়দানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। সেই সময় তিনি খেলতেন ইস্টবেঙ্গলে। ২০০৫ থেকে পরের দু’বছর খেলেছিলেন মহামেডানে। পরের দু’বছর মুম্বই এফসি। ২০০৯-এ মোহনবাগানে যোগ দেন ওই মিডফিল্ডার। মাত্র একটা মরসুম খেলেই চলে গিয়েছিলেন কেরলের ভিভায়। ২০১২তে আবারও কলকাতা ময়দান। ভবানীপুর ফুটবল ক্লাব। ওই ক্লাব থেকেই ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছিলেন কালিয়া কুলুথুঙ্গন। এই সেই কুলুথুঙ্গন যাঁকে নিয়ে এসেছিলেন, ইস্টবেঙ্গলের প্রয়াত কর্তা স্বপন বল। দীর্ঘ অসুস্থতা কাটিয়ে আজকের দিনেই গত বছর চলে গিয়েছিলেন সবার প্রিয় স্বপনদা। সেই দিনই চলে গেলেন কুলু।

সুস্থ হয়ে উঠুক অনির্বাণ 

তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুরে জন্ম কালিয়া কুলুথুঙ্গনের। সেটা ১৯৭৭ সাল। তাঁর কেরিয়ারে সাফল্যের অনেকগুলি মাইলস্টোন রয়েছে। ২০০৩-এ আশিয়ান কাপ ছাড়াও লাল-হলুদ জার্সিতে পর পর দু’বছর ২০০২-০৩ এবং ২০০৩-০৪-এ জাতীয় লিগ জেতা দলে ছিলেন তিনি। ইস্টবেঙ্গলেরই জার্সিতে জিতেছেন ফেডারেশন কাপ। আশিয়ান জয়ী কোচ সুভাষ ভৌমিকের অন্যতম প্রিয় ছাত্র ছিলেন কালিয়া কুলুথুঙ্গন। এ দিন তাঁর মৃত্যুর খবর কলকাতায় এসে পৌঁছতেই ময়দানে শোকের মেঘ। ঘরের ছেলের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না কান্নাভেজা ময়দান।

প্রিয় ফুটবলারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে মহামেডান ক্লাব। টুইট করে ক্লাবের তরফে তাঁ আত্মার শান্তি কামনা করা হয়েছে। ফেসবুকে স্বজনহারানোর মুহূর্ত নিয়ে লিখেছেন প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড় সুরেশ। লিখেছেন, ‘‘হাসিটা মিলিয়ে গেল। ভাই, তুমি আমার হৃদয়ে থাকবে। আই লভ ইউ কুলু।’’ চেন্নাই থেকে তার পরে কলকাতায় খেলতে এসেছিলেন মোহনরাজ। থেকে গিয়েছেন কলকাতাতেই। এই খবর শুনে স্তম্ভিত মোহনরাজ।  বলছেন, ‘‘মানতে পারছি না।’’ একই প্রতিক্রিয়া কলকাতা ময়দানেরও।