কলকাতা ডার্বি: মরসুমে প্রথম ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ঘিরে উত্তাল বাংলা

কলকাতা ডার্বি

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: কলকাতা ডার্বি ঘিরে রাত জাগছে শহর, ঘুম এল কি আলেজান্দ্রো, ভিকুনার? রাত পোহালেই কলকাতা ডার্বি। যার জন্য সারা বছর ধরে মুখিয়ে থাকে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের সমর্থকরা। সূচি ঘোষণা হতেই শুরু হয়ে যায় সেই দিনটির অপেক্ষা। সে কলকাতা লিগ হোক বা আই লিগ বা পড়ে পাওয়া চোদ্দআনা কোনও ডার্বি। উন্মাদনার কোনও হেরফের হয় না। আবারও একটা ডার্বি। আবারও মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। মরসুমের প্রথম ডার্বি খেলতে নামছে দুই দল। উত্তেজনা যে তুঙ্গে থাকবে তা তো স্বাভাবিকই। দুই বিদেশি কোচের লড়াইয়ে কে শেষ হাসি হাসবে এখন সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন।

ডার্বি কখনও আগাম বার্তা দিয়ে আসে না। মাঠের ওই ৯০ মিনিট যা খুশি তাই হতে পারে। চূড়ান্ত সাফল্যের তুঙ্গে থাকা দল মুখ থুবড়ে পড়তে পারে আবার হতাশাজন অবস্থা থেকে জেগে উঠতে পারে। কেউ । ডার্বির মহিমা এতটাই।

এ বার মুখোমুখি দুই বিদেশি কোচ। একজন ইতিমধ্যেই গত মরসুমের আই লিগের দুটো ডার্বি জিতে স্বাদ পেয়েছেন এই জয়ের। আর একজনের জন্য নতুন অভিজ্ঞতার অপেক্ষা। ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেজান্দ্রো দাঁড়িয়ে ডার্বি জয়ের হ্যাটট্রিকের সামনে। আর অন্য দিকে মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনা, প্রথম একলাখের (এখন কমে সেটা ৬৫ হাজার হয়েছে) ভর্তি গ্যালারি দেখবেন। দেখবেন ডার্বির উত্তেজনা।

তবে দুই কোচকেই ভাবাচ্ছে কলকাতার গরম আর সঙ্গ তীব্র আদ্রতা। যা প্রায় ১০০ শতাংশের কাছাকাছি। তার মধ্যে দুপুর তিনটে থেকে খেলা। যা নিয়ে বিরক্ত দুই কোচ। দু’জনেই এক প্রশ্ন করছেন, ‘‘কেন ম্যাচ সন্ধে সাতটায় দেওয়া হল না?’’ এই আবহাওয়ায় যে সেরা ফুটবল দেওয়া যায় না তা খুব ভাল করে জানেন দুই অভিজ্ঞ কোচ।

(খেলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

ডার্বির আগের দিন ক্লোজডোর অনুশীলনে সাংবাদিকদের ঢোকার অনুমতি নেই। ২৪ ঘণ্টা আগে ঘুটি সাজিয়ে ফেলেছেন দুই জুজুধান কোচ। তৈরি গেমপ্ল্যান। কে দেবে কাকে মাত, কে জিতে নেবে মরসুমের প্রথম ডার্বি? তার জন্য আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। এ বার দুই পক্ষেরই বাজি বিদেশিরা। কে বলতে পারে সেই ফাঁকেই নায়ক হয়ে যেতে পারেন কোনও ভারতীয়, কোনও বাঙালি।

শুক্রবারই শেষ হয়ে গিয়েছে ডার্বির প্রায় সব টিকিট। এখন শুধু হাহাকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় আবদার, ‘‘দুটো টিকিট হবে দাদা? খুব উপকার হয় তাহলে।’’ কোনও জবাব নেই তার। কারন কেউ পাওয়া টিকিট হাতছাড়া করবেন না। অগত্যা অনেককেই টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখতে হবে। তবুও গোটা বাংলা মিলে যাবে ওই যুবভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে। স্বশরীরে বা মনে মনে। আসলে সব আবেগটাই ওই ৯০ মিনিট থাকবে যুবভারতীর সবুজ ঘাসে।