ISL 8 Ritwik Das-এর কাছে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোলই সেরা

ISL 8 Ritwik Das

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: তাঁর গোলেই এ বারের হিরো আইএসএলে লিগশিল্ড জিতল জামশেদপুর এফসি। তাই এই মুহূর্তে পৃথিবীর অন্যতম সুখী মানুষ আসানসোলের তরুণ ঋত্বিক দাস (ISL 8 Ritwik Das)। সোমবার এটিকে মোহনবাগানকে ১-০-য় হারিয়ে লিগের এক নম্বর জায়গাটা পাকা করে নেয় ইস্পাতনগরীর দল। এর মানে আগামী মরশুমে তাদেরই এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার কথা। সোমবার ৫৬ মিনিটের মাথায় গ্রেগ স্টুয়ার্টের পাস নিয়ে বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সের সামনে থেকে সোজা গোলে যে শট নেন ঋত্বিক, তা আটকাতে পারেননি সবুজ-মেরুন বাহিনীর গোলকিপার অমরিন্দর সিং।

তাঁর গোলে দলের লিগের সেরা হওয়াটা যে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো, তা জানিয়ে ঋত্বিক বলেন, “মরশুম শুরু হওয়ার সময় থেকেই এই জায়গায় পৌঁছনোটা ছিল আমার স্বপ্ন। তাই দারুন অনুভূতি হচ্ছে। এ রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানের মতো বড় দলের বিরুদ্ধে গোল করতে পারাটা আমার কাছে বিশেষ ব্যাপার”।

এই মোহনবাগান ক্লাবের ফুটবল স্কুলেই এক সময়ে পেশাদার ফুটবলের তালিম নিয়েছিলেন ঋত্বিক। সেই ক্লাবের বিরুদ্ধেই গোল এবং জামশেদপুরকে লিগ শিল্ড এনে দেওয়ার অনুভূতিটা খুব ‘স্পেশ্যাল’, তা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই ঋত্বিকের। বলেন, “এখন আমি জামশেদপুর এফসি-র খেলোয়াড়। তাই এই দল নিয়েই শুধু ভাবি। তবে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোল করতে পারাটা আমার কাছে অবশ্যই বিশেষ ব্যাপার”।

কলকাতার ফুটবলে ঋত্বিক অভিযান শুরু করেন কাস্টমসের হয়ে কলকাতা লিগের প্রথম ডিভিশনে খেলে। কালীঘাট এমএস-এর হয়ে তিনি প্রিমিয়ার ডিভিশন গ্রুপ ‘বি’-তে খেলেন। সেখান থেকেই রিয়াল কাশ্মীর তাঁকে ডেকে নেয় হিরো আই লিগে খেলার জন্য। ২০১৮-র ডিসেম্বরে আই লিগে অভিষেক হয় তাঁর। গত মরশুমের আগে তিনি কেরালা ব্লাস্টার্সে যোগ দেন, কিন্তু চারটির বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। এই মরশুমের আগের জামশেদপুরে যোগ দেন ও তাঁকে নিয়মিত খেলার সুযোগ দেন আওয়েন কোইল। তার ফল তিনি পেলেন লিগের শেষ পর্যায়ে। গত ছ’টি ম্যাচে চারটি গোল করেছেন ঋত্বিক। একটি করিয়েছেনও।

ফুটবলজীবনের সেরা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন ২৫ বছর বয়সি মিডফিল্ডার। এই ফর্মের জন্য তিনি কৃতিত্ব দেন দলের স্কটিশ কোচ আওয়েন কোইলকে। বলেন, “আমাদের কোচ আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে অনেক কিছু চান। অবশ্য প্রত্যেক ফুটবলারকে তার সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসও জোগান। ওঁর জন্যই প্রতি ম্যাচে আমরা উন্নতি করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠি এবং ভাল খেলি”।

এ বার সামনে নক আউট পর্ব— আরও কঠিন লড়াই। যে লড়াইয়ে এক মুহূর্তের ভুলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট। নক আউট পর্বে নিয়ে ঋত্বিক বলছেন, “এ বারই প্রথম আইএসএল সেমিফাইনালে উঠেছে আমাদের দল। লিগ শিল্ডও আমরা প্রথমবারই জিতেছি। আর কোনও বার এর জন্য লড়াই করার জায়গাতেও আসতে পারেনি জামশেদপুর। আমাদের প্রত্যেকের কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। চেষ্টা করব, সেরাটা দিয়ে চ্যাম্পিয়নও হওয়ার”।

(তথ্য ও লেখা আইএসএল ওয়েবসাইট)

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)