আইএসএল ২০২২-২৩ ট্রফি এবার মোহনবাগানের

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: টাই ব্রেকারে পাবলো পেরেজের পেনাল্টি শট বারের ওপর দিয়ে উড়ে যেতেই ফতোরদার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম কেঁপে উঠল সবুজ-মেরুন সমর্থকদের চিৎকারে। রীতিমতো শব্দের বিষ্ফোরণ ঘটল যেন। ততক্ষণে ফাইনালে পেনাল্টি শুট আউটে ৪-৩-এ বেঙ্গালুরু এফসি-কে হারিয়ে প্রথমবার হিরো আইএসএলের চ্যাম্পিয়নশিপ সুনিশ্চিত করে ফেলেছে এটিকে মোহনবাগান। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় সাফল্য এল কলকাতার দলে। ২০১৯-২০ মরশুমে শেষবার দেশের সেরা লিগের খেতাব কলকাতা নিয়ে আসে এটিকে এফসি। দু’বছর পর ফের তা আসছে ফুটবলের মক্কা কলকাতায়।

শনিবার রাতে খেতাবী লড়াইয়ে ১২০ মিনিট পর্যন্ত ফল ২-২ থাকার পরে ম্যাচ পেনাল্টি শুট আউটে গড়ায়। দিমিত্রিয়স পেট্রাটস, লিস্টন কোলাসো, কিয়ান নাসিরি ও মনবীর সিং তাঁদের দায়িত্বে সফল হন। তাঁদের গোলকিপার গোল্ডেন গ্লাভজয়ী বিশাল কয়েথ বেঙ্গালুরুর ব্রুনো সিলভার শট আটকে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু সুনীল ছেত্রীর দলের মিডফিল্ডার পাবলো পেরেজ বারের ওপর দিয়ে বল উড়িয়ে দিতেই হিরো আইএসএল ট্রফিতে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের নাম লেখা হয়ে যায়।

এটিকে মোহনবাগান তাদের অভিষেক মরশুমেই (২০২০-২১) ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু সেবার তারা মুম্বই সিটি এফসি-র কাছে ১-২-এ হেরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করে। কিন্তু দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় দেশের সেরা ফুটবল লিগের খেতাব জিতে নেয় তারা। এই জয়ের পরেই দলের পক্ষ থেকে তাদের প্রধান কর্তা সঞ্জীব গোয়েঙ্কা ঘোষণা করেন আগামী মরশুম থেকে সবুজ-মেরুন বাহিনী হিরো আইএসএলে খেলবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস নামে।

এ দিন নির্ধারিত ৯০ মিনিটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় দুই দলের মধ্যে। দুই দলের চারটি গোলের তিনটিই আসে পেনাল্টি থেকে। ১৪ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন অস্ট্রেলীয় ফরোয়ার্ড দিমিত্রিয়স পেট্রাটস। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মিনিটে পেনাল্টি থেকেই গোল শোধ করেন সুনীল ছেত্রী। ৭৮ মিনিটে কর্নারে হেড করে দলকে এগিয়ে দেন প্রাক্তন সবুজ-মেরুন তারকা রয় কৃষ্ণা। কিন্তু ৮৫ মিনিটের মাথায় ফের পেনাল্টি পায় এটিকে মোহনবাগান ও তা থেকে ফের সমতা আনেন পেট্রাটস। এর পরেও জয়সূচক গোলের একাধিক সুযোগ পেয়েছিল তারা। কিন্তু কোনওটিই কাজে লাগাতে পারেনি।

ফাইনালের প্রথম এগারোয় একটিমাত্র পরিবর্তন করে এটিকে মোহনবাগান। আশিক কুরুনিয়ান ফিরে আসেন এ দিন। বেঙ্গালুরু এফসি প্রথম এগারোয় পরিবর্তন না করলেও প্রথম মিনিটেই শিবশক্তি নারায়ণ চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ায় তাঁর বদলে সুনীল ছেত্রী নামতে বাধ্য হন। খেলার ছকেও কোনও দল পরিবর্তন করেনি। বেঙ্গালুরু যেখানে ৩-৫-২-এ শুরু করে, সেখানে এটিকে মোহনবাগান তাদের চেনা ছক ৪-২-৩-১-এ খেলা শুরু করে।

তীব্রতায় ভরা ফাইনালের শুরুতেই বল দখলের লড়াইয়ে আশিক ও কার্ল ম্যাকহিউয়ের মাঝখানে প্রায় স্যান্ডুইচ হয়ে গিয়ে চোট পান শিবশক্তি। তাঁর নাক থেকে রক্ত পড়তে শুরু করে। মিনিট খানেকের মধ্যেই তাঁকে স্ট্রেচারে শুইয়ে মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাঁর জায়গায় নামেন সুনীল ছেত্রী, যিনি গত কয়েকটি ম্যাচে শেষ দিকে নামছিলেন।

এরকম একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ায় শুরুতেই বেঙ্গালুরুর পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হয় তাদের কোচ সাইমন গ্রেসনকে। এই সুযোগে চাপ বাড়াতে শুরু করে এটিকে মোহনবাগান। ছ’মিনিটের মাথাতেই বাঁ দিক থেকে আশিকের লো ক্রস থেকে গোলের সুযোগ পেয়ে যান পেট্রাটস। কিন্তু ব্রুনো সিলভা স্লাইড করে বল ক্লিয়ার করে দেন। যদিও তা তাঁর এক সতীর্থের গায়ে লেগে ফের বক্সে ফিরে আসে। বক্সের মধ্যে তখন ছিলেন বুমৌসও। কিন্তু বেঙ্গালুরুর গোলকিপার গুরপ্রীত বলের দখল নেওয়ায় তিনি আর গোলের সুযোগ পাননি।

বেঙ্গালুরুও পাল্টা আক্রমণে ওঠার চেষ্টা শুরু করে। কিন্তু সবুজ-মেরুন শিবিরের প্রতি আক্রমণ ছিল আরও বেশি আগ্রাসনে ভরপুর। ১৩ মিনিটের মাথায় পেট্রাটসের কর্নার কিক গোলের সামনে গুরপ্রীত ক্লিয়ার করে দিলেও তা দ্বিতীয় পোস্ট পেরিয়ে চলে যায় গোলের ডানদিকে। সেই বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে হ্যান্ডবল করে ফেলেন রয় কৃষ্ণা। রেফারি হরিশ কুণ্ডুর নজর এড়ায়নি এই হ্যান্ডবল এবং অবধারিত ভাবে তিনি পেনাল্টি দেন এটিকে মোহনবাগানকে। পেনাল্টিতে কোনও ভুল করেননি দিমিত্রিয়স পেট্রাটস (১-০)।

এই মরশুমে বেঙ্গালুরু প্রথমে গোল খেয়ে আর জয়ে ফিরতে পারেনি। কিন্তু এই পরিসংখ্যান বদলানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বেঙ্গালুরু এফসি। খেলার তীব্রতা বাড়লেও মাথা ঠাণ্ডা রেখেই তাঁরা আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে। ২৪ মিনিটের মাথায় সুনীল বল নিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়লেও অসাধারণ ট্যাকল করে তাঁর চেষ্টা ব্যর্থ করেন প্রীতম কোটাল। পরের মিনিটেই সবুজ-মেরুন বক্সের ঠিক সামনেই ফ্রি কিক পায় বেঙ্গালুরু এবং ওয়ালের ওপর দিয়ে হাভিয়ে হার্নান্ডেজের যে মাপা শট গোলে ঢুকছিল, তা দুর্দান্ত ভাবে আটকান বিশাল কয়েথ।

যে রয় কৃষ্ণার ভুলে পেনাল্টি পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান, সেই রয় কৃষ্ণাই প্রথমার্ধের বাড়তি সময়ে পেনাল্টি আদায় করে নেন। শুভাশিস বোস নিজেদের বক্সের মধ্যে থেকে বল উড়িয়ে দিতে গেলে দ্রতগতিতে তাঁর সামনে চলে আসেন রয়। শুভাশিসের পা সজোরে লাগে তাঁর হাঁটুতে এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ফিজিয়ান স্ট্রাইকার। রেফারি তৎক্ষণাৎ পেনাল্টি স্পটের দিকে আঙুল দেখিয়ে দেন।

পেনাল্টি থেকে নিখুঁত গোল করেন সুনীল (১-১)। এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়ার যে সুযোগ পেয়েছিল সবুজ-মেরুন শিবির, সেই সুযোগ হাতছাড়া হয় তাঁদের। প্রথমার্ধে যেখানে বল দখলে পিছিয়ে (৪৫-৫৫) থাকলেও গোলে শটের সংখ্যায় এগিয়ে ছিল (৩-২) সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।

বিরতির পরে যেখানে গ্ল্যান মার্টিন্সকে তুলে নিয়ে লালরিয়ানা হ্নামতেকে নামায় এটিকে মোহনবাগান, সেখানে আলেকজান্দার জোভানোভিচকে তুলে পাবলো পেরেজকে নামায় বেঙ্গালুরু। যার ফলে রক্ষণে তিনের বদলে চার খেলোয়াড়কে রেখে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে তারা।

কিন্তু ৫৪ মিনিটের মাথায় অপ্রত্যাশিত ভাবেই আশিককে তুলে লিস্টন কোলাসোকে নামান এটিকে মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো। এই সময়ে বল দখল বাড়িয়ে ও খেলার গতি কমিয়ে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার প্রবণতা দেখা যায় বেঙ্গালুরুর পারফরম্যান্সে। কিন্তু খেলায় গতি ফিরিয়ে এনে ফের ব্যবধান তৈরির জন্য মরিয়া হয়ে উঠতে দেখা যায় সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের।

৬০ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগও এসে যায় তাদের সামনে। হাভির পা থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে বক্সের বাইরে থেকে সোজা গোলে শট নেন কোলাসো, যা গোলে ঢোকার আগে আটকে দেন গুরপ্রীত। তাঁর হাত থেকে ছিটকে আসা বল আসে বক্সে থাকা পেট্রাটসের পায়ে। সামনে গুরপ্রীত ছাড়া কেউ ছিলেন না। কিন্তু অস্ট্রেলীয় ফরোয়ার্ডের দুর্বল শট দ্বিতীয় পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।

হুগো বুমৌসও এদিন কড়া পাহাড়ায় থাকায় স্বাধীন ভাবে খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। তাই নিজের চেনা ছন্দেও পাওয়া যায়নি তাঁকে। ৬৪ মিনিটের মাথায় আশিস রাইয়ের দেওয়া বল বক্সের মধ্যে বুক দিয়ে পায়ে নামিয়ে গোলের উদ্দেশ্যে যে শটটি নেন তিনি, সে রকম শটে প্রচুর গোল করেছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা বারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।

দুই দলেরই রক্ষণ যেখানে শক্তিশালী, সেখানে সেটপিস থেকে গোল করা ছাড়া কোনও রাস্তা নেই। এটিকে মোহনবাগান এই মরশুমে সেটপিসে বরাবরই দুর্বল। কিন্তু বেঙ্গালুরুর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা তা নয় এবং ৭৮ মিনিটের মাথায় সেই সেটপিস গোলেই এগিয়ে যান সুনীল ছেত্রীরা। সুরেশের কর্নার দ্বিতীয় পোস্ট পেরিয়ে রয়ের কাছে উড়ে গেলে দুর্দান্ত ও মাপা হেডে ফ্লিক করে জালে বল জড়িয়ে দেন রয় (১-২)। হ্নামতে তাঁর সঙ্গে লেগে থাকলেও ব্যর্থ হন তিনি।

নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ১২ মিনিট আগে রয়ের গোলে বেঙ্গালুরু এগিয়ে যাওয়ার পর যখন এটিকে মোহনবাগান সমর্থকেরা হতাশায় ডুবতে শুরু করে দেন, তখনই ফেরান্দোর দু’টি পরিবর্তনের সিদ্ধান্তই ছবিটা ফের পাল্টে দেয়। ৮৩ মিনিটের মাথায় কার্লের জায়গায় ফেদরিকো গায়েগোকে নামানোর সঙ্গে শুভাশিস বোসের জায়গায় তিনি নামান কিয়ান নাসিরিকেও।

এই কিয়ানকে ৮৩ মিনিটের মাথায় তাঁদের বক্সের মাথায় ঠেলে ফেলে দেন পাবলো পেরেজ, যার জেরে সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এ বারও পেট্রাটসই পেনাল্টি নিতে যান। তিনি যেদিকে শট নেন, সে দিকেই ঝাঁপান গুরপ্রীত। কিন্তু পেট্রাটসের তীব্র গতির শট আটকানোর উপায় ছিল না তাঁর (২-২)। এতক্ষণে সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। গোল শোধের পরই বুমৌসকে তুলে ব্রেন্ডান হ্যামিলকে নামান ফেরান্দো। যার ফলে প্রীতমকে সাইড ব্যাকের জায়গায় চলে যেতে হয়।

চার মিনিটের বাড়তি সময়ে এটিকে মোহনবাগান জয়সূচক গোলের যে সুযোগ পায় তা প্রবীর দাস গোল লাইনের সামনে না আটকালে ৯০ মিনিটেই খেতাব জিতে নিয়ে মাঠ ছাড়তেন প্রীতম কোটালরা। ডানদিক দিয়ে ওঠা মনবীর সিংয়ের মাপা ক্রস থেকে সোজা গোলে শট নেন পেট্রাটস, যা গোলে ঢোকার ঠিক আগের মুহূর্তে আটকে দেন প্রাক্তন সবুজ-মেরুন তারকা প্রবীর।

দামিয়ানোভিচ ও হ্যামিল গোলের সামনে থাকায় অতিরিক্ত সময়ে সবুজ-মেরুন রক্ষণ আরও দুর্ভেদ্য হয়ে ওঠে।  শুভাশিসও মাঠের বাইরে চলে যাওয়ায় তাঁর জায়গায় মোতায়েন হন প্রীতম ও ডানদিকে ছিলেন যথারীতি আশিস রাই। পরে অবশ্য ব্রেন্ডান হ্যামিলের জায়গায় সুমিত রাঠি নামায় ফের সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের জায়গায় চলে যান প্রীতম। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের সুযোগ পেয়ে যান রয় কৃষ্ণা। কিন্তু প্রীতমের প্রবল বাধার জেরে বক্সের মাথা থেকে নেওয়া তাঁর শট উড়ে যায় বারের ওপর দিয়ে।

এর পরেই ১১০ মিনিটে ফের জয়সূচক গোলের সুযোগ পেয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান, যখন বাঁ দিক থেকে দেওয়া পেট্রাটসের ক্রসে ঠিকমতো হেড করলেই গোল পেতেন মনবীর। কিন্তু ঠিকমতো মাথায় ছোঁয়াতে না পারায় সুযোগ হাতছাড়া হয়। অতিরিক্ত সময়ের একেবারে শেষ দিকে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া পেট্রাটসের গোলমুখী শট আটকাতে গিয়ে বল ফস্কান গুরপ্রীত, কিন্তু বল গোলে ঢোকেনি। ঢুকলে ম্যাচের নিষ্পত্তি পেনাল্টি শুট আউটে হত না। টাই ব্রেকারে বেঙ্গালুরুর অ্যালান কোস্তা, রয় কৃষ্ণা, সুনীল ছেত্রী গোল করলেও ব্রুনো, পেরেজদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত হতাশায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় প্রাক্তন হিরো আইএসএল চ্যাম্পিয়নদের।

এটিকে মোহনবাগান দল: বিশাল কয়েথ (গোল), আশিস রাই, প্রীতম কোটাল (অধি), স্লাভকো দামিয়ানোভিচ, শুভাশিস বোস (কিয়ান নাসিরি), কার্ল ম্যাকহিউ (ফেদরিকো গায়েগো), গ্ল্যান মার্টিন্স (লালরিনলিয়ানা হ্নামতে), হুগো বুমৌস (ব্রেন্ডান হ্যামিল, সুমিত রাঠি), আশিক কুরুনিয়ান (লিস্টন কোলাসো), মনবীর সিং, দিমিত্রিয়স পেট্রাটস।

বেঙ্গালুরু এফসি দল: গুরপ্রীত সিং সান্ধু (গোল), আলেকজান্দার জোভানোভিচ, সন্দেশ ঝিঙ্গন, প্রবীর দাস, রোশন নাওরেম (পরাগ শ্রীবাস), ব্রুনো সিলভা, সুরেশ ওয়াঙজাম, হাভিয়ে হার্নান্ডেজ (উদান্ত সিং), রোহিত কুমার (অ্যালান কোস্তা), রয় কৃষ্ণা, শিবশক্তি নারায়ণন (সুনীল ছেত্রী)।  

(লেখা ও ছবি আইএসএল ওয়েবসাইট থেকে)

অ্যাওয়ার্ডস: হিরো অফ দ্য লিগ- লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতে (মুম্বই সিটি এফসি), গোল্ডেন গ্লাভ- বিশাল কয়েথ (এটিকে মোহনবাগান), গোল্ডেন বুট- দিয়েগো মরিসিও (জামশেদপুর এফসি), সেরা উঠতি খেলোয়াড়- শিবশক্তি নারায়ণন (বেঙ্গালুরু এফসি)।

 

 

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle