ISL 2022-23 Bengali Footballer1: প্রবীর দাস ভরসা দিচ্ছেন বেঙ্গালুরুকে

ISL 2022-23 Bengali Footballer1প্রবীর দাস

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বাঙালি মানেই ফুটবল আর ফুটবল মানেই বাঙালি (ISL 2022-23 Bengali Footballer1)। ভারতের স্বাধীনতার পরে বাঙালি ফুটবলারদের ছাড়া কোনও বড় ফুটবলের আসর এ দেশে এ পর্যন্ত বসেছে বলে তো মনে হয় না। ভবিষ্যতেও হবে বলে মনে হয় না। একটা সময় ছিল ভারতের জাতীয় দলের কোচ ও বেশির ভাগ ফুটবলারই ছিলেন বাঙালি। এখনও ভারতীয় ফুটবল দলে একাধিক বাংলার প্রতিনিধি রয়েছেন। তাই বাঙালিদের বাদ দিয়ে এ দেশের ফুটবলের কথা ভাবাই যায় না।

হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগও কোনও ভাবেই এর ব্যতিক্রম নয়। একেবারে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত হিরো আইএসএলের সঙ্গে বাংলার ফুটবলাররা জড়িয়ে রয়েছেন। রহিম নবি থেকে মেহতাব হোসেন, প্রীতম কোটাল, নারায়ণ দাস, মহম্মদ রফিক, কিংশুক দেবনাথ, সুব্রত পাল, অর্ণব মণ্ডল, দেবজিৎ মজুমদার, প্রণয় হালদার, অরিন্দম ভট্টাচার্য, শুভাশিস রায়চৌধুরি, অভিজিৎ সরকার, প্রবীর দাস, রহিম আলি থেকে হাল আমলের ফারদিন আলি মোল্লা— তালিকাটা পুরো তৈরি করতে বসলে তা বিশাল হয়ে যাবে। তাহলে এবার দেখে নেওয়া যাক ISL 2022-23 Bengali Footballer1 কে?

প্রবীর দাস (রাইট ব্যাক, উইঙ্গার, বেঙ্গালুরু এফসি)

প্রায় পাঁচ বছর কলকাতার বিভিন্ন ক্লাবে খেলার পরে এ বারই কলকাতার বাইরে পাড়ি দিয়েছেন ২৮ বছর বয়সি এই ডিফেন্ডার ও উইঙ্গার। ২০১৬ থেকে তিনি কলকাতায় ছিলেন। সে বছর মোহনবাগানের হয়ে হিরো আই লিগে খেলেন প্রবীর এবং সেই বছরই জুলাইয়ে এটিকে এফসি-তে যোগ দেন লোনে। বছর শেষে মোহনবাগানে ফিরে যান। ২০১৭-র হিরো আইএসএলের আগে তিনি সই করেন এটিকে-তে। মাঝে গোটা একটা মরশুম পায়ের চোট সারানোর জন্য মাঠের বাইরেই বসে থাকতে হয় তাঁকে।

২০১৯-২০ মরশুমে চোট সারিয়ে ফিরে অসাধারণ খেলেন এটিকে-র হয়ে। সে বার এটিকে-র চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় তাঁর অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। পরের মরশুমে এটিকে ও মোহনবাগান জুটি বেঁধে নতুন ক্লাব তৈরি হওয়ায় সেই ক্লাবে যোগ দেন প্রবীর। কিন্তু এ বছর নিজের শহর ছেড়ে তিনি গেলেন বেঙ্গালুরু এফসি-তে।

২০১৯-২০-তে তাঁকে যে ফর্মে দেখা গিয়েছিল, পরের মরশুমে অবশ্য তাঁকে সেই ফর্মে আর পাওয়া যায়নি। সে ভাবে তাঁকে কাজেও লাগাননি দলের কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। কিন্তু এ বার বেঙ্গালুরু এফসি-তে ক্রমশ নিজেকে ফিরে পাচ্ছেন সোদপুরের প্রবীর। মরশুমের প্রথম টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপে তাঁর দল চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। এই টুর্নামেন্টে ছ’টি ম্যাচে ৫১১ মিনিট মাঠে থেকে তিনি দু’টি গোলে অ্যাসিস্ট করেন। বাংলায় অসংখ্য ভক্ত তাঁর। দু’বছর আগে তিনি হয়ে ওঠেন বাংলার ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকা। এ বারের হিরো আইএসএলে তাই বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের নজর অবশ্যই থাকবে তাঁর ওপর। 

(লেখা ও ছবি আইএসএল ওয়েবসাইট থেকে)

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle