আইএসএল ২০২০-২১ প্রথম ম্যাচ প্রিভিউ: এটিকে মোহনবাগান বনাম কেরালা ব্লাস্টার্স

আইএসএল ২০২০-২১ প্রথম ম্যাচলড়াই দুই চ্যাম্পিয়ন কোচের। ছবি: এটিকে মোহনবাগান টুইটার

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আইএসএল ২০২০-২১ প্রথম ম্যাচ শুরু হচ্ছে এটিকে মোহনবাগান বনাম কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচ দিয়ে শুক্রবার। গত মার্চে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ফাইনালের আট মাস পরে হিরো আইএসএল-এর সপ্তম মরশুম শুরু হতে চলেছে। গোয়ার বাম্বোলিমের জিএমসি স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে আইএসএল ২০২০-২১ । যেখানে লড়াই শুধু দুই দলের নয়, দুই চ্যাম্পিয়ন কোচেরও। গত মরশুমে হিরো আইএসএল-এ এটিকে এফসি-কে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন যে কোচ, সেই আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দলের সঙ্গে লড়াই গত বার হিরো আই লিগ জয়ী কোচ কিবু ভিকুনার। দু’জনেই স্পেনের। সুতরাং শুক্রবার লড়াই দুই স্প্যানিশ ফুটবল ঘরানারও।

যদিও দুই কোচই মানতে নারাজ যে লড়াইটা তাঁদের মধ্যে, “ফুটবলে আসল লড়াই হয় মাঠে, ফুটবলারদের মধ্যে”, বলেছেন ভিকুনা। অন্য দিকে, হাবাস বলেন, “উনি খুব ভাল কোচ। ওঁকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি”। শুক্রবার জিএমসি স্টেডিয়ামের দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে অন্য রকমের ফুটবল যুদ্ধে কোন কোচের কৌশল সুপারহিট হবে, কার ফ্লপ, সে তো সময়ই বলবে।

গত মরশুমে যে দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন হাবাস, সেই এটিকে এফসি-র বেশির ভাগ ফুটবলারকেই তিনি রেখেছেন তাঁর নতুন ক্লাব এটিকে মোহনবাগানে। তাঁদের সঙ্গে সন্দেশ ঝিঙ্গন, শুভাশিস বসু, তিরি, ব্র্যাডেন ইনম্যান-দের জুড়ে দিয়ে নিজের দলটাকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছেন হাবাস।

রক্ষণের ছয় ফুটবলার প্রবীর দাস, প্রীতম কোটাল, সুমিত রাঠি, তিরি, ঝিঙ্গন ও শুভাশিস—প্রত্যেকেরই প্রথম দলে খেলার যোগ্যতা রয়েছে। মাঝমাঠেও তেমনই ১২জনের মধ্যে অন্তত ন’জনই প্রথম দলে কড়া নাড়তেই পারেন। চারজন ফরোয়ার্ডের মধ্যে তিনজনই সে রকম। হাবাস বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের সব বিভাগেই ভাল ভাল খেলোয়াড় রয়েছে। খুব ভাল দল হাতে আছে আমার। অনেককেই টানা খেলানো যাবে না, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাতে হবে। অন্যান্যবারের তুলনায় রোটেশন বেশি করতে পারব। দীর্ঘ লিগে সেটা দরকারও”।

এ দিন বলেন, “জয় দিয়ে শুরু করা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। বিপক্ষের লক্ষ্যও একই থাকে। তবে আমার কাছে প্রথম ম্যাচও যা পরের সব ম্যাচও তাই”। চার ডিফেন্ডারে খেললে প্রীতম, প্রবীরের সঙ্গে হয়তো তিরি, ঝিঙ্গনকে দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মাঝমাঠের চার ফুটবলার হতে পারেন হাভিয়ে হার্নান্ডেজ, এডু গার্সিয়া, জয়েশ রানে ও মাইকেল সুসাইরাজ এবং দুই ‘গোল মেশিন’ রয় কৃষ্ণা ও ডেভিড উইলিয়ামস তো আক্রমণে অবধারিত বাছাই।

সন্ধ্যা .৩০ থেকে

টিভিতেস্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্ক

স্ট্রিমিং: ডিজনি প্লাস হটস্টার  জিও টিভি

কেরালা ব্লাস্টার্সের কোচ কিবু ভিকুনাও কোনও ঝুঁকি নেবেন বলে মনে হয় না।  তিনি বলছেন, “এই লিগে ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলে যাওয়াটা খুবই জরুরি। তা হলেই সেরা চারে থাকা যাবে”। এ বার এই দলে যোগ দিয়েছেন নিশু কুমারের মতো বৈচিত্রপূর্ণ ডিফেন্ডার, যিনি ফুলব্যাক হিসেবে খেলা পছন্দ করলেও রক্ষণে যে কোনও পজিশনে খেলতে পারেন।

জেসেল কার্নেইরোকে সঙ্গে নিয়ে নিশু দলের রক্ষণকে আরও মজবুত করবেন হয়তো। সঙ্গে দুই বিদেশি ডিফেন্ডার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বাকারি কোন ও কোস্তা নামোইনেসু দুর্ভেদ্য রক্ষণ তৈরি করে দিতে পারেন। রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামসরা এই রক্ষণের দেওয়াল কী করে ভাঙবেন, সেটাই দেখার।

বাংলার ঋত্বিক দাস, ধনচন্দ্র, রোহিত কুমার, নঙদাম্বা নাওরেমদের নিয়ে গড়া মাঝমাঠের অভিজ্ঞতা কম হতে পারে, তবে দুই বিদেশি মিডফিল্ডার ভিনসেন্তে গোমেজ ও সের্গিও সিদোনচা সেই অভাব পূরণ করে দিতে পারেন। প্রাক্তন সেলটিক স্ট্রাইকার গ্যারি হুপার দলের বড় ভরসা। একটা প্রশ্ন হল, রাহুল কেপি ও সাহাল আব্দুল সামাদদের সঙ্গে তিনি ঠিকমতো মানিয়ে নিতে পারবেন কি না।

নিজের দল নিয়ে ভিকুনা বলেছেন, “আমাদের দল নতুন হতে পারে। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রস্তুতির পরে নিজেদের মধ্যে একটা ভাল বোঝাপড়া গড়ে তুলেছে ওরা। আশা করি দল হিসেবে আমাদের ছেলেরা ভালই খেলব। এই লিগে সব ম্যাচই কঠিন ও কোনও প্রতিপক্ষই সহজ নয়। প্রতি ম্যাচে আমাদের সেই মানসিকতা নিয়েই নামতে হবে। সে প্রথম ম্যাচ হোক বা অন্য কোনও ম্যাচ”।

হাবাস বলেন, “কোনও না কোনও দলের বিরুদ্ধে তো শুরুর দিকে খেলতেই হত। কেরালা হোক বা ইস্টবেঙ্গল, সবাই আমার কাছে প্রতিপক্ষ হিসেবে সমান গুরুত্বপূর্ণ। কেউই স্পেশাল নয়। তাই এটা নিয়ে ভাবছি না”।

(খেলার জগতের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

লেখা আইএসএ‌ল ওয়েবসাইট থেকে