ওয়াটসন ঝড় আর চেন্নাইয়ের প্রত্যাবতর্ন, ওয়াংখেড়েতে ফিরে এল ২০১১র সেই রাত

চেন্নাই সুপার কিংস

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ওয়াটসন ঝড় আর চেন্নাইয়ের প্রত্যাবতর্ন । খেলা শেষে একটাই কথা মনে হচ্ছিল, এই দিনটার জন্যই হয়ত দু’বছরের নির্বাসন কাটিয়ে ফিরেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। ফিরেছিলেন ধোনি, রায়নারা। ফিরেছিল আরও একটা আইপিএল।যার জেড়ে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে যেন পিছিয়ে গেল সাত সাতটা বছর। এই মাঠেই ধোনির হাত ধরে ১৯৮৩র পর বিশ্বকাপ এসেছিল ভারতের ঘরে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় এনে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কুল। এদিন যেন ওয়াংখেড়ে ফিরে পেল সেই ২০১১র উত্তেজনা, টানটান লড়াই, দুরন্ত ব্যাটিং, শেষ পর্যন্ত মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকা।আর এদিন ব্যাট হাতে খেল দেখালেন চেন্নাই সুপার কিংসের শেন ওয়াটসন।

টস জিতে ওয়াংখেড়েতে যে কেউ রান চেস করতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। ওয়াংখেড়ের পিচটাই এমন। আর সেই অঙ্কে শুরুতেই জিতে গিয়েছিলেন ধোনি। টস জিতে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। ঋদ্ধিমান সাহা চোটের জন্য না থাকায় ফাইনালে উইকেটকিপার ছিলেন আর এক বঙ্গ সন্তান শ্রীবৎস গোস্বামী। কিন্তু তাঁর ব্যাটে শুরুটা ভাল হল না হায়দ্রাবাদের। মাত্র পাঁচ রান করে ফিরে গেলেন প্যাভেলিয়নে।

শ্রীলঙ্কায় পিচ গড়াপেটায় এক ভারতীয়

আর এক ওপেনার শিখর ধবন ২৬ রান করতে নিলেন ২৫টি বল। এর পর কিছুটা হাল ধরলেন উইলিয়ামসন ও ইউসুফ পাঠান। ক্যাপ্টেনের ব্যাট থেকে এল ৩৬ বলে ৪৭ রান। পাঠান করলেন ২৫ বলে ৪৫। মাঝে মাত্র ২৩ রান করে আউট হলেন সাকিব। হুদা ফিরলেন ৩ রানে। ব্রেথওয়েট ২১। ১৭৮-৬এ শেষ হয়ে গেল হায়দ্রাবাদের ইনিংস। টার্গেটটা খুব যে খারাপ ছিল এমনটা নয়। কিন্তু যখন ওয়াটসনের ব্যাট চলে তখন কোনও লক্ষ্যই যে কঠিন নয় তা আরও একবার প্রমাণ হল। চেন্নাইয়ের চাহার ছাড়া সবাই একটি করে উইকেট পেলেন।

এর পর শুরু থেকেই চলল ওয়াটসন ঝড়। যা থামল জয়ের রান নিয়েই। উল্টোদিকে দু প্লেসি ১০, রায়না ৩২ করে ফিরে গিয়েছেন। যে ভাবে ওয়াটসনের ব্যাট চলছিল তাতে উল্টোদিকে একটা লোক দাঁড়িয়ে থাকলেই জয় এসে যেত। অনেকটা তেমনই হল। ৫০ বলে যখন ৯৯ নিয়ে ব্যাট ঠুকছেন ওয়াটসন তখন তাঁর ব্যাটের ঝড় সাইক্লোন হয়ে পৌঁছে গিয়েছে সচিন তেন্ডুলকর, বিজয় মার্চেন্ট স্ট্যান্ডে। সেখানেও তখন হলদে দাপট। ৫১ বলে সেঞ্চুরির রান যখন নিলেন তখন দলের জিততে বেশ কিছু রান বাকি রয়েছে। উল্টোদিকে অম্বাতি রায়ডু ধরলেন আর কাজ করে গেলেন ওয়াটসন। নামের পাশে লেখা হয়ে গেল আইপিএল-এর দুটো সেঞ্চুরি। উইনিং রান এল রায়ডুর ব্যাট থেকে।