জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ভারত বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচে পুরো একটা দিন ব্যাট করে দিল ইংল্যান্ড। ভারতের মতই ক্রিজ কামড়ে পড়ে থাকলেন ব্রিটিশরা। চতুর্থদিন যখন শেষ হল তখন ইংল্যান্ড ৩১১/৯। হাতে রয়েছে একদিন। এই সিরিজের প্রথম টেস্ট জয় মাত্র ১ উইকেট দুরে রয়েছে ভারত। প্রথম দুটো টেস্ট পাঁচ দিন গড়ায়নি। প্রথম টেস্ট শেষ হয়েছিল চার দিনে। দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হয় তিন দিনে। কিন্তু তৃতীয় টেস্ট পাঁচ দিন গড়াবে এটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল চতুর্থদিন ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়েই।
ম্যাচের তৃতীয় দিন টি-এর পর ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছিল ভারত। ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে থামে ৩৫২/৭-এ। তার আগে প্রথম ইনিংসে ৩২৯এ অল-আউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। জবাবে ব্যাট করতে এসে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ১৬১ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। তৃতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ২৩ রানই করতে পেরেছিল।
কিন্তু চতুর্থদিন প্রথম থেকেই মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে না পারলেও পঞ্চম উইকেট থেকে ইংল্যান্ড ইনিংসের হাল ধরলেন বেন স্টোকস ও জোস বাটলার। প্রথম দুই ওপেনারকে প্যাভেলিয়নে পাঠালেন ইশান্ত শর্মা। অ্যালেস্টার কুক ১৭ ও জেনিংস ১৩ রানে ফিরলেন লোকেশ রাহুল আর ঋষভ পন্থকে ক্যাচ দিয়ে। তিন ও চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ক্রিজে টিকতে পারলেন না অধিনায়ক জো রুট আর পোপ। বুমরাহর বলে লোকেশকে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ১৩ রান করে আউট হলেন রুট। পোপ ফিরলেন মহম্মদ শামির বলে বিরাট কোহালির এক অনবদ্য ক্যাচে।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে ব্যাট করতে নেমে ধিরে চলো নীতি নিলেন স্টোকস ও বাটলার। পোপ যখন আউট হন তখন ইংল্যান্ডের রান ছিল ৬২। সেখান থেকে ইংল্যান্ডের ইনিংসকে ২০০র গণ্ডি পার করালেন এই দুই ব্যাটসম্যানই। জোস বাটলার এই চাপের মধ্যেই সেঞ্চুরি হাঁকালেন। পাশে থেকে সমানে সমানে সঙ্গত দিয়ে গেলেন বেন স্টোকস। আউট হলেন ৬২ রানে। এই খেলা গড়াল পঞ্চম দিনে। যদি ভারতের জয় এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আশা করাই যায় বুধবার দিনের শুরুতেই জয় তুলে নেবে ভারত। জিততে হলে এখনও ২১০ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে। হাতে পুরো একটা দিন থাকলেও রয়েছে মাত্র ১ উইকেট। যা নিয়ে এই লড়াই দেওয়া সম্ভব নয়।
প্রথম ইনিংসে ৯৭ রানের ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৩ রান করলেন ভারত অধিনায়ক
তৃতীয় টেস্টে টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে বিরাট কোহলির ৯৭ রান ছাড়া আর কোনও বড় রান নেই। অল্পের জন্য প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাতছাড়া হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে তা তুলে নেন ভারত অধিনায়ক। ওকসের বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ১০৩ রান করে ফেলেন বিরাট। আর সেঞ্চুরি করেই সবাইকে বুঝিয়ে দিলেন তাঁর জীবনে স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার গুরুত্ব। মাঠ থেকেই ফ্লাইং কিস ছুড়লেন আর তার পর জানিয়ে দিলেন, কী ভাবে স্ত্রী বদলে দিয়েছেন তাঁর জীবনটাই তা তিনি পিছন ঘুরে দেখলেই বুঝতে পারেন। এটাই বিরাট কোহলি একদিকে যতটা টিমম্যান ততটাই ফ্যামিলিম্যানও। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে সাফল্য পেলেন আরও দু’জন। বিরাটকে দারুণ সঙ্গত দিয়ে গেলেন চেতেশ্বর পূজারা। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৭২ রান। যদিও খেললন ২০৮ বল। কিন্তু টেস্টে এটা গ্রহনযোগ্য। আর সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৫২ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকলেন হার্দিক পাণ্ড্য।
প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। আর দ্বিতীয় ইনিংসে সেই কাজটি করলেন যশপ্রীত বুমরাহ। বুধবার আর একটা উইকেট নিলেই কাজ শেষ তৃতীয় টেস্টের।