সিরিজ হার ভারতের, পর পর তিন ম্যাচে হার বিশ্বকাপের আগে

সিরিজ হার ভারতেরসিরিজ জয়ের পর অস্ট্রেলিয়া দল। ছবি-টুইটার

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সিরিজ হার ভারতের । টানা সাফল্যের পথে হাঁটতে হাঁটতে আবার একটা দিন আসে যখন ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হয়। এটাই বাস্তব। তা হলে কি ভারতীয় ক্রিকেট দলের সেই সময় এসে গেল? সাফল্যের তুঙ্গে থাকা একটা দল না হলে ঘরের মাঠে এ ভাবে সিরিজ হেরে বসবে কেন? কেনই বা তাদের কাছে সিরিজ হারবে যাদের কয়েক মাস আগেই তাঁদের ঘরের মাঠে গিয়ে হারিয়ে এসেছিল? ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ এমনই এক অশনী সঙ্কেত দিয়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য। এটা যদি সত্যি হয় তাহলে বিশ্বকাপ ঘিরে যে গোটা বিশ্বের জল্পনা তা কিন্তু মাঠে মারা যাবে।

বিশ্বকাপের আগে এটাই ছিল ভারতের শেষ ওডিআই ম্যাচ। এই সিরিজ থেকেই বিশ্বকাপের জন্য সেরা ১৫ জনকে বেছে নেওয়ার কথা। কিন্তু সেটাও কি সম্ভব হল? সে তিনি বোলার হোক বা ব্যাটসম্যান, স্পিনার হোক বা পেসার, টপ অর্ডার হোক বা মিডল অর্ডার… সবাই টিম ম্যানেজমেন্টের কপালে ভাজ ফেলার জন্য যথেষ্ট পারফর্মেন্স করলেন।

প্রথম দুই ম্যাচ হায়দ্রাবাদ ও নাগপুরে জিতে নিয়েছিল ভারত। যখন মনে হচ্ছিল পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ফল তিন ম্যাচেই হয়ে যাবে তখনই জোড় ধাক্কাটা দিল অস্ট্রেলিয়া রাঁচি ম্যাচ জিতে নিয়ে। এর পর তিনটি ম্যাচই জিতে সিরিজও জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া।

মোহালিতে যেখানে ভারতের দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা দীর্ঘ ব্যর্থতা কাটিয়ে ফর্মে ফিরে নারেন পাহাড় তৈরি করলেন সেখানে ডোবালের ভারতের বোলার ও ফিল্ডাররা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-২ হয়ে যাওয়ায় বুধবার সিরিজের শেষ ম্যাচ ছিল মাস্ট উইন দুই দলের জন্যই। যাতে সফল অস্ট্রেলিয়াই।

ভারতের বোলিংকে নাস্তানাবুদ করে সিরিজ ২-২ করল অস্ট্রেলিয়া

টস জিতে দিল্লির ফিরোজ শা কোটলা স্টেডিয়ামে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। টস বিরাট কোহলি বুঝিয়েই দিয়েছিলেন প্রথমে ব্যাট করাটাই এই সারফেসে সঠিক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি হলেও প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিতাম। আশা করব পরের দিকে পিচ আর শিশির বেশি সমস্যায় ফেলবে না আমাদের।’’ কিন্তু এটা কোনও অজুহাত হতে পারে না। শেষ ম্যাচে চূড়ান্ত ব্যর্থ ভারতের সব ডিপার্টমেন্ট।

প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ২৭২ রান তুলল উসমান খোয়াজার ১০০ ও পিটার হ্যান্ডকসম্বের ৫২ রানের সুবাদে। প্রথম দিকে রান আটকাতে বা উইকেট নিতে ব্যর্থ ভারতের বোলাররা। ৭৬ রানে এক উইকেটের অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় উইকেট পড়ল ১৭৫ রানে। এর পর অবশ্য কিছুটা সচল হল ভারতের বোলিং। যার ফলে ৩০০ রানে পৌঁছে যায়নি অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ভুবনেশ্বর কুমারের তিন, মহম্দ শামি ও রবীন্দ্র জাডেজার দুই ও কুলদীপ যাদবের এক উইকেটের সৌজন্যে অস্ট্রেলিয়া নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেটে থামে ২৭২ রানে। এ দিন বল হাতে র্ব্য যশপ্রীত বুমরা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে১২ রান করে ফিরে যান শিখর ধাওয়ান। ৮৯ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন রোহিত শর্মা। যা কাজে লাগার থেকে বেশি বল নষ্ট মনে হতে পারে। এর পর বিরাট কোহলি (২০), ঋষভ পন্থ (১৬), বিজয় শঙ্কর (১৬), রবীন্দ্র জাডেজা (০) রানে ফিরে যান।

ভারতীয় ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন কেদার যাদব (৪৪) ও ভুবনেশ্বর কুমার (৪৬)। দু’জনে যেভাবে ব্যাট করছিলেন মনে হচ্ছিল ম্যাচ জিতেও যেতে পারে ভারত। কিন্তু এই দু’জন আউট হতেই সব আশা শেষ হয়ে যায়। ৫০ ওভারে ২৩৭ রানে শেষ হয়ে যায় ভারত। ৩৫ রানে হেরে সিরিজ শেষ করে ভারত।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বল হাতে সফল অ্যাডাম জাম্পা। তিন উইকেট নেন তিনি। দু’টি করে উইকেট নেন প্যাট কামিন্স, ঝাই রিচার্ডসন ও মার্কাস স্তইনিস। অস্ট্রেলিয়ার সামনে এখন আবার দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের ওডিআই সিরিজ। ভারতের প্লেয়ারদের ছিয়ে পড়বেন আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিতে।

(খেলার আরও খবরের জন্য ক্লিক কুন এই লিঙ্কে)