পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচে দুই বিপরিত দৃশ্যের সাক্ষী থাকল আবু ধাবি

পাকিস্তান-আফগানিস্তান

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচ দেখল দু’রকম দৃশ্য। এশিয়া কাপে আফগানিস্তান বনাম পাকিস্তান ম্যাচের ঘটনা। যেখানে ম্যাচ শেষে আফগানিস্তান বোলারকে সান্ত্বনা দিলেন পাকিস্তান ব্যাটসম্যান। সেখানে ম্যাচের মাঝে পাকিস্তান ব্যাটসম্যানকে আউট করে যে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখা গেল রশিদ খানের তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠল।

এক দিকে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিকের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে যখন প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোশ্যাল মিডিয়া ঠিক তখনই রশিদ খানের দিকে উড়ে আসছে অভিযোগের তীর। শেষ ওভারে ছক্কা আর বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আফগানিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। আবু ধাবিতে এই ম্যাচে রশিদ খান তিন উইকেট নিয়েছেন। দিয়েছেন ৪৬ রান। কিন্তু উইকেট নেওয়ার পর তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে পাকিস্তান ফ্যানদের সমালোচনা মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।

পাকিস্তান ব্যাটসম্যান নওয়াজ আলিকে আউট করে রশিদের সেলিব্রেশন দেখে মনে হয়েছিল তিনি নওয়াজকে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এই অঙ্গভঙ্গিকে ঘিরেই বিভিন্ন উক্তি উঠে আসছে। কেউ বলছেন, ‘রশিদ খান আসিফকে আঙুল দেখিয়ে বেরিয়ে যেতে বলার ভঙ্গি করে ঠিক করেনি।’’ আর একজন বলেন, ‘‘আমাদের থেকে ক্রিকেট শিখে আমাদেরই আঙুল দেখানো।’’

রবীন্দ্র জাডেজার দুরন্ত প্রত্যাবর্তন

এই দিনই ম্যাচ শেষে বদলে গেল পুরো আবহটাই। আর তার কারিগর পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক।  ৫১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দিয়েছেন শেষ ওভারে। শেষ ওভারে জিততে হলে দরকার ছিল ১০ রান। প্রথম বল থেকে কোনও রান তুলতে পারেননি তিনি। বল করছিলেন আফতাব আলম। তাঁকেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ছক্কা ও বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়ের রান তুলে নেন শোয়েব। তিন বল বাকি থাকতেই শেষ হয়ে যায় খেলা।

খেলা শেষ হতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আফগানিস্তান বোলার আফতাব। সেই সময় আফগানিস্তান ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছিলেন শোয়েব। তখনই দেখতে পান ভেঙে পড়া আফতাবকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কাছে চলে যান শোয়েব। তাঁকে সান্ত্বনা দেন। তখন কিন্তু তিনি মনে রাখেননি তাঁরই দলের ব্যাটসম্যানকে আউট করার পর প্রতিপক্ষের বোলার কী ইঙ্গিত করেছিলেন।

শোয়েবের সেই ঘটনার কথা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড টুইট করে জানিয়েছে। পিসিবি লিখেছে, ‘‘এটাই স্পিরিট অব ক্রিকেট’’। আইসিসি অবশ্য সেই ঘটনার কথা উল্লেখ না করে শোয়েব মালিকের লড়াইকে কূর্ণিশ করেছে। ম্যাচ শেষে শোয়েব মালিক বলেন, ‘‘একজন সিনিয়র প্লেয়ার হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিল ৫০ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করা। এটাই একমাত্র বিষয় ছিল। একটা সময় ১০ রান দরকার ছিল। আমি নিজেকে বলছিলাম আমি শেষ ওভার পর্যন্ত খেলতে চাই।’’