প্লেয়ার লিস্ট ছাড়াই হয়ে গেল খেলা, আইএফএ-এর অপেশাদারিত্ব আবারও চলে এল সামনে

প্লেয়ার লিস্ট

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: প্লেয়ার লিস্ট এল না, হয়ে গেল ম্যাচ। শেষ ম্যাচ জিতেই লিগ শেষ করল ইস্টবেঙ্গল। অপেক্ষাকৃত দূর্বল প্রতিপক্ষ এফসিআই-কে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু আপাত নিরীহ এই ম্যাচ কিন্তু একটা প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল। আদৌ কি এক পাও এগিয়েছে বাংলার ফুটবল? নাকি আড়ম্বরের মোড়কে সাধারণ বিষয়গুলিই ভুলে যেতে বসেছে বঙ্গ ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা।

এক ম্যাচ বাকি থাকতেই মোহনবাগান লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়ায় এমনিতেই কোনও গুরুত্ব ছিল না এই ম্যাচের। আর সেই গুরুত্বহীন ম্যাচকে আরও গুরুত্বহীন করে দিল আইএফএ-এর অপেশাদারী মানসিকতা। নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ শুরুর অন্তত পাঁচ মিনিট আগে প্লেয়ার লিস্ট চলে আসার কথা সাংবাদিকদের কাছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ম্যাচ শুরুর দশ বা পনেরো মিনিট পর প্লেয়ার লিস্ট এসে পৌঁছয়। কিন্তু এ দিন ইস্টবেঙ্গল-এফসিআই ম্যাচে যা হল, তা কল্পনাতীত। এই ম্যাচের কোনও প্লেয়ার লিস্টই তৈরি হল না।

এই বিষয়ে মাঠে উপস্থিত আইএফএ-র এক কর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ম্যাচের আগে প্লেয়ার লিস্ট পাঠায়নি এফসিআই। তাই কোনও প্লেয়ার লিস্ট ছাপাতে পারেনি আইএফএ।”

তা হলে কী ব্যবস্থা নিল আইএফএ? প্লেয়ার লিস্ট ছাড়া কী ভাবে শুরু হয়ে গেল খেলা। চলল ৯০ মিনিট? কোন প্রথম ১১ খেলবে, কারা বেঞ্চে থাকবে তা কী করে জানল বাংলা ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা? না, এ প্রশ্নের কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি এখনও পর্যন্ত।

কলকাতা লিগে বেটিং চক্র

এই বিষয়ে এফসিআই টিমের ম্যানেজার স্বপন বসুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ম্যাচের দিন সকাল ১১টার মধ্যে টিম লিস্ট পাঠিয়ে দিতে বলে আইএফএ। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের জন্যও আমাদের প্লেয়ার লিস্ট তৈরি ছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ আইএফএ থেকে ফোন করে বলা হয়  এই সম্প্রচার হবে না। প্লেয়ার লিস্ট লাগবে না। সেই কারণে প্লেয়ার লিস্ট পাঠাইনি আমরা।”

ঘটনার সত্যতা মেনে নিয়ে আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টা আমি কিছুক্ষণ আগেই জানতে পেরেছি। ভুলটা আমাদের দিক থেকেই হয়েছিল। এই রকম হওয়াটা উচিৎ ছিল না। এটা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত।”

ইস্টবেঙ্গলের হাত ধরে কর্পোরেট কালচার ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে বাংলার ফুটবলে। মোহনবাগানও তৈরি হচ্ছে সেউ পথে হাঁটার জন্য। এখন প্রশ্ন একটাই, যেখানে বাংলার ক্লাবগুলি এতটা এগিয়ে গিয়েছে, সেখানে কী ভাবে বঙ্গ ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা এতটা অকর্মন্যতার পরিচয় দিতে পারে। উৎপলবাবুর ভুল শিকারেই কি থেমে যাবে এই অপেশাদারিত্ব? শাস্তি হবে কি কারও?

প্রশ্নটা থাকছেই, জানি জবাব আসবে না। এত বছরে আইএফএ যে অনেক কিছুরই জবাব দিতে পারেনি। আর এটা এনম কী ব্যাপার আর।