আইসিসির টুইটার কভারে ধোনি, যোগ্য সম্মান প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে

আইসিসির টুইটার কভারে ধোনিআইসিসির টুইটার কভারে ধোনি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আইসিসির টুইটার কভারে ধোনি জায়গা করে নিতেই আরও একটা বার্তা পৌঁছে গেল তাঁর অবসর নিয়ে কথা বলা সমালোচকদের কাছে। আজও তিনি মাঠে ফিরে দলকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে জয় এনে দিতে পারেন। যা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে। অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে ইতিমধ্যেই নিউজিল্যান্ডে পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। তার মধ্যেই আইসিসি এমএস ধোনিকে নিয়ে এলেন তাদের টুইটার কভারে। বিশ্ব ক্রিকেটকে আরও একটা বার্তা দিয়ে দিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থাও।

ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজে দল থেকে ধোনিকে বাদ দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছি। তখনই অবশ্য তাঁরা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ধোনিকে ওডিআইতে ফেরানো হবে। তাঁকে দলে ফেরানোটা যে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল না তা প্রমাণ করে দিয়েছেন ধোনি। সিরিজের সেরা তো হয়েছেনই। দুই ম্যাচের ম্যাচ উইনারও তিনিই। বিশ্বকাপ খেলার বার্তাটা আরও শক্ত করে দিয়ে দিয়েছেন তিনি।

তিন ম্যাচের সিরিজে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি। প্রথম ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করতে একটু বেশি সময়ই নিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। তা নিয়েও কথা হতে শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে যে ভাবে ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ বেড় করে নিয়ে গেলেন তিনি তাতে বোঝা গেল ফিনিশার ধোনি একই রয়ে গিয়েছেন। পর দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরির পর তৃতীয় ম্যাচে তো কেদার যাদবকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচকে জয়ের লক্ষ্যে নিয়ে গেলেন তিনি।

ধোনি রাজ, টেস্টের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওডিআই সিরিজেও জয় ভারতের

তাঁর অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস আর বুদ্ধি দিয়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের সামলে বুঝিয়ে দিলেন বয়সটা আসলে একটা সংখ্যা। ফিটনেস আর ক্রিকেট বুদ্ধি আজও তাঁকে অনেকের থেকে এগিয়ে রাখে। সিরিজ শুরুর আগেই রোহিত শর্মা বলেছিলেন, ধোনি দলে থাকা মানে দলের মধ্যে একটা ভরসা আর ড্রেসিংরুমে শান্তির পরিবেশ থাকে। ধোনির ‘কুলনেস’এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে দলের মধ্যে।

৩৭ বছর বয়সে ৩৩৫টি একদিনের ম্যাচ খেলা ধোনির লক্ষ্য বিশ্বকাপ খেলে অবসর নেওয়া। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে অবসরের কথা শুনতে হচ্ছে। তাতে কখনও কখনও নষ্ট হয়েছে ক্যাপ্টেন কুলের কুলনেসও। কিন্তু লক্ষ্য থেকে সরেননি মাহি। দীর্ঘ এক বছরের অফ-ফর্মের লড়াইটাও সহজ ছিল না ধোনির জন্য। কিন্তু সেটা কাটিয়ে যখন ফিরেছেন তখন স্বমহিমায় ফিরেছেন। ম্যাচ উইনার হয়েই ফিরেছেন।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের কাণ্ডারি তিনিই। তাঁর এই সম্মান প্রাপ্য যা দিল আইসিসি। উচ্ছ্বসিত ধোনির সমর্থকরা। ৭০টি হাফ সেঞ্চুরি করা এমএস ধোনির হয়ে অনেক বিশেষজ্ঞরা চাইছেন তাঁকে দিয়ে শুধু ব্যাটিংটাই করানো হোক। উইকেট-কিপিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হোক অন্য কাউকে। তা হলেই তিনি মন দিয়ে নিজের সেরা ব্যাটিংটা করতে পারবেন কিন্তু। উইকেটের পিছনে যতদিন গিয়েছে ধার বেড়েছে ধোনির। বিশ্বকাপে তাঁকেই চাইবে টিম ম্যানেজমেন্ট।

(খেলার সব খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)