গত এক বছরে বিশ্ব জুড়ে বেটিংয়ের রমরমা চলেছে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বেটিং এবং ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিশ্ব বিশাল এবং নীরবে কাজ করে চলে প্রতিনিয়ত। যা কখনও সামনে চলে আসে আবার কখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়। ঠিক কী পরিমাণ ম্যাচ গড়াপেটা হয় বিশ্ব খেলার দুনিয়ায়? তার ধারণা কারও আছে বলে মনে হয় না। বেশ কিছু হিসেব উঠে এসেছে গত এক বছরে খেলার দুনিয়ায় বেটিং নিয়ে। তাতেই একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

মোট সংখ্যা

পাঁচটি মহাদেশের ৯২টি দেশে ১২টি খেলায় রেকর্ড মোট ১২১২টি সন্দেহজনক ম্যাচ শনাক্ত করা হয়েছে।

২০২১ সালের তুলনায়, এটি ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফুটবলে ৭৭৫টি সন্দেহজনক ম্যাচ শনাক্ত করা হয়েছে, যেখানে বাস্কেটবল ২২০টি এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছে, যা ২০২১ সালের তুলনায় ২৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ক্রিকেট ও ম্যাচ গড়াপেটা

১৩টি সন্দেহজনক ক্রিকেট ম্যাচ পাওয়া গিয়েছে, কিন্তু সেগুলির একটিও ভারতে খেলা হয়নি।

সামগ্রিক বেটিং টার্নওভারের পরিপ্রেক্ষিতে, আইপিএল হল বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম প্রতিযোগিতা যার আনুমানিক টার্নওভার ১৩৫ মিলিয়ন ইউরো।

সামগ্রিকভাবে, খেলাধুলার দিক থেকে পাঁচ নম্বরে রয়েছে ক্রিকেট। যার আনুমানিক রোজগার ৬৭ বিলিয়ন ইউরো।

এলাকা অনুসারে সন্দেহজনক

ইউরোপ: ৬৩০

এশিয়া: ২৪০

দক্ষিণ আমেরিকা: ২২৫

আফ্রিকায় ম্যাচ ফিক্সিং ৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে দক্ষিণ আমেরিকায় ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে

প্রতিযোগিতার নিম্ন স্তরগুলিতে রয়েছে ফুটবল এবং বাস্কেটবল। উভয় ক্ষেত্রই উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয়েছিল এবং এই প্রতিযোগিতায়৫০ শতাংশেরও বেশি ঘটনা ঘটেছে।

২০২২ সালে ফুটবলে, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সন্দেহজনক ম্যাচ হয়েছে কারণ গেমটি মোট তথ্যের ৬৪ শতাংশ ছিল।

অন্যান্য খেলাধুলা

২০১৯: ন’টি খেলা নিয়ে ১৩০টি ঘটনা

২০২২: ১১টি খেলায় ৪৩৭টি ঘটনা

বেটিং টার্নওভারের নিরিখে সেরা প্রতিযোগিতা

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: ২২৫ মিলিয়ন ইউরো

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ: ২০২ মিলিয়ন ইউরো

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ: ১৩৫ মিলিয়ন ইউরো

এনএফএল: ১৩৮ মিলিয়ন ইউরো

স্প্যানিশ লা লিগা: ৯৫ মিলিয়ন ইউরো

ইতালিয়ান সেরি এ: ৮৯ মিলিয়ন ইউরো

জার্মান বুন্দেসলিগা: ৮৫ মিলিয়ন ইউরো

উয়েফা ইউরোপা লিগ: ৯১ মিলিয়ন ইউরো

এনবিএ: ৭০ মিলিয়ন ইউরো

অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং সুরক্ষার অভাবের কারণে ২০২৩ সালে সন্দেহজনক ম্যাচের সংখ্যা বাড়তে পারে। ইউরোপ এ ক্ষেত্রে এক নম্বরে থাকবে, অন্যদিকে দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়া থাকবে দ্বিতীয় স্থানে। অবসরের কাছাকাছি থাকা খেলোয়াড়রা তাদের নিয়মিত আয়ের ধারা ব্যহত হওয়ার পরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকছে। ম্যাচ ফিক্সিং ও দুর্নীতির ক্ষেত্রে এটাই হবে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ।

(এই আর্টিকেলের সব তথ্য স্পোর্টর‍্যাডারের রিপোর্ট থেকে পাওয়া)

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle