ইতিহাসে জকোভিচ, দ্বিতীয়বার ফরাসি ওপেন জিতে নতুন রেকর্ড

ইতিহাসে জকোভিচ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ইতিহাসে জকোভিচ পৌঁছে গেলেন ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই। অপেক্ষা ছিল এই রেকর্ডের। স্টেফানোস তিতিপাসকে ৬-৭ (৬/৮), ২-৬, ৬-৩, ৬-২ ও ৬-৪ সেটে হারিয়ে ৫২ বছরে তিনিই প্রথম যাঁর হাতে উঠল দু’বার করে চারটি মেজর ট্রফি। ১৯৬৯-এ এই রেকডর্ ছিল রড লেভারের। রজার ফেডেরার ও রাফায়েল নাদালকে ছুঁয়ে ফেলা থেকে আর মাত্র একটি ফাইনাল দূরে তিনি। এই নাদালকেই সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে তিতিপাসের মুখোমুখি হয়েছিলেন সার্বিয়ান তারকা। পিছিয়ে পড়ে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় এদিন দেখালেন তিনি। সঙ্গে জিতে নিলেন তাঁর কেরিয়ারের দ্বিতীয় ফরাসি ওপেন। সঙ্গে ১৯টি গ্র্যান্ডস্লাম যুক্ত হল তাঁর কেরিয়ারের ঝুলিতে।

শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি নোভাকের। একটা সময় মনে হচ্ছিল রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে ফাইনালে অসহায় আত্মসমর্পন করতে চলেছেন তিনি। কিন্তু চ্যাম্পিয়নরা হয়তো এমনই হন। চ্যাম্পিয়নরাই সেখান কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। তার পরটা শুধুই লড়াই আর লড়াই। আর সেই লড়াই যে শেষ পর্যন্ত লেখা থাকবে নোভাকের খাতাতেই তা হয়তো তিনিও নিশ্চিত ছিলেন না। একটা সময় তাঁকে রীতিমতো হতাশ দেখাচ্ছিল।

প্রথম সেটে লড়াই করেও হারতে হয়েছে কিন্তু দ্বিতীয় সেটে এই তারকাকে দাঁড়াতেই দেননি প্রথমবার স্ল্যাম ফাইনালে ওঠা ২২ বছরের গ্রিক তিতিপাস। ২-৬-এ হারতে হয় জকোভিচকে।  পর পর দুই সেট হেরে অনেকটাই পিছিয়ে পড়া জকোভিচ যে মানসিকভাবে ম্যাচকে পাঁচ সেটে নিয়ে যেতে পারবেন সেটা ভাবাই কঠিন ছিল। কিন্তু তিনি সেটাই করলেন। এবং ম্যাচকে নিয়ে গেলেন পাঁচ সেটে। আর শেষ তিন সেট লেখা থাকল তাঁর নামে। দারুণ লড়াই দিলেন ২২ বছরের গ্রিক তারকা।

তৃতীয় সেট থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। যদিও তা সহজ হয়নি চ্যাম্পিয়নের জন্য। শেষ পর্যন্ত কঠিন লড়াই দেন তিতিপাস। কখনও জকোভিচ আগে তো কখনও তিতিপাস। কিন্তু শেষ হাসি হেসেছেন জকোভিচই। প্রথম দুই সেট তিতিপাস ও পরের দু’সেট জকোভিচ জিতে যাওয়ায় ম্যাচ গড়ায় পঞ্চম সেটে। এই লড়াই সহজ ছিল না কারও জন্যই। হাড্ডাহাড্ডি যুদ্ধ দেখল রোলা গাঁরো ২০২১।

২০১৬-তে প্রথম ফরাসি ওপেন জিতেছিলেন জকোভিচ। তার পর ২০২১। এ ছাড়া তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৯টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ৫টি উইম্বলডন এবং ৩টি ইউএস ওপেন। ৪ ঘণ্টা ১১ মিনিটের ম্যাচ শেষে জকোভিচ বলেন, ‘‘এটা স্বপ্ন। সেরা প্লেয়ারের বিরুদ্ধে জেতাটা কঠিন। গত তিনদিন খুব কঠিন ছিল শারীরিক ও মানসিকভাবে।  সার্বিয়ার সব মানুষকে ধন্যবাদ সমর্থনের জন্য। এখানে যাঁরা এসেছেন আমাদের সমর্থন করেছেন তাঁদের ধন্যবাদ শুধু আমি নয় স্টেফানোসকে সমর্থন করার জন্য। আমার জীবনের সেরা ৪৮ ঘণ্টা। যা সারাজীবন মনে থাকবে।’’

স্টেফানোসের গলায় হতাশা ছিল। তিনি বলেন, ‘‘কঠিন ছিল রাস্তা। রোলা গাঁরোকে ধন্যবাদ আমার জন্য এত সুন্দর জায়গা তৈরি করে দেওয়ার জন্য। আমার দলকে ধন্যবাদ যাঁরা সারাক্ষণ আমাকে সমর্থন করে গিয়েছে এবং আমাকে সাহায্য করেছে স্বপ্নকে ছুঁতে। আশা করছি আগামী বছরে আবার ফিরে নিজের সেরাটা দেব। আমি বিশ্বাস করি এই জায়গায় একদিন আমি পৌঁছবো। আজ হেরে গেলেও আমি এই ট্রফি জেতার যোগ্য বলে মনে করি। আমি আজ খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলাম। এই মানসিকতা নিয়েই ফিরব।’’

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)