বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্স, ২০০৬-এর পর আবার

বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সগোলের পর উমতিতির মাথায় জিরৌদের স্নেহর চুমু. ছবি: ফিফা।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্স । সেন্ট পিটার্সবার্গের মঙ্গলবারের সন্ধ্যেটা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটাই অন্যরকম ছিল। গ্রুপ লিগের ম্যাচ থেকে শেষ ১৬ সবই দেখেছে সেন্ট পিটার্সবার্গ। কিন্তু সেমিফাইনালটা একদমই আলাদা। এই একটা ম্যাচের পরই কেউ ফাইনালে আর কারও লড়াই শেষ। এত দূর পৌঁছে হরটা খুবই কষ্টের কিন্তু কেউ হারবে কেউ জিতবে এটাই ফুটবল। কেউ ফাইনালে যাবে আর কেউ থেকে যাবে সেমিফাইনালিস্ট হয়েই। মঙ্গলবারের সন্ধেটা এমনই ছিল।

ম্যাচের শুরু থেকে শেষ দুই দলের এমন সমানে সমানে লড়াই কমই দেখা গিয়েছে এই বিশ্বকাপে। যোগ্য দল হিসেবেই যে ফ্রান্স ও বেলজিয়াম সেমিফাইনালে উঠেছিল তা প্রমাণ করে দিয়েছে দুই দলই। ফল ৯০ মিনিটে হলেও লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। ফ্রান্সের হয়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন স্যামুয়েল উমতিতি।

প্রথমার্ধটা হল সুযোগ ও সেভের। ঘুরিয় বলা যায় গোলকিপারের। আর সেখানে এগিয়ে বেলিজিয়ামই। ফ্রান্সের নিশ্চিত একাধিক গোলের সুযোগ আটকে গেল বেলজিয়াম গোলকিপার কুর্তোসের গ্লাভসে। ৩৯ মিনিটে যে সেভটি তিনি করলেন সেটি লেখা থাকবে এই বিশ্বকাপের সেরা সেভের তালিকায়। ঠিক তার আগেই আরও একটা দারুণ সুযোগ চলে এসেছিল ফ্রান্সের কাছে। কিন্তু বেলজিয়ামের শেষ ডিফেন্সে থাকা কুর্তোসের উপর যে তখন ফুটবল ভগবান ভর করেছেন।

গোলের পর উচ্ছ্বাস।

এ ভাবেই একের পর এক গল বাঁচিয়ে গিলেন তিনি। কিন্তু সেই অসাধ্য সাধনকে শেষে হেরেই যেতে হল। তিনি না থাকলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারত ফ্রান্স। ফ্রান্স গোলকিপার হুগো লরিসকেও দেখা গেল বেশ কিছু সেভ করতে।

শেষ ১২টির মধ্যে ৯টি সেমিফাইনালই ৯০ শেষ হয়েছিল গোলশূন্য ভাবে। এই ম্যচ প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ার পর তেমনটাই ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু ৫১ মিনিটে বেলজিয়ামের এক্সট্রা টাইমের স্বপ্নে জল ঢেলে দিলেন উমতিতি। কর্নার থেকে গ্রিজম্যানের শট বাঁক খেয়ে ঢুকে পড়েছিল গোলে। উমতিতির সামনেই ছিলেন লম্বা ফেলানি। কিন্তু তাঁর মাথার উপর দিয়েই হেড করে বেলজিয়াম গোলে বল পাঠালেন ফ্রান্স স্ট্রাইকার।

বিশ্বকাপের সব খবর হাতের মুঠোয় পেতে ক্লিক করুণ

খেলা যে এখানেই শেষ হয়ে যাবে তা বোঝা যায়নি। বেলজিয়াম যে ভাবে লড়াই করছিল সমতায় ফেরাটা কঠিন ছিল না। কিন্তু ফ্রান্স রক্ষণ এসে বেলজিয়ামের সব প্রচেষ্টাই মুখ থুবড়ে পড়ল। গ্রিজম্যান, এমবাপেরা এ দিন গোল না পেলেও পুরো মাঠ জুড়ে খেললেন। যার ফলে বেলজিয়াম ১ গোলটা আর শোধ করতে পারল না। সুযোগ নষ্টেরও খেসারত দিতে হল। ২০০৬ এর পর আবার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্স।