ভারতীয় ফুটবল প্রতিভা তুলে আনতে বড় ভূমিকা নিয়েছে আইএসএল: সার্থক

ভারতীয় ফুটবল প্রতিভা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ভারতীয় ফুটবল প্রতিভা তুলে আনতে আইএসএল-এর ভূমিকা গুরু্তবপূর্ণ বলেই মনে করেন এই ডিফেন্ডার। পুণে সিটি এফসি, মুম্বই সিটি এফসি-র পাশাপাশি বাংলার অন্যতম সেরা ও ঐতিহ্যবাহী ক্লাব এসসি ইস্টবেঙ্গলের জার্সি পরে মাঠে নামারও সুযোগ এসেছে তাঁর। লাল-হলুদ জার্সি গায়ে মাঠে নেমে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেন সার্থক গলুই। তবু শেষরক্ষা হয়নি। শেষ তিন ম্যাচে ১১ গোল খেতে হয়েছিল তাঁদের। সেই বিপর্যয়ের দায় নিতে দ্বিধা নেই ২৩ বছরের সার্থকের। তবে শেষ ম্যাচে ছ’গোল খাওয়ার দুঃসহ স্মৃতি তিনি এখনও ভুলতে পারেননি। আইএসএল ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই সবই উঠে এল তাঁর কথায়।

প্র: এই করোনা আবহে নিজেকে সুস্থ ফিট রাখছেন কী ভাবে?

উ: সকালে স্থানীয় মাঠে একা বা কখনও এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে অনুশীলন করি। আমি প্রাক্তন ফুটবলার বাস্তব রায়ের কাছে নিয়মিত অনুশীলন করি। তো ওঁর ক্যাম্প এখন বন্ধ এই করোনা আবহের জন্য। সে জন্য ওখানে এখন আর প্র্যাকটিস করা হচ্ছে না। ফিটনেস ট্রেনিংয়ের জন্য আমি নিয়মিত সোদপুরে যাই বিখ্যাত অ্যাথলেটিক্স কোচ কুন্তল রায়ের ছেলে রুদ্র রায়ের কাছে। ওখানে পরিকাঠামো রয়েছে। বাইরে যা অবস্থা, তার মধ্যে অফ সিজনে নিজেকে ফিট রাখতেই হবে।

প্র: ২০১৭১৮ মরশুমে হিরো আইএসএলে অভিষেক আপনার। সেই সময়ে পুণে সিটি এফসিতে যোগ দেওয়ার সুযোগটা এল কী ভাবে?

উ: অনূর্ধ্ব ২০ এএফসি কাপ খেলে ফেরার পর আমার ডাক আসে পুণে সিটি এফসি থেকে। ওখানকার কোচ প্রদ্যুম্ন (রেড্ডি) স্যার আমাকে আগে থেকেই চিনতেন, সেই অনূর্ধ্ব ১৬-র সময় থেকেই উনি আমাকে দেখেছেন। উনিই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে পুণে সিটি এফসি-র পক্ষ থেকে প্রস্তাবটা দেন। আমিও রাজি হয়ে যাই। তখন আমি মোহনবাগানের হয়ে খেলতাম। আই লিগে দুটো ম্যাচ খেলেছিলাম। তাই প্রথমবার লিয়েনে আমি পুণের হয়ে খেলার ছাড়পত্র পাই। পরের মরশুমে পুণে আমাকে নিয়ে নেয়।

প্র: পুণের পর মুম্বই সিটি এফসি হয়ে নিজের রাজ্যের অন্যতম সেরা ক্লাবের জার্সি গায়ে খেলাও হয়ে গেল। এই চারটি মরশুমে ৪৯টি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে আপনার। এই চার বছরে হিরো আইএসএলে কী রকম উন্নতি দেখেছেন?

উ: অনেক উন্নতি হয়েছে। পেশাদারিত্ব, অর্থ, প্রস্তুতির পরিকাঠামো, সুবিধা—সব দিক থেকেই হিরো আইএসএল অনেক এগিয়ে। আই লিগেও কম সুবিধা, সুযোগ ছিল না। কিন্তু হিরো আইএসএল কয়েক ধাপ এগিয়েই রয়েছে। পেশাদারি উপায়ে বিদেশি কোচেরা আমাদের, ফুটবলারদের যে ভাবে ম্যাচের জন্য প্রস্তুত করেন, তা আমরা আগে সে ভাবে পাইনি। ইউরোপে খেলা বা কোচিং করে আসা কোচেরা, ট্রেনারদের সঙ্গে কাজ করে বিদেশের বড় ক্লাবের খেলে আসা ফুটবলারদের সঙ্গে অনুশীলন করে, ম্যাচ খেলে আমরা এখন এমন অনেক কিছুই শিখছি, জানছি, যা আইএসএলের আগে শিখিনি, জানতামও না। এই ব্যাপারগুলো ভারতীয় ফুটবলারদের উন্নতিতে অনেক সাহায্য করছে।

আমি যখন পুণে সিটি এফসি-তে খেলতে যাই, তখন মার্কোস তেবার (রিয়েল মাদ্রিদের প্রাক্তন খেলোয়াড়), মার্সেলিনহো, এখন যিনি আইএসএলের কিংবদন্তি, (এমিলিয়ানো) আলফারোর মতো বড় বড় ফুটবলারের সঙ্গে নিয়মিত প্র্যাকটিস করা, তাদের সঙ্গে কথা বলা, ড্রেসিং রুম শেয়ার করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এটা ছিল আমার কাছে রোমাঞ্চকর ব্যাপার। অন্যান্য দলের নামী কয়েকজন ফুটবলারের বিরুদ্ধে খেলাটাও ছিল সৌভাগ্যের ব্যাপার। যেমন ফেরান কোরোমিনাস, মিকু। এই অভিজ্ঞতা আমার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্র: ২০১৯২০ মরশুমে মুম্বই সিটি এফসি অন্যতম নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন। কিন্তু পরের মরশুমেই অন্য ক্লাবে যাওয়ার তাগিদ অনুভব করলেন কেন?

উ: ঠিকই, ২০১৯-২০ মরশুমটা আমার কাছে অন্যতম সেরা মরশুম ছিল। এই নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু গত মরশুমে যখন মুম্বইয়ের দলের কোচ বদল হল, (সের্খিও) লোবেরা স্যার যখন এলেন একেবারে নতুন কোচিং স্টাফ নিয়ে। সব কিছুই তখন পুরো বদলে গেল। তখন নতুন কোচের যে ফুটবল দর্শন, মানে তিনি যে ভাবে দলটাকে খেলানোর পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিলেন, আমাকে বোধহয় সেই পরিকল্পনার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেননি। আমি মানিয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। মাত্র চারটে ম্যাচে খেলার সুযোগ পাই। সেই জন্যই সিজনের মাঝখানে দলবদলের আগে মনে হয়, যদি অন্য কোথাও সুযোগ পাই, তা হলে আরও বেশি সময় মাঠে থাকার ও নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পেতে পারি।

সেই কারণেই ক্লাবের কাছে আবেদন জানাই, যদি আমাকে অন্য কোথাও খেলার অনুমতি দেওয়া হয়। লোবেরা স্যরের সঙ্গে কথা বলি। উনি খুবই খুশি হয়ে আমাকে অনুমতি দেন। বলেন, ‘আমি চাই তুমি আরও বেশি সময় খেলো’। এসসি ইস্টবেঙ্গল সহ আরও দু-একটা ক্লাবের সঙ্গে কথাবার্তা হয়। তখন মনে হয় এসসি ইস্টবেঙ্গলের মতো একটা ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের হয়ে খেলার সুযোগটা হাতছাড়া না করাই ভাল। আর আমি যখন বাংলার ফুটবলার ও এত বড় ক্লাব যখন আমাকে চাইছে, তখন সেই প্রস্তাবটা নেওয়াই ভাল।

প্র: ফেব্রুয়ারিতে লালহলুদ জার্সিতে প্রথম মাঠে নামেন। কিন্তু তখন দলের বেশ কঠিন সময়। ওই সময়ে কোচ রবি ফাউলার আপনাকে কী বলেছিলেন, কী দায়িত্ব দিয়েছিলেন?

উ: শুরুতে কিছুই বলেননি। দলের ভারতীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত ছিলাম, অনেক বাঙালিও ছিল দলে। তাই দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কোনও অসুবিধা হয়নি। কোচ আমাকে নিয়মিত খেলার সুযোগও দেন। রবি স্যার অনেক সাপোর্ট করেছিলেন। নিজের সেরা খেলাটাই দেওয়ার কথা বারবার বলতেন। উনি আমাকে যে ভাবে খেলাতে চেয়েছিলেন, সে ভাবেই খেলার চেষ্টা করেছি আমি। ওঁর ফুটবল দর্শনের সঙ্গে যে আমি নিজেকে মানিয়ে নিতে পেরেছিলাম, এটাই আমার কাছে বড় ব্যাপার। তাই উনি আমার ওপর ভরসা করে নিয়মিত খেলার সুযোগ দিয়েছেন।

প্র: রাজু গায়কোয়াড় আপনি ডিফেন্সে যোগ দেওয়ার পরে এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সে অনেক উন্নতি হয়। এটা কি ড্যানিয়েল ফক্স, স্কট নেভিলদের সঙ্গে ভাল বোঝাপড়ার জন্য, না আপনাদের একক দক্ষতার জন্য?

উ: ফুটবলে কখনও একক দক্ষতার ফলে সাফল্য আসে না। ব্যতিক্রম, কোনও ফরোয়ার্ড একটা অসাধারণ গোল করে দিল। তাতে টিম জেতে ঠিকই, কিন্তু সেই গোলেও একাধিক ফুটবলারের অবদান থাকে। ড্যানিয়েল ফক্স, নেভিলদের অভিজ্ঞতা অনেক। ড্যানিয়েল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলত। আমি সেই সেই তুলনায় কিছুই না। আমি এখনও নিজেকে ফুটবলের ছাত্র মনে করি। ওঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার চেষ্টা করেছি। রাজু ভাইয়ের কাছ থেকেও মোটিভেশন পেয়েছি। আসলে আমরা একে অপরকে মোটিভেট করতাম, ভাল রেজাল্ট যাতে আনতে পারি।। বয়সের জন্য বা ইউরোপের চেয়ে এখানকার আবহাওয়া অনেক কঠিন হওয়ায় ড্যানিয়েলরা হয়তো কিছুটা সমস্যার মধ্যে ছিল। আমাদের এখানে উষ্ণতা, আর্দ্রতা, দুটোই ওদের দেশের চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু ওরা এতটাই পেশাদার যে, সে জন্য কখনও গা ছাড়া ভাব দেখা যায়নি ওদের মধ্যে। সে ম্যাচে হোক বা প্র্যাকটিসে। সব সময়ই নিজেদের একশো শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ভুলভ্রান্তি তো সবারই হয়। কিন্তু তাই বলে ওদের ভাল ফুটবলার না বলার কোনও কারণই দেখি না।

প্র: লিগের শেষ তিনটি ম্যাচে ১১টি গোল খেয়েছিলেন আপনারাএর কারণ কী মোটিভেশনের অভাবহাল ছেড়ে দিয়েছিলেন আপনারা?

উ: না, ঠিক তা নয়। শেষ ম্যাচের ফলটা (ওডিশা এফসি-র বিরুদ্ধে ৫-৬ হার) আমার কাছে বা দলের সবার কাছেই খুবই অপ্রত্যাশিত ছিল। নর্থইস্টের বিরুদ্ধে আমারই ভুলে হওয়া নিজ গোলে ওরা এগিয়ে যায়। পরে যদিও আমি গোল করি। কিন্তু তার জন্য আমার বিন্দুমাত্র বাড়তি কৃতিত্ব নেই, ওটা আমার কাজ, আমি করেছি। তবে ওই ম্যাচে আমরা হারার মতো খেলিনি। হঠাৎ আমার ভুলে ওরা এগিয়ে যাওয়ায় আমরা কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। পরে আমরা সবাই মিলে অনেক চেষ্টা করেও একটার বেশি গোল পাইনি। ডার্বি ম্যাচে হার অল্প হলেও প্রভাব ফেলে। কারণ, এই ম্যাচে খুব চাপ থাকে। তবে ডার্বিতে ১-৩ হারার জন্য যে শেষ দুই ম্যাচে ও রকম ফল হয়েছিল, তা বলব না। তবে শেষ দিকে আমরা মোটিভেশন হারিয়েছিলাম, এই কথাটা একেবারেই সত্যি নয়। ওডিশার বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে তো হাফ টাইমে আমরা এগিয়ে ছিলাম। হাফ টাইমে নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করি যে, জিতেই লিগ শেষ করতে হবে। কিন্তু ভুল তো কোথাও না কোথাও হয়েছেই। স্বীকার করতেই হবে যে, ডিফেন্ডার হিসেবে এতগুলো গোল খাওয়ার দায় আমারও কিছুটা রয়েছে। কিন্তু কারও একার ভুলের জন্য কিছু হয়নি। সেটা কোচেরা ভাল জানবেন। আমার কোনও মন্তব্য না করাই ভাল।

প্র: এটিকে মোহনবাগানের দুই তারকা ফরোয়ার্ড রয় কৃষ্ণা ডেভিড উইলিয়ামসকে সামলেছেন বহুবার। আর এসসি ইস্টবেঙ্গলের ব্রাইট ইনোবাখারেকে দেখেছেন একেবারে কাছ থেকে। ফরোয়ার্ড হিসেবে এদের মধ্যে কাকে এক নম্বরে রাখবেন আর পরের দুই জায়গায় কে কে থাকবেন এবং কেন?

উ: ওভাবে কাউকে কোনও নম্বরে রাখতে পারব না। প্রত্যেকেরই আলাদা বৈশিষ্ট ও গুণ আছে। যেটা ব্রাইটের আছে, সেটা রয়ের নেই। আবার যেটা রয়ের আছে সেটা উইলিয়ামসের নেই। যেমন রয় খুবই পরিশ্রমী, সব সময় লড়াই না ছাড়ার মনোভাব। যতক্ষণই মাঠে থাকবে, ততক্ষণ নিজের সেরাটা দিতে চায় ও। একটা ছোটখাটো, ৫০-৫০ সুযোগকে গোলে পরিণত করার জন্য সব সময় মরিয়া। ব্রাইট আবার টেকনিকের দিক থেকে অসাধারণ, বল পায়ে ও দুর্দান্ত, দুরন্ত। ডেভিড উইলিয়ামসও বল পায়ে পেলে খুবই ভাল। ওর শুটিং, ক্রসিং, হেডিং দারুণ। প্রত্যেকেরই আলাাদা আলাদা গুণ রয়েছে। তাই ওভাবে এক, দুই, তিন বাছা উচিত না। রয়, উইলিয়ামসরা ফাইনালিস্ট দলের সদস্য। ওদের প্রাপ্য কৃতিত্ব দিতেই হবে। কিন্তু কে বলতে পারে, ব্রাইট আরও আগে এসসি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দলের ফল আরও ভাল হত না?

প্র: শুনেছি, মহেশ গাওলি দীপক মণ্ডলকে আপনি আইডল বলে মানেন। এর কারণ কী?

উ: হ্যাঁ, মহেশভাই অনেক সাহায্য করেছেন আমাকে। অনূর্ধ্ব ১৬, ১৯ খেলতাম যখন, গোয়ায় শিবির হত। মহেশ ভাই ওখানে জিম করতে আসতেন। প্রায়ই দেখা হত, কথা হত। সেই সূত্রেই আমার সঙ্গে ওঁর সম্পর্কটা ভাল হয়। অনূর্ধ্ব ১৯ খেলার সময় (এআইএফএফ এলিট অ্যাকাডেমিতে) যখন আমার খারাপ সময় চলছিল, তখন মহেশ ভাই-ই আমাকে মোটিভেট করেছিলেন। সেই জায়গা থেকে ফিরে আসতে খুব সাহায্য করেছিলেন। আর ছোটবেলায় যখন আমি খেলা দেখতাম, তখন আমার দীপকদার খেলার স্টাইল খুব ভাল লাগত। এরাই আমার দেখা সেরা ভারতীয় ডিফেন্ডার। এটা আমার ব্যক্তিগত পছন্দ থেকেই বলছি। ডিফেন্ডার হিসেবে কতটা কম্পোজড্ হওয়া উচিত, সেটা আমি ওদের কাছ থেকেই শিখেছি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে জন টেরি আমার ফেবারিট। আর যাঁদের খেলা আমি লাইভ দেখিনি, যেমন মালদিনি, নেস্তা, এঁরাও পছন্দের তালিকায় রয়েছেন। এঁদের ভিডিও দেখেও অনেক কিছু শেখার চেষ্টা করি।

প্র: আরও একটা শোনা কথা হল, আপনার বাবার জন্যই নাকি আপনার ফুটবলে আসা। আপনি কলকাতার দুই প্রধানের হয়ে খেলেছেন, ভারতীয় দলের জার্সি পরেও মাঠে নেমেছেন। এখন আপনার বাবা কতটা খুশিফুটবল মাঠ থেকে বাবাকে সেরা উপহার হিসেবে এখন আর কী দিতে চান?

উ: একদমই ঠিক। বাবা কখনওই নিজের আনন্দ সে ভাবে প্রকাশ করে না। বাবা, বাবাই। এখনও বাবা আমার খেলায় কোনও ভুল দেখলে শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কাছে না থাকলে ফোন করে বলেন, কোথায় কী ভুল করেছি। সব সময়ই মোটিভেট করেন। কী ভাবে, কোন পরিস্থিতি সামলাতে হবে, এগুলো আমাকে শেখান। সব সময়ই গাইড করেন। বড় ক্লাব খেলেছি ঠিকই, মোহনবাগানে সে ভাবে খেলার সুযোগ পাইনি। আই লিগে মাত্র দুটো ম্যাচ খেলেছি। এসসি ইস্টবেঙ্গলে খেলার সুযোগ পাওয়াটা আমার কাছে বড় ব্যাপার। তবে এখন আমার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হল জাতীয় দলে নিজেকে নিয়মিত সদস্য করে তোলা। সে জন্য ক্লাবের হয়ে নিয়মিত ভাল খেলতে হবে। আর সেটাই হবে বাবার জন্য আমার সেরা উপহার।

লেখা আইএসএল-এর ওয়েবসাইট থেকে

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)