চুনী গোস্বামী প্রয়াত হলেন ৮২ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে

চুনী গোস্বামীচুনী গোস্বামী

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: চুনী গোস্বামী-র জীবনাবসান। বৃহস্পতিবার ৮২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ভারতীয় ফুটবলের এই মহান ব্যক্তিত্ব। এ দিন সকালে হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেল পাঁচটায় প্রয়াত হন তিনি। শেষটা ফুটবলার হিসেবে করলেও ক্রিকেটার চুনী গোস্বামী বাংলায় বড় নাম ছিলেন। মোহনবাগান, বাংলা ও দেশের হয়ে ফুটবল খেলার পাশাপাশি তিনি বাংলার হয়ে ক্রিকেটও খেলেছেন। রঞ্জি ট্রফি খেলেছিলেন তিনি।

একমাস আগেই কয়েকমাস আগেই প্রয়াত হয়েছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার, কোচ পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় ফুটবলে পর ইন্দ্রপতন অনেকটা ফাঁকা জায়গা তৈরি হল। শেষ হয়ে গেল একটা যুগের। তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী, ছেলে ও ভারতীয় ফুটবলে তাঁর অজস্র গুণমুগ্ধ ভক্তকে।

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন

১৯৫৬তে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় চুনী গোস্বামীর। দেশের হয়ে ৫০টি ম্যাচ খেলেছেন। তিনি বিখ্যাত ছিলেন তাঁর ড্রিবলিংয়ের জন্য। আর সেই ড্রিবলিং করেই প্রতিপক্ষকে বার বার মাত দিয়ে গোল তুলে নিয়েছেন। তাঁর কাছে কোনও রক্ষণই যথেষ্ট ছিল না। জীবনের শেষ রক্ষণটি ভেঙে শেষবারের মতো পেরিয়ে গেলেন জীবনের শেষ গোলপোস্ট।

আট বছর বয়সে যোগ দিয়েছিলেন মোহনবাগানের যুব দলে। তার পর থেকে আপাদমস্তক মোহবাগানি হয়ে গিয়েছিলেন। শেষ দি‌ন পর্যন্ত ছিলেন মোহনবাগানেই। ১৯৬৮তে অবসর নেন। তার পরও ভারতীয় ফুটবলকে তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়ে সমৃদ্ধ করে গিয়েছেন।

তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকস্তব্ধ হয়ে যায় ভারতীয় ফুটবল। সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি প্রফুল প্যাটেল টুইট করে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেছেন। তিনি লেখেন, ‘‘আরও একজন মহান ফুটবলার এবং প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটার আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’’

তাঁকে দেখে ফুটবলার হিসেবে বেড়ে ওঠা প্রাক্তন ফুটবলাররা এই খবরে স্তম্ভিত। মানস ভট্টাচার্য বলছিলেন, ‘‘ভাবতেই পারছি না চুনীদা নেই। লকডাউনে কীভাবে যাব চুনীদাকে শেষ দেখা দেখতে জানি না কিন্তু আমি যে ভাবেই হোক পৌঁছব।’’


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমার কাছে এই খবর মর্মান্তিক। চুনীদা ভারতীয় তথা বাংলার ফুটবলের কতটা জায়গা জুড়ে ছিলেন আমরা জানি। অনেকটা জায়গা খালি হয়ে গেল।’’

গৌতম সরকার বলছিলেন, ‘‘কিছুদিন আগেই চলে গেলেন প্রদীপদা (পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়) আর আজকে চুনীদা (চুনী গোস্বামী) কিছু হচ্ছে কিছু বুঝতে পারছি না। এভাবে অভিভাবকহীন হয়ে পড়ছি আমরা, ভারতীয় ফুটবল।’’