ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে নেপালের বিরুদ্ধে ড্র দিয়ে শুরু ভারতীয় ফুটবল দলের

ফিফা ফ্রেন্ডলি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে কোনও রকমে মান বাঁচল ভারতের। ভারতীয় ফুটবল দল তাদের নেপাল সফর জয় দিয়ে শুরু করতে পারল না। বৃহস্পতিবার বিকেলে কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে তাদের প্রথম ফ্রেন্ডলি ম্যাচ অমীমাংসিত ভাবে শেষ হল ১-১ গোলে। বিরতিতে এক গোলে পিছিয়ে থাকার পরে দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করে ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি সুনীল ছেত্রীরা। ফিফার বিশ্ব ক্রম তালিকায় ৬৩ ধাপ নীচে থাকা নেপাল এ দিন ঘরের মাঠে ও নিজেদের সমর্থকদের সামনে ভারতকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। শুরু থেকেই প্রতি আক্রমণে ওঠা নেপাল ৩৬ মিনিটের মাথায় অঞ্জন বিস্তার গোলে এগিয়ে যায়। বিরতির পরে গোল শোধ করেন পরিবর্ত হিসেবে নামা মিডফিল্ডার অনিরুদ্ধ থাপা।  কিন্তু জয়ের গোলের আর সন্ধান পায়নি ভারত।

তিন ফরোয়ার্ডে মাঠে নামা ভারতের হয়ে এ দিন বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠেন লিস্টন কোলাসো ও ডানদিক দিয়ে মনবীর সিং। মাঝখানে ছিলেন সুনীল ছেত্রী। মাঝমাঠ থেকে তাঁদের গোলের বল বাড়ানোর দায়িত্বে ছিলেন ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ, সুরেশ ওয়াংজাম, গ্ল্যান মার্টিন্সরা। তবে প্রথমার্ধে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ভারতের আক্রমণ বিভাগ। দীনেশ রাজবংশীর নেতৃত্বে নেপালের রক্ষণ বিভাগ এ দিন বেশ তৎপর ছিল। ফলে প্রথম ৪৫ মিনিটে কোনও পজিটিভ সুযোগই তৈরি করতে পারেনি ভারত। সেটপিসেও বারবার ব্যর্থ হয় তারা। বরং নিজেদের ঘরের মাঠে বেশ সাহসী ফুটবল খেলে নেপাল।

চিংলেনসানার অসাবধানী ব্যাক পাসকে কাজে লাগিয়েই গোল পেয়ে যান সুযোগসন্ধানী অঞ্জন বিস্তা। লম্বা থ্রোয়ে নিজেদের বক্সে বল ধরে গোলকিপার গুরপ্রীতের উদ্দেশ্যে ব্যাকপাস করেন চিংলেনসানা। খেয়ালই করেননি যে, কাছেই ছিলেন অঞ্জন। তিনি বলটি ছিনিয়ে নিয়ে ফাঁকা গোলে ঠেলে দেন। প্রথমার্ধের বাড়তি সময়েও বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া একটি জোরালো শট বাঁচিয়ে দেন ভারতীয় গোলকিপার। না হলে হয়তো দু’গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে হত ভারতকে।

দ্বিতীয়ার্ধে দু’টি পরিবর্তন করে দল নামান ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ। মিডফিল্ডার ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজের জায়গায় অনিরুদ্ধ থাপা ও গ্ল্যান মার্টিন্সের জায়গায় রহিম আলি। ভারতের জার্সি গায়ে এ দিনই প্রথম মাঠে নামেন রহিম। আক্রমণে ধার বাড়ানোর জন্যই সম্ভবত এই জোড়া বদল স্টিমাচের। নেপালের উপর চাপ বাড়ায় ভারত। যার ফল ভারত পায় ৬০ মিনিটের মাথায়। বক্সের বাইরে থেকে সুনীলের দূরপাল্লার মাপা শট লিম্বু ফিস্ট করে উড়িয়ে দেন। বল এসে পড়ে গোললাইনের সামনে এবং বক্সে থাকা অনিরুদ্ধ থাপা অনেকটা দৌড়ে এসে বল গোলে ঠেলে দেন।

৭০ মিনিটে সুনীলকে বসিয়ে বিপিন সিংকে নামানোর সিদ্ধান্ত নেন স্টিমাচ। হিরো আইএসএল ফাইনালে এই বিপিনের গোলেই জয় পেয়েছিল মুম্বই সিটি এফসি। বরং ৮৩ মিনিটের মাথায় ভারত ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায়। থাপার ফ্রি কিকে রাহুল ভেকে হেড করে গোলের সামনে বল বাড়ান। তার নাগাল কেউ না পেলে গোলের পাশে মনবীর ফের তা গোলের সামনে ঠেলেন। সেখানে রহিম থাকলেও তার নাগাল পাননি। ৮৮ মিনিটের মাথায় ফের সুযোগ পেয়েছিলেন রহিম। কিন্তু ডানদিক দিয়ে উঠে বক্সের এমন একটা জায়গায় বল বাড়ান, যেখানে তাঁর কোনও সতীর্থ ছিল না। তাই ড্রতেই সন্তুষ্ঠ থাকতে হল।

ভারতীয় দল: গুরপ্রীত সিং সান্ধু (গোল), রাহুল ভেকে, শুভাশিস বসু, আকাশ মিশ্র, চিংলেনসানা সিং, ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ (অনিরুদ্ধ থাপা), সুরেশ ওয়াংজাম (লালেঙমাউইয়া), গ্ল্যান মার্টিন্স (রহিম আলি), লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, সুনীল ছেত্রী (বিপিন সিং)।

(লেখা ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ওয়েবসাইট থেকে)

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)