ইউরোপা লিগ হারায় বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের শিকার মার্কাস র‍্যাশফোর্ড

ইউরোপা লিগ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ইউরোপা লিগ হেরেছে দল আর তার ফল ভুগতে হচ্ছে তাঁকে। মার্কাস র‍্যাশফোর্ড এমন পরিস্থিতিতে আগেও পড়েছেন। বার বার তাঁকে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছে। তবে ইউরোপা লিগ ফাইনালে বুধবার ভিলারিয়েলের কাছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হারের পর তা সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেল। টাইব্রেকারে ভিলারিয়েল ১১-১০ গোলে হারাল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। ভিলারিয়েলের এই প্রথম মেজর টাইটেল জয়। কিন্তু যারা হেরে গেল তাদের যে ফ্যানরা ছেড়ে কথা বলবেন তা স্বাভাবিক। কিন্তু কেন্দ্র হয়ে উঠবে বর্ণবিদ্বেষ সেটা সেই প্লেয়ারের জন্য কঠিন।

তবে এমনটাই হয়েছে এবং তা মেনে নিয়েছেন মার্কাস র‍্যাশফোর্ড। র‍্যাশফোর্ড তাঁর টুইটার হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত কম করে আমার সোশ্যাল মিডিয়ায় কম করে ৭০টি বর্ণবিদ্বেষমূলক আক্রমণ হয়েছে। যারা আমাকে খারাপ অনুভূতি দিতে চাইছেন তাদের জন্য শুভেচ্ছা চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য।’’

আরও একটি টুইটে র‍্যাশফোর্ড লেখেন, ‘‘একজন অঙ্কের শিক্ষক আমার আমার ওয়াল বানরের ইমোজির পাহাড় করে দিয়েছে। উনি বাচ্চাদের পড়ান!! এবং জানেন তিনি যে স্বাধীনভাবে কোনও কারণ ছাড়াই কাউকে বর্ণবিদ্বেষী মূলক আক্রমণ করতে পারেন।’’

র‍্যাশফোর্ডের জন্য এটা নতুন কিছু নয়। তিনি যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সচল তেমনই তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যধিক আক্রান্তও হতে হয়। এদিন র‍্যাশফোর্ডের টুইটের পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পক্ষ থেকেও টুইট করা হয়। সেখানে লেখা হয়, ‘‘ইউরোপা লিগ ফাইনালের পর থেকে আমাদের প্লেয়ারদের অসম্মানজনক বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হচ্ছে। আপনারা যদি এরকম অপমান বা বৈষম্যমূলক আচরণ দেখতে পান তাহলে অভিযোগ জানান।’’

ইউরোপা লিগ ফাইনাল ছিল টানটান উত্তেজনার। নির্ধারিত সময়ের ম্যাচ শেষ হয়েছিল ১-১ গোলে। তার পর অতিরিক্ত সময় এবং তার পর তা চলে যায় পেনাল্টি শুটআউটে। সেখানেও ম্যাচের ফল হয়নি। শেষ পর্যন্ড সাডেন ডেথ। প্রথম ২১টি শুট আউট থেকে দুই দলই গোল করতে সমর্থ হয়। কিন্তু ইউনাইটেড গোলকিপার ডেভিড ডি গা তাঁর ভাগের শটটি মিস করে যান। আর ভিলারিয়েল জিতে যায়।

ম্যাচের ২৯ মিনিটে প্রথম গোল করেন ভিলারিয়েল। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সমতায় ফেরে। এর পর অতিরিক্ত সময়ে কোনও গোল হয়নি। টাইব্রেকারের প্রথম পাঁচটি করে গোল দু’পক্ষই সফলভাবে করে। এর পর সাডেন ডেথেও পর পর গোল হতে থাকে। ১০-১০ হয়ে যাওয়ার পর পেনাল্টি কিক নেওয়ার জন্য একমাত্র বাকি ছিলেন দুই দলের গোলকিপারই। আর তাতেই বাজিমাত ভিলারিয়েল গোলকিপারের।

এই নিয়ে সাতটি শুটআউট ম্যাচের মধ্যে ছ’টিতেই হারতে হল ইউনাইটেডকে এবং ভিলারিয়েল কোচ উনাই এমেরি এই নিয়ে রেকর্ড চারটি ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়নের শিরোপা পেলেন।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)