কার্লটনদার ক্রস থেকেই আমার প্রথম ডার্বি গোল: দীপেন্দু বিশ্বাস

কার্লটনদার ক্রসকার্লটন চ্যাপম্যানের সঙ্গে দীপেন্দু বিশ্বাস

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: কার্লটনদার ক্রস থেকে ডার্বিতে প্রথম গোল করেছিলাম, সেই ছবি আজও আমার ঘরে বাধানো রয়েছে— আজ এভাবে তাঁর স্মৃতি রোমন্থন করতে হবে ভাবেননি দীপেন্দু বিশ্বাস। ব্রুনোর নেতৃত্বেই জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল কার্লটনের আর বিজয়ের কাছে তিনি ছিলেন ছোট ভাইয়ের মতো। টিএফএ থেকে ইস্টবেঙ্গল হয়ে জাতীয় দল, দীপেন্দু, বিজয়ন, ব্রুনো কুটিনহোদের জীবন জুড়ে এখন শুধুই সেই মিড ফিল্ডার।  যিনি আর মাপা গোলের ক্রসপাঠাবেন না কোনওদিন। সোমবার ৪৯ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।

‘‘ও আমার ছোট ভাইয়ের মতো ছিল। আমরা একটা পরিবার ছিলাম। এটা মেনে নেওয়া কঠিন। ও খুব ভাল মানুষ ছিল, মাঠে এবং মাঠের বাইরে। মাঠে যখন খেলা চলে তখন অনেক সময়ই উত্তেজনা তৈরি হয় কিন্তু আমি কখনও দেখিনি  ওকে কারও উপর রেগে যেতে।’’ —আইএম বিজয়ন

‘‘আমি অবাক এই খবর শুনে। আমাদের একজন বন্ধুর থেকে এই খবর পেলাম সকালে। এটা আমাদের সবার জন্য বড় হারানো। খেলা ছাড়ার পর ও দীর্ঘদিন ধরে কোচিং করছিল এবং অনেক প্রতিভাবাণ প্লেয়ারদের তুলে এনেছিল। একজন প্লেয়ার হিসেবে ও সব সময় খুব বিন্দাস ছিল কিন্তু খুব খাটত যখন মাঠে নামত।

ওর মুখে সব সময় একটা হাসি লেগে থাকত। আমি একবার চোট পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। একজন ছিল যে রোজ আমাকে দেখতে আসত, সেটা কার্লটন।’’ —ব্রুনো কুটিনহো

‘‘কার্লটনদা একজন অসাধারণ মানুষ ছিল। আমাদের থেকে এক-দু’বছরের বড় ছিল। ও আমাদের সব সময় সামলে রাখত, আমাদের গাইড করত বিভিন্ন বিষয়ে। আমার মনে আছে ও আমাদের ডিনারে বাইরে নিয়ে যেত সপ্তাহান্তে যখন আমরা অ্যাকাডেমিতে ছিলাম।

আমার মনে আছে, সেই সময় আমরা দু’জনেই ইস্টবেঙ্গলে ছিলাম এবং আমি আমার প্রথম গোল করেছিলাম কলকাতা ডার্বিতে। কার্লটনদার ক্রস ছিল। আমি বলে বোঝাতে পারব না সেই সময়টা আমার কাছে কতটা স্পেশাল ছিল। আমার ঘরে সেই ছবি আজও টানানো রয়েছে। প্রথম ডার্বি গোল সব সময়ই স্পেশাল আর আমি খুশি যে সেই মুহূর্তটা কার্লটনদার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পেরেছিলাম।’’ —দীপেন্দু বিশ্বাস

তথ্য ও ছবি—এআইএফএফ

(খেলার জগতের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)