জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Euro 2020, Sweden vs Ukraine ম্যাচে শুরুটা করে দিয়েছিল ইউক্রেনই। ২৭ মিনিটে সুইডেনকে চমক দিয়ে গোল তুলে নিয়েছিলেন জিনচেঙ্কো। শুরুতেই এই এগিয়ে যাওয়া ইউক্রেনের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। এই ইউরোতে অনেক অঘটন ঘটছে শেষ ১৬-তে। পর্তুগাল, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দলের ছিটকে যাওয়ার অঘটনের জ্বলন্ত উদাহরণ। সেখানে যদি সুইডেনকে পিছনে ফেলে ইউক্রেনের উত্থান ঘটে তা অস্বাভাবিক হবে না। হলও তাই। তবে ২৭ মিনিটের গোল যথেষ্ট ছিল না। গত তিনটে ম্যাচের কাহিনি বলছে শেষ বেলায় বদলে যেতে পারে সব হিসেব-নিকেশ। এই ম্যাচেও বার বার বদলালো হিসেব। অতিরিক্ত সময়ের অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে শেষ আটে পৌঁছে গেল ইউক্রেন। ফল ২-১।
প্রথমার্ধ শেষের আগেই ইউক্রেনের জালে বল জরিয়ে ১-১ করে দিয়েছিলেন সুইডেনের ফর্সবার্গ। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলেই। অসাধারণ দক্ষতায় ইয়ারমোলেঙ্কো গোলের বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন জিনচেঙ্কোকে লক্ষ্য করে। বুটের বাইরের অংশ দিয়ে ক্রস পাঠিয়েছিলেন সুইডেন রক্ষণের মাথার উপর দিয়ে। বাকি কাজটা ছিল জিনচেঙ্কোর অসাধারণ এক ফিনিশের মধ্যে দিয়ে।ইউক্রেনের হয়ে সব থেকে কম বয়সী হিসেবে ইউরো-তে গোল করলেন তিনি। পর মুহূর্তেই সুইডেনের সামনে সুযোগ চলে এসেছিল। যা দক্ষতার সঙ্গে সামলে দেন ইউক্রেন গোলকিপার।
৪৩ মিনিটে সমতায় ফেরে সুইডেন। প্রয় ২৫ গজ দূর থেকে উর্সবার্গের জোড়াল শট আটকাতে কিছু করার ছিল না গোলকিপারের। বাঁ দিকের কোণা ঘেঁষে জালে জড়িয়ে যায় বল। তবে তার আগে ফর্সবার্গের শট ধাক্কা খায় জাবারনির পায়ে। কিন্তু তাতে গতি কমেনি গোলমুখি বলেন। গোলে যাওয়া নিশ্চিত হয় বরং আরও। তবে তার জন্য ফর্সবার্গের কৃতিত্বকে কোনওভাবে অবজ্ঞা করার কোনও জায়গা নেই।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু থেকেই অনেকবেশি গতি সম্পন্ন ছিল। তবে দুই দলের ক্ষেত্রেই বার বার বাধা হয়ে দাঁড়াল পোস্ট আর ক্রসবার। আক্রামণ পাল্টা আক্রমণে খেলা চলতে থাকে। তার মধ্যেই ৫৫ মিনিটে ইয়ারমোলেঙ্কোর ডান উইং ধরে দৌঁড় শেষ হয়ে সিড্রোচুকের পায়ে বল জমা দিয়ে। ডিপ মিডফিল্ড থেকে বক্সের দিকে দৌঁড় শুরু করেন তিনি। কেটে গিয়েছিল সুইডেন রক্ষণ। কিন্তু গোলমুখি শট পোস্টের বাইরে লেগে ছিটকে যায়। এক মিনিটের মধ্যে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল, তবে এবার সুইডেনের দিকে। ফর্সবার্গ তাঁর দ্বিতীয় গোল প্রায় করেই ফেলেছিলেন। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ইসাক ইউক্রেন রক্ষণকে ড্রিবল করে উঠে গিয়ে বল বাড়িয়েছিলেন ফর্সবার্গকে। কিন্তু তাঁর শট ফিরিয়ে দিল সেই পোস্ট।
৬০ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করে সুইডেন। একডালের থেকে গোলের সামনে বল পেয়েও গোলে রাখতে ব্যর্থ ইসাক। তবে আক্রমণ চলতেই থাকে সুইডেনের। ব্যস্ত থাকতে হয় ইউক্রেন রক্ষণকে। ৬৯ মিনিটে আবার সেই ফর্সবার্গ। হ্যাটট্রিক করে ফেলতে পারতেন তিনি যদি না এই পোস্ট আর ক্রসবার বাধা হয়ে দাঁড়াত। গোলের ডান দিকে থেকে শট নিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে। কিন্তু ক্রসবারে লেগে তা বাইরে বেরিয়ে যায়। যার ফল ৯০ মিনিটের ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলে। ম্যাচ গড়ায় এক্সট্রা টাইমে। এক্সট্রা টাইমের শুরুতেই ড্যানিয়েলসনের লাল কার্ড সুইডেনের জন্য বড় ধাক্কা।
যখন মনে হচ্ছে ম্যাচ এবার টাইব্রেকারে যাবে তখনই সব হিসেব বদলে দিলেন দবভিক। তিন মিনিট অতিরিক্ত সময়ের এক মিনিটই হয়েছে সবে। আর তখনই জিনচেঙ্কোর অসাধারণ পাস থেকে দভবিকের ম্যাচ উইনিং গোল লেখা থাকবে ইউক্রেনের ফুটবল ইতিহাসে। বিদায় সুইডেন।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)