জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Euro 2020, France vs Switzerland ম্যাচে পেনাল্টি মিস করেও ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ফ্রান্স কিন্তু টাইব্রেকারে এমবাপের গোল মিস এবারের মতো ইউরো স্বপ্ন শেষ করে দিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। যার শেষ ভাল তার সব ভাল। তাই প্রথমে এগিয়ে গিয়েও পিছিয়ে পড়া এবং শেষ বেলায় সমতায় ফেরা সুইৎজারল্যান্ডের। অন্য দিকে ফ্রান্স প্রথমার্ধ পিছিয়ে থেকেই শেষ করেছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও পেনাল্টি মিস। পর পর ধাক্কা। ঘুরে দাঁড়ানো হয়তো একেই বলে। পর পর গোলে মাত্র ২ মিনিটের মধ্যে ২-১-এ এগিয়ে যাওয়া ফ্রান্সের। ফুটবলে একটা কথা আছে আর্লি গোল, যা সব সময়ই আত্মতুষ্ট করে দেয় দলকে আর পরবর্তীতে সেই গোল আর কাজে লাগে না। কিন্তু সুইৎজারল্যান্ডের অদম্য লড়াইয়ে ম্য়াচ গড়াল টাই ব্রেকার পর্যন্ত। বোঝাই যাচ্ছে লড়াইটা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল। ৯০ মিনিট ৩-৩ থাকার পর টাইব্রেকারে ৪-৫-এ পিছিয়ে পড়ে হার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
সোমবার প্রথম ম্যাচে বিশ্বকাপ রানার্স ক্রোয়েশিয়ার ক্ষেত্রেও একই কাহিনি লেখা হল। যদিও শেষ পর্যন্ত লড়াই দিয়ে হারতে হয় ক্রোয়েশিয়াকে। এদিন সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচ শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যেই গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল। বক্সের বাঁ দিক থেকে ক্রস রেখেছিলেন জুবের। সেফেরোভিচ জটলার মধ্যে থেকেই উঁচু হয়ে আসা বলে লাফিয়ে হেডে গোলে পাঠান। এগিয়ে যায় সুইৎজারল্যান্ড। তার পর পিছিয়ে পড়া দীর্ঘ সময়ের জন্য। পিছিয়ে পড়ে শেষ বেলায় সমতায় ফিরে ম্যাচকে পৌঁছে দেয় এক্সট্রা টাইমে।
পুরো প্রথমার্ধে ফ্রান্সের তেমন দাপট দেখা যায়নি। যে কারণে সমতায় ফিরতে তো পারেইনি সমতায় ফেরার চেষ্টার তেমন কোনও ইঙ্গিতও পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেনাল্টি তুলে নেন এমবাপে। বক্সের মধ্যে তাঁকে ফাউল করে বসেন জুবের। কিন্তু এই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ রডরিগেজ। তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলকিপার। ১ গোলে পিছিয়ে থাকা দল পেনাল্টি মিস করলে যা হয়। সাইড লাইনে হতাশার প্রতিফল দেখা গেল বেশ ভাল মতই। তবে সেই হতাশা কিছুক্ষণের মধ্যে কেটে গেল। পর পর গোলে।
৫৭ মিনিটে এমবাপের পাস থেকে বলের উপর নিয়ন্ত্রণ নিয়েই ঢুকে পড়েছিলেন বক্সে। সেখান থেকেই গোলে শট ফ্রান্সকে সমতায় ফেরানোর দু’মিনিটের মধ্যেই আবার গোল। আবারও বেঞ্জেমা। তখনও সমতায় ফেরার উৎসবও শেষ হয়নি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। তার মধ্যেই বেঞ্জেমার দ্বিতীয় গোল। গ্রিজম্যানের গোলমুখি শট বাঁচিয়ে দিলেও ফিরতি বলে জালে বল জড়ান বেঞ্জেমা।
দিনের সেরা গোলটি করলেন পল পোগবা। ৭৫ মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে সরাসরি গোলে শট নিলেন যা আটকানোর কোনও চেষ্টাই সফল হওয়ার ছিল না, হয়ওনি।১ গোলে পিছিয়ে থাকা দলটা দ্বিতীয়ার্ধে পুরোপুরি বদলে গিয়ে ৩-১-এ এগিয়ে গেল। তবে এখানেই শেষ নয়। এদিন যেন হাই স্কোরিং ম্যাচেরই দিন ছিল। ৩ গোল হজম করেও ব্যবধান কমাল সুইৎজারল্যান্ড। ৮১ মিনিটে সেফেরোভিচের গোলে ৩-২ করল সুইৎজারল্যান্ড।
এখানেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা হল না। শেষ মিনিটে সমতায় ফিরল সুইৎজারল্যান্ড। আরও একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচের নজির গড়ল ইউরো ২০২০। ৯০ মিনিটেভারানোভিচের গোলে ৩-৩ করল সুইৎজারল্যান্ড। ম্যাচ গড়াল এক্সট্রা টাইমে। এ যেন ক্রোয়েশিয়া-স্পেন ম্যাচের অ্যাকশন রিপ্লে হল ৯০ মিনিট ধরে। কিন্তু বাকিটা নতুন কাহিনি লেখা হল। এক্সট্রা টাইম শেষ হল গোলশূন্য ভাবেই। ম্যাচ গড়াল টাইব্রেকারে। ৪-৪ পর্যন্ত চলছিল সমানে সমানেই। কিন্তু শেষ বল সুইৎজারল্যান্ড গোলে পাঠাতে পারলেও পারল না ফ্রান্স। শেষ শট নিতে এসেছিলেন এমবাপে। আটকে গেলেন ইয়ান সোমেরের হাতে। এবারের মতো শেষ হয়ে গেল ফ্রান্সের ইউরো।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)