ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান: মরসুমের প্রথম ডার্বি গোলশূন্য ড্র

ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান মানেই টানটান উত্তেজনা। যা শুরু হয়ে যায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই। ৯০ মিনিটেই সব উত্তেজনা শেষ। মাঠেই মৃত্যু হল ডার্বির সব উত্তেজনার। ম্যাচের ফল ০-০।

না ডার্বির কোনও ফল হল না। এমন নিস্ফলা ডার্বি যে আগে হয়নি তা নয়। কিন্তু ফুটবল, এক কথায় ভাল ফুটবলটাও তো হল না। যে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে রেখেছিলেন সব বিশেষজ্ঞরা, তাঁদের ভাবনা-চিন্তায়ও জল ঢেলে দিলেন লাল-হলুদ কোচ। জঘন্ন ফুটবল খেলল ইস্টবেঙ্গল। সেদিক থেকে দেখতে গেলে মোহনবাগান কিছুটা হলেও মান রাখল বড় ম্যাচের। কিন্তু তাতে কী? গোলের মুখ খুলতে পারল না কোনও দলই।

মন্দের ভাল, মোহনবাগান ওপেন করল অনেক বেশি। মিস করল সিটার। ইস্টবেঙ্গল বক্সে কাঁপুনিও ধরাল বেশ কয়েকবার। কিন্তু তার ফল কী? খারাপ খেলে ইস্টবেঙ্গলের যা অবস্থা, যদি এটাকে ভাল খেলা বলা যায় তাহলে ভাল খেলে মোহনবাগানেরও একই অবস্থা।

দুই স্প্যানিশ কোচের হিসেব-নিকেষ সব গুলিয়ে গেল একে অপরের বিরুদ্ধে নেমে। ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে থেকেই নেমেছিল মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। তা হলে কোথায় আটকে গেলেন আলেজান্দ্রো মেনেন্দেজ? প্রথম এগারোয় তিনি রাখলেনই না দলের সব থেকে ফর্মে থাকা দুই ফুটবলারকে।

(খেলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কেএ)

সেই কোলাডো আর বিদ্যাসাগর সিং যখন নামলেন তখন ম্যাচের বয়স ৭০ মিনিট। একসঙ্গে দু’জনকে নামিয়ে বাকি ২০ মিনিটে চমক দিতে চেয়েছিলেন হয়তো। সেই প্রথম উঠলে আলেজান্দ্রোর জবাব, তিনি মনে করেছেন তাই নামাননি। বরং ডার্বিতেও তিনি পরীক্ষা-নিরিক্ষা করেছেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে কিবু ভিকুনার ফুটবল অনেকবেশি খোলামেলা। যেমন তাঁর অনুশীলন। আলেজান্দ্রোর অনুশীলনে রাখঢাক যা ফল নিয়ে এল তাতে এ বার তিনি ক্লোজ ডোর বন্ধ করতে পারেন কিছু দিন।

সুহের বেশ নজর কাড়লেন। ডার্বি নায়কের জন্ম দেয়। কিন্তু নিস্ফলা ডার্বি আর কী নায়কের জন্ম দেবে? তবে সুহেরের খেলা নজর কাড়ল। ইস্টবেঙ্গল দ্বিতীয়ার্ধে মাঝ মাঠের দখল নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ব্যর্থ অধিনায়ক ডিকা। হালকা ঝামেলাও হল তবে সেই উত্তাপ খেলায় দেখা গেল না। বেশ কিছু হলুদ কার্ড হল খারাপ ট্যাকলের জন্য। ম্যাচের সেরা হলেন মোহনবাগানের বেইতা।

তবে কলকাতা লিগে ডার্বির পারফর্মেন্স দুই কোচকেই চিন্তায় রাখবে। মোহনবাগানকে ভাবতে হবে গোল মিসের বহর নিয়ে। ইস্টবেঙ্গলকে ফিরে পেতে হবে চেনা ছন্দ।