বড় শাস্তি ইস্টবেঙ্গলের, সুখদেব ইস্যুতে বাতিল করা হল প্লেয়ার ট্রান্সফার উইন্ডো

বড় শাস্তি ইস্টবেঙ্গলেরসুখদেব সিং

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: বড় শাস্তি ইস্টবেঙ্গলের , প্লেয়ার ট্রান্সফার উইন্ডো থেকে নতুন প্লেয়ার নিয়োগ কিছুই করতে পারবে না দল। ২০১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এআইএফএফ বাতিল হয়ে গেল প্লেয়ার রিক্রুট সংক্রান্ত সব কিছু। কারণ মির্নাভা পঞ্জাব এফসির একটা অভিযোগ। আই লিগ জয়ী মিনার্ভা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই দলের প্রায় সকলের সঙ্গে পরের মরসুম পর্যন্ত চুক্তি করে নিয়েছিল যাতে কেউ ছেড়ে অন্য দলে সরাসরি চলে যেতে না পারে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কোনও নিয়মের ধার ধারেনি।

নিয়ম অনুযায়ী কোনও ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কোনও ফুটবলার অন্য ক্লাবে যেতেই পারেন বা অন্য ক্লাব সেই ফুটবলারকে তার দলে চাইতেই পারে। কিন্তু প্লেয়ারের যদি চুক্তি থাকে তা হলে সরাসরি সেই ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করা যাবে না। ক্লাবের মাধ্যমে ক্লাব চাইলে তবেই সেই ফুটবলারকে নিতে পারবে অন্য কোনও ক্লাব। এবং তার জন্য সেই ফুটবলারের চুক্তিবদ্ধ ক্লাবকে দিতে হবে ট্রান্সফার ফি। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল তা করেনি।

মির্নাভার প্লেয়ার সুখদেব সিং ইস্যুতে বড় ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল। এ বারের কলকাতা লিগের মতো এখানেই ইস্টবেঙ্গলকে মাত দিল মোহনবাগান। সুখদেব সিংকে নিয়ে প্রথম থেকেই দুই প্রধানের মধ্যে চলছিল টানাটানি। কিন্তু সঠিক পথে হেঁটে সুখদেবকে পাচ্ছে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্যে জুটল শাস্তি। বাতিল করে দেওয়া হল ইস্টবেঙ্গলের ট্রান্সফার উইন্ডো। ২০১৯ জানুয়ারির আগে কোনও নতুন ফুটবলারকে সই করাতে পারবে না লাল-হলুদ।

কলকাতা লিগে বড় বেটিং চক্র, নাম জড়িয়ে গেল অনেকের

মিনার্ভার মালিক রঞ্জিত বজাজ ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্তের পর বলেন, ‘‘সত্যের জয় হল। ফেডারেশনের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ।’’ ক্লাবের দু’জনের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। একজন দেবব্রত সরকার আর একজন প্রাক্তন ফুটবলার আলভিটো ডিকুনহা। টুইটারে এই দু’জনের নাম পুরো না লিখলেও, বোঝাই যাচ্ছে পুরো ক্ষোভটা তিনি উগরে দিচ্ছেন এঁদের দিকেই।

পরে তাঁকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, ‘‘দুটো খারপ মানুষের জন্য ইস্টবেঙ্গল মতো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। সমর্থক বঞ্চিত হচ্ছে।’’ এর আগে তিনি আই লিগে গড়াপেটার অভিযোগও এনেছিলেন লিগের শেষের দিকে। এই রায়ের পর তাঁর বিশ্বাস সেই অভিযোগের বিহিত করবে ফেডারেশন।

ইস্টবেঙ্গল অবশ্য ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্তকে ভাল ভাবে নিচ্ছে না। ক্লাব অবশ্য় বলছে, প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। প্রয়োজন হলে ক্লাব আইনি পথেও হাঁটবে। রঞ্জিত বজাজ আরও বলেন, ‘‘আমরা যে ঠিক ছিলাম তা প্রমাণ করে দিল ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত। ওরা মিথ্যাচার করেছে। সুখদেবকে পেশাদার রাস্তাতেই সই করিয়েছে মোহনবাগান।’’

ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত বলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল চাইলে আবেদন জানাতে পারে। তার প্রেক্ষিত ফেডারেশন ভাববে। তবে ইতিমধ্যে যে সব ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি হয়ে গিয়েছে তাদের নিতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু তার পর কোনও নতুন নাম নথিভুক্ত করা যাবে না।’’

নির্বাসিত করা হয়েছে সুখদেবকেও। ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি থাকা স্বত্বেও তিনি সই করেছিলেন ইস্টবেঙ্গলে। আগামী চার মাস তিনি খেলতে পারবেন না। তার পর তাঁকে খেলতে হবে মোহনবাগানে। কারণ ৫৬ লাখ টাকার বিনিময়ে তাঁকে সই করিয়েছে মোহনবাগান। চুক্তি হয়েছে দুই ক্লাবের মধ্যে।