ইস্টবেঙ্গল ইনভেস্টররা বিদায় নিচ্ছে সব স্বত্ব ফিরিয়ে দিয়ে, বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী

ইস্টবেঙ্গল ইনভেস্টরা বিদায় নিচ্ছে

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ইস্টবেঙ্গল ইনভেস্টরা বিদায় নিচ্ছে তা জানিয়ে দেওয়া হল। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েও তা জানিয়ে দিয়েছে শ্রী সিমেন্ট। যাতে বেশ বিরক্ত শোনাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলা। সোমবার বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের স্বত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হল। সেই চিঠি পৌঁছে গিয়েছ মধ্যস্থতাকারীদের কাছেও। লাল-হলুদ্র সঙ্গে যে বিনিয়োগকারী সংস্থা আর কোনও সম্পর্ক রাখতে চায় না তা পরিষ্কার হয়ে গেল। অনেকদিন ধরেই দু’পক্ষের টানাপড়েনে রীতিমতো ভবিষ্যৎ সঙ্কটে ক্লাবের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষ এক ছাতার তলায় আসতে পারল না। যার সুদূর প্রসারী ফল কী হতে চলেছে তার জন্য আরও খানিকটা অপেক্ষা করতে হবে। মনে করা হচ্ছে মধ্যস্থতাকারীদের তরফ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটাই দেখার চেষ্টা করছে তারা। এবং সেই খবরে ক্লাবের কী ভূমিকা হয় সেটাও লক্ষ্য তাদের। ক্লাব তাদের জায়গা থেকে সরছে কিনা সেটাও দেখতে চাইছে শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ। মধ্যস্থতাকারীদের পক্ষ থেকে কী উত্তর পাওয়া যায় তা দেখেই ক্লাবকে চিঠি পাঠাবে সংস্থা।

মনে করা হচ্ছে সোমবার রাত বা মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করবে শ্রী সিমেন্ট ক্লাবকে চিঠি পাঠাতে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের স্পোর্টিং রাইট এতদিন ছিল শ্রী সিমেন্টের হাতে। ইতিমধ্যের ক্লাবের পিছনে বড় অঙ্কের টাকা খরচ করে ফেলেছে শ্রী সিমেন্ট। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বেশ কঠিন সময়ে শ্রী সিমেন্টকে তাদের স্পনসর হিসেবে রীতিমতো জোগার করে দেওয়া হয়েছিল। তাতে অনেকটাই ভূমিকা রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই প্রতিবারের মতো সমস্যা দেখা দেয়। অতীতে এই নজির রয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ও বিনিয়োগকারী সংস্থার ক্ষেত্রে। তবে আর ঝামেলায় জড়াতে চাইছে না শ্রী সিমেন্ট।

এতদিন আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথা বলছিল শ্রী সিমেন্ট স্পোর্টিং রাইট ছাড়ার জন্য তবে এখন তাও চাইছে না। এর আগে কোয়েসের ক্ষেত্রেও একই বিপাকে পড়েছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্টবেঙ্গল ও বিনিয়োগকারী সংস্থার ঝামেলা প্রসঙ্গে এদিন বলেন, ‘‘শেষ মুহূর্তে ইনভেস্টরদের সরে যাওয়াটা মেনে নেওয়া যায় না। আমাকে চিঠি দিয়ে সে কথা জানিয়েছে। এতদিন ধরে একটা ক্লাবকে ঝুলিয়ে রেখে কিনা শেষে বলছে কিছু করতে পারবে না। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের একটা ঐতিহ্য রয়েছে। আমি চাই মোহনবাগানের মতো ইস্টবেঙ্গল, মহমেডানও আইএসএল-এ খেলুক।’’ এর সঙ্গেই নতুন করে চেষ্টা করার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।

এখনও ক্লাবের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জানা যাচ্ছে শেষ চেষ্টা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ক্লাব ও ইনভেস্টরদের নিয়ে আলোচনায় বসার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। এই ইনভেস্টর আনার পিছনেও তাঁর ভূমিকা ছিল সে কারণেই হতা তুলে নিতে পারছেন না তিনি। এর পরই পুরো বিষয়টি খোলসা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ইস্টবেঙ্গলে স্পনসর করে ফুটবলের ভাল করতে চেয়েছিল একটি সংস্থা, তবে বাকিদের মতই অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হতে হল তাদের। সমস্যা শেষ পর্যন্ত না মিটলে ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ রীতিমতো সমস্যায় পড়বে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)