ইস্টবেঙ্গলকে সিবিআই-এর চিঠি, রোজভ্যালি লিঙ্ক খুঁজতেই এই তলব

ইস্টবেঙ্গল ইনভেস্টরা বিদায় নিচ্ছে

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ইস্টবেঙ্গলকে সিবিআই-এর চিঠি কারণ রোজভ্যালি কাণ্ডে জড়িয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হিসাবরক্ষক দেবদাস সমাজদারের নাম। ২৯ ডিসেম্বর সিবিআই-এর তরফে প্রথম বার চিঠি যায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। সেখানে জানতে চাওয়া হয় রোজভ্যালির সঙ্গে যোগসুত্র প্রসঙ্গে। সেই চিঠির উত্তর ক্লাবের তরফে না দেওয়ায় পুনরায় ডিফল্টার হওয়ার চিঠি এল ক্লাবে। ৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় চিঠিতে বলা হয়েছে ৭ জানুয়ারির মধ্যে সব কাগজপত্র জমা না দিলে তা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। সূত্রের খবর সিবিআই তরফে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে রোজভ্যালি এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মধ্যেকার সেই লিঙ্কম্যানের। সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন ক্লাবের এক শীর্ষকর্তা।

এর আগে সারদা কাণ্ডেও নাম জড়িয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ক্লাবের স্পনসর সংস্থা। এমনিতেই দু’পক্ষের সম্পর্ক মোটেও ভাল নয় তার উপর আইনি জটিলতা কোনওভাবেই তারা মেনে নিতে পারছে না। এক তো দলের মাঠের পারফর্মেন্স বেশ খারাপ। আইএসএল-এর প্রথম বছর ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে উঠে গিয়েছে অনেক প্রশ্ন। তার উপর শিরে সংক্রান্তির মতো এই সিবিআই-এর চিঠি।

এর আগে ২০১৫-তে সারদা কাণ্ডে জেলও হয়েছিল ক্লাবের শীর্ষকর্তার। এবার সিবিআই-এর চিঠি যে ক্লাবে পৌঁছেছিল তা স্বীকারও করেছেন ক্লাবের এক কর্তা কিনতু তিনি এও জানিয়েছেন, সেই চিঠির জবাবও নাকি দিয়েছে ক্লাব। তবে যা খবর চিঠির জবাব না পেয়েই দ্বিতীয় চিঠি লেখা হয় ক্লাব সভাপতি প্রনব দাশগুপ্তকে।

সিবিআই নোটিস-১

সিবিআই নোটিস-২

সারদার মালিক সুদীপ্ত সেন ও রোজভ্যালির মালিক গৌতম কুন্ডু এখন জেলে। তাঁরা দু’জনেই ছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সদস্য। তবে ক্লাবের তরফে খবর এই দু’জনের সদস্যপদ অনেক আগেই বাতিল করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। স্পনসর সংস্থার তরফে এবার দাবি করা হয়েছে তাঁদের যদি সদস্যপদ বাতিল হয় তাহলে এখন যাঁদের নাম জড়াচ্ছে তাঁদের সদস্য পদ কেন বাতিল হবে না। মনে করা হচ্ছে ক্লাবের শীর্ষকর্তাদের দিকেই আঙুল তুলেছে তারা।

(আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)