আইএসএল ২০২০-২১, হতাশ হাবাস, দলের খেলায় অখুশি কোচ

আইএসএল ২০২০-২১, হতাশ হাবাস

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আইএসএল ২০২০-২১, হতাশ হাবাস কিন্তু বেঁচে গেলেন হারের হাত থেকে। প্রায় হারতে হারতে বাঁচার পর আর কী করেই বা খুশি হন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস? স্বাভাবিক ভাবেই এটিকে মোহনবাগানের কোচ খুশি নন, তাঁর দলের খেলায়। সোমবার তিলক ময়দানে শেষ মুহূর্তের গোলে হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে ২-২ ড্রয়ের পরে তিনি সাংবাদিকদের ভার্চুয়াল প্রেস মিটে বলেন, “আমি দলের খেলায় খুশি নই। এই ম্যাচে আমাদের তিন পয়েন্ট জিতে লিগের এক নম্বর জায়গাটা নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল। পাঁচ মিনিট পর থেকেই মাঠে আমাদের খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেশি ছিল। এখন আমাদের মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে খেলার ভাবনা শুরু করতে হবে”।

সোমবার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই দশ জন হয়ে যায় হায়দরাবাদ এফসি। গোলমুখী ডেভিড উইলিয়ামসকে টেনে ফেলে দেওয়ার জন্য চিঙলেনসানা সিংকে লাল কার্ড দেখান রেফারি অজিত মিতেই। কিন্তু উল্টে এটিকে মোহনবাগানকেই চাপে ফেলে দেয় তারা।

দুই ডিফেন্ডার প্রীতম কোটাল ও তিরির রক্ষণের ভুল বোঝাবুঝিতে আট মিনিটের মাথাতেই গোল খায় এটিকে মোহনবাগান। সুযোগসন্ধানী গোল করে দলকে এগিয়ে দেন হায়দরাবাদের স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড আরিদানে সান্তানা। বিরতির পরে ৫৭ মিনিটে গোল শোধ করেন মনবীর সিং। কিন্তু ৭৫ মিনিটে পরিবর্ত ডাচ মিডফিল্ডার রোল্যান্ড আলবার্গের গোলে ফের পিছিয়ে পড়ে সবুজ-মেরুন বাহিনী। স্টপেজ টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে প্রীতম কোটালের গোলে হার বাঁচে তাদের।

এখন পরের ম্যাচে অন্তত ড্র করতেই হবে তাদের। না হলে এক নম্বর জায়গাটা পাওয়া নাও হতে পারে তাদের। শেষ ম্যাচে দুই নম্বরে থাকা মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে, যারা পরের ম্যাচে ওডিশা এফসি-কে হারালে শেষ ম্যাচে হাবাস-বাহিনীর হারা চলবে না। এই প্রসঙ্গে স্প্যানিশ কোচ বলেন, “মুম্বই সিটিকে এখনও ওডিশার বিরুদ্ধে খেলতে হবে। এর মধ্যে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। চোট পেয়েছে যারা, তাদের সারিয়ে তুলতে হবে। সারা মরশুমে আমরা অসাধারণ খেলেছি। এ বার সমস্যা মিটিয়ে শেষ ম্যাচে জিতে লিগশিল্ডটা জিততে হবে আমাদের”।

সবুজ-মেরুন শিবিরের প্রথম গোলদাতা মনবীর এ দিন ম্যাচের পরে আইএসএল মিডিয়াকে বলেন, “হতাশ তো হয়েছিই আমরা। প্রথম গোলটা আমাদেরই ভুল হয়েছে। এই ভুল আমাদের শোধরাতে হবে। আশা করি পরের ম্যাচে তিন পয়েন্ট পাব আমরা”। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে মনবীর বলেন, “নিজের খেলা নিয়ে খুশি আমি। ১০০ শতাংশ দিতে চাই প্রতি ম্যাচে। এটিকে মোহনবাগানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে যে ঠিকই করেছিলাম, সেটা এখন বুঝতে পারছি। হাবাস স্যরের স্টাইল আমার পক্ষে মানানসই। আশা করি আরও গোল করব”। পাঁচ গোলে করে ভারতীয় গোলদাতাদের তালিকায় এখন সুনীল ছেত্রীর (৭) পরেই রয়েছেন মনবীর।

অন্য দিকে হায়দরাবাদ এফসি-র স্প্যানিশ কোচ মানুয়েল মার্কেজ বলেন, “আমার দলের ছেলেরা যা খেলেছে, তাতে আমি খুবই গর্বিত। জয়ের একেবারে কাছ থেকে ফিরে আসায় ওরা খুব দুঃখ পেয়েছে ঠিকই। কিন্তু ওরা গর্ব করার মতোই খেলেছে। দেখা যাক রবিবার আমরা এফসি গোয়াকে হারাতে পারি কি না”। সেরা চারে থাকতে গেলে শেষ ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেতেই হবে হায়দরাবাদকে।

এই প্রসঙ্গে মার্কেজ বলেন, “আমরা এই ম্যাচে তিন পয়েন্ট চেয়েছিলাম। কিন্তু এটাই খেলা। এখনও আমরা সেরা চারে থাকতে পারি। সেটা পারলে তো দারুন প্রাপ্তি হবে। তবে না পেলেও আমার ছেলেদের জন্য গর্ববোধ করব”।

পাঁচ মিনিটের মাথায় তাঁর দলের ডিফেন্ডারের লাল কার্ড দেখা প্রসঙ্গে মার্কেজ বলেন, “দশ জনে খেললে প্রতিপক্ষ সমস্যায় পড়ে, কারণ, তখন প্রত্যেকেই বলের পিছনে পড়ে যায়। কিন্তু আমাদের বড্ড বেশি সময় ধরে দশ জনে খেলতে হয়, এটাই সমস্যা হয়ে যায়। এটিকে মোহনবাগানের মতো দলের বিরুদ্ধে এতক্ষণ দশজনে খেলা খুবই কঠিন চ্যালেঞ্জ”।

(লেখা ও ছবি আইএসএল ওয়েব সাইট)

(আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)