প্রথম ম্যাচে নেই ডেল স্টেন, শুরুর আগেই বড় ধাক্কা দক্ষিণ আফ্রিকার

প্রথম ম্যাচে নেই ডেল স্টেনপ্রথম ম্যাচে নেই ডেল স্টেন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: প্রথম ম্যাচে নেই ডেল স্টেন, বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বড় ধাক্কা দক্ষিণ আফ্রিকার। চোটের জন্য প্রথম ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন ডেল স্টেন।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামতে পারবেন না এই প্রোটিয়া জোরে বোলার। ওভালে সাংবাদিক সম্মেলন করে স্টেনকে না পাওয়ার খবর জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ওটিস গিবসন। কাঁধে চোটের জন্য আইপিএলের মাঝপথে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন স্টেন। দলের প্রস্তুতি শিবিরে রিহ্যাবও চলছিল। কিন্তু এখনও পুরো ফিট হয়ে উঠতে পারেননি।

শুধু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই নয়, ওভালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচেও মাঠে নামার সম্ভাবনা কম। ৫ জুন ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে হয়তো ফিট হয়ে যাবেন। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন ওটিস গিবসন। স্টেনকে না পাওয়াটা নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। তাঁর পরিবর্তে ডোয়েন প্রিটোরিয়াস ও ক্রিস মরিসের মধ্যে একজন প্রথম একাদশে ঢুকবেন।

তিনি প্রথম ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেও কাগিসো রাবাডাকে নিয়ে বাজি ধরছেন স্টেন। ২০১৪ অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে রাবাডার বোলিং দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল রাবাডার। তুলে নিয়েছিলেন ১৪ উইকেট। ঘরে বসে শুধু রাবাডার বোলিংই দেখেননি, স্টেনের নোটবুকে উঠে এসেছিল অনেক তথ্য।

প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে হার, তবু এখনই কোহলিদের নিয়ে ভয় পেতে রাজি নন সচিন

‘ডেলিভারির মুহূর্তে মাথা ও কাঁধ অন্যদের তুলনায় সোজা থাকে।’ রাবাডার এই বোলিং অ্যাকশনই সবথেকে বেশি আকৃষ্ট করেছিল ডেল স্টেনকে। এবারের বিশ্বকাপে স্টেন–রাবাডা জুটিই যে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ে বড় ভরসা, সে কথা অস্বীকার করার উপায় নেই।

বিশ্বকাপে এই প্রথম একসঙ্গে মাঠে নামবে স্টেন–রাবাডা জুটি। স্টেন অভিজ্ঞতায় ভরপুর হলেও, রাবাডার কিছুটা খামতি রয়েছে। নিজেকে মেলে ধরার জন্য রাবাডার কাছে এটাই সেরা মঞ্চ। জীবনের প্রথম বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগে নিজের অনুভূতি বোঝাতে পারছেন না দক্ষিণ আফ্রিকার এই জোরে বোলার। তিনি বলেছেন, ‘‌সত্যি কথা বলতে কী, আমার অনুভূতি কেমন, আমি নিজেই জানি না। তবে বিশ্বকাপ নিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমাদের টিম স্পিরিট খুব ভাল জায়গায় রয়েছে। নিজেদের ওপর বিশ্বাসও রয়েছে। এখন শুধু মাঠে নামার অপেক্ষায়।’‌

নিজের পারফরমেন্সের পাশাপাশি রাবাডা অপেক্ষায় রয়েছেন ডেল স্টেনের জ্বলে ওঠার। স্টেনকে দেখেই অনুপ্রাণিত রাবাডা। নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন সে কথা। রাবাডা বলেছেন, ‘‌স্টেন সবসময়ই আমার কাছে অনুপ্রেরণা। ওর অ্যাকশন খুব সুন্দর ও একেবারেই জটিল নয়। পাশে যদি এরকম দক্ষতাসম্পন্ন বোলার থাকে, তাকে শুধু অনুসরণ করতে হয়।’‌

অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে দেখার পর থেকেই রাবাডাকে বেশ মনে ধরে গেছে ডেল স্টেনের। আর যেভাবে এই তরুণ জোরে বোলার নিজেকে পরিণত করে তুলেছেন, তাতে মুগ্ধ স্টেন। বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগে সতীর্থ সম্পর্কে স্টেন বলেছেন, ‘‌রাবাডা একজন প্রকৃত অ্যাথলিট। ও বাস্কেটবল খেলোয়াড় হতে পারত, স্প্রিন্টার হতে পারত, অন্য কোনও খেলার সঙ্গেও যুক্ত হতে পারত। যখন রাবাডার হাতে ক্রিকেট বল তুলে দেওয়া হয়েছিল, দ্রুত বুঝে গিয়েছিল কিছু করার জন্যই পৃথিবীতে এসেছে। ওকে শেখানোর বিশেষ কিছু নেই। জন্মগতভাবেই সব কিছু পেয়েছে।’‌

ইতিমধ্যেই একদিনের ক্রিকেটে ১০৬টি শিকার করে ফেলেছেন রাবাডা। দলের এই জুনিয়র বোলারের অ্যাকশনেও মুগ্ধ স্টেন। বলেছেন, ‘‌রাবাডার শুধু একটা বল দেখুন, কেমনভাবে ছুটে আসছে, কতটা সহজ বোলিং অ্যাকশন। ও নিজেই নিজেকে সহজ করে তুলেছে।’ জোরে বোলার হওয়ার জন্যই রাবাডা জন্মেছে বলে জানিয়েছেন স্টেন। তাঁর কথায়, ‘‌রাবাডার বোলিং হল হাইওয়েতে ১০০ মাইল বেগে গাড়ি চালানোর মতো। যদি উইকেট না–ও পায়, তবুও একই গতিতে বোলিং করে যায়। জোরে বোলার হওয়ার জন্যই ও জন্মেছে।’‌

বিশ্বকাপে রাবাডা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলেও মনে করছেন স্টেন।‌

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)