জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: প্যাট্রিক চিকের গোল দেখে কিছুক্ষণের জন্য চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। ফুটবলে কখনও পুরো ম্যাচের বদলে দাগ কেটে যায় একটা গোল, একটা মুভ বা একটা দুরন্ত সেভ। চেক প্রজাতন্ত্রের প্যাট্রিক চিকের গোল তেমনই একটা গোল। শুধু তেমনই না, ইউরোর ইতিহাসে সর্বকালের সেরা গোলের তালিকায় নিশ্চিতভাবে জায়গা করে নেবে সোমবারের এই গোল। এদিন উয়েফা ২০২০-র গ্রুপ ডি-র ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল চেক প্রজাতন্ত্র। ২-০ গোলে এই ম্যাচ সহজেই জিতে নেয় চেক।
চিকের গোলেই প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েছিল তাঁর। দ্বিতীয়ার্ধে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। হ্যাটট্রিকও করতে পারতেন। কিন্তু সে দুঃখ আর কারও থাকার কথা নয় এমন একটা গোল দেখার পর। ৫২ মিনিটে হয় ম্যাচের, চিকের ও চেক প্রজাতন্ত্রের দ্বিতীয় গোল। গ্লাসগোর হ্যাম্পডেন পার্কে এই ম্যাচ সারাজীবন লেখা থাকবে ফুটবলের ইতিহাসেও।
কাউন্টার অ্যাটাকে বল নিয়ে উঠে গিয়েছিলেন চিক। প্রতিপক্ষের পেনাল্টি এলাকার বাইরে বলটি স্কটিশ ফরোয়ার্ডের পা থেকে ছিটকে যায় আর সেখান থেকেই গোলে হঠাৎ আক্রমণে স্তম্ভিত হয়ে যান স্কটিশ গোলকিপার ডেভিড মার্শাল। মাঝ মাঠ থেকে চিকের বাঁ পায়ের শট গোলের দিকে আসতে দেখে নিজের জায়গায় ফেরার চেষ্টা করেন মার্শাল। বল প্রতিপক্ষের গোলে থাকায় ব্ক্সের প্রায় বাইরে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বলের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে তো পারেনইনি বরং পিছিয়ে পড়েন অনেক। আর মাঝ মাঠ গোলে ঠিকানা লেখা যে বল চিক পাঠিয়েছিলেন তা স্কটিশ গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে চলে যায় ফাঁকা গোলে।
Patrik Schick’s PHENOMENAL long-range goal against Scotland — we’re going to be seeing this a LOT! 🇨🇿💪
— Ian Willoughby (@Ian_Willoughby) June 14, 2021
প্রথম গোলও এসেছিল চিকের কৃতিত্বেই। দ্বিতীয় গোল পায়ের জাদুতে হলেও প্রথম গোল হয়েছিল নিখুঁত হেডে। স্কটল্যান্ডও গোলেও সুযোগ পেয়েছিল একাধিক কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি। আর চেক গোলের নিচে টমাস ভাকলিকও ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। হিসেব বলছে স্কটল্যান্ড গোলে শট নিয়েছিল ১৯টি সেখানে চেক রিপাবলিক নেয় ১০টি। পজেশনেও একটা সময় এগিয়েছিল স্কটিশরা। অনেকবেশি পাসও খেলেছে তারা।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)