স্প্যানিশ কোচ ফ্রান্সিসকো গার্সিয়া প্রয়াত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে

স্প্যানিশ কোচ ফ্রান্সিসকো গার্সিয়াস্প্যানিশ কোচ ফ্রান্সিসকো গার্সিয়া

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: স্প্যানিশ কোচ ফ্রান্সিসকো গার্সিয়া মাত্র ২১ বছর বয়সেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। কারণ করোনাভাইরাস। স্পেনে বিপুল পরিমানে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। এই বাইরাস থাবা বসিয়েছে খেলার মাঠেও। বাতিল হয়ে গিয়েছে সব ধরনের ইভেন্ট। কিন্তু তার মধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন একাধিক ফুটবল জগতের মানুষ। যার মধ্যে প্রথম মৃত্যুর সাক্ষা থাকল মালাগার এই ক্লাব।

গার্সিয়ার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে তাঁর ক্লাব অ্যাটলেটিকো পোর্তাদা আল্টা। ২১ বছরের গার্সিয়া ২০১৬ থেকে এই ক্লাবের যুব দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। সর্ব কনিষ্ঠ তিনিই যাঁর এই ভাইরাসে মৃত্যু হল। এই অঞ্চলে পঞ্চম মৃত্যু।


এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন

যদিও লিউকোমিয়ায় ভুগছিলেন গার্সিয়া। এই রোগ বেশি করে থাবা বসাচ্ছে যাঁদের শরীরে আগে থেকে কোনও সমস্যা রয়েছে। হঠাৎই বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লিউকোমিয়ার পাশাপাশি তাঁর শরীরে প্রকটভাবে দেখা দেয় করোনাভাইরাসের উপসর্গ। রবিবার মৃত্যু হয় তাঁর।

তাঁক ক্লাবের পক্ষ থেকে বার্তা দিয়ে গার্সিয়ার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। সেই বার্তায় বলা হয়েছে, ‘‘ক্লাবের পক্ষ থেকে আমরা গার্সিয়ার পরিবার, বন্ধু ও আত্মীয়দের সমবেদনা জানাচ্ছি। গার্সিয়া দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজ আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে।’’

সেই বার্তায় বেরিয়ে আসে ক্লাবের অন্দরে তাঁকে হারানোর যন্ত্রণা। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘আমরা ফ্রান্সিসকে ছাড়া কী করব? আমাদের যখনই প্রয়োজ‌ন হয়েছে তুমি আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছ, সাহায্য করেছ, নিজের সেরাটা দিয়েছ। আমরা কী ভাবে লিগে জয় ধরে রাখব? আমি জানি না কী ভাবে কিন্তু অবশ্য তোমার জন্য আমরা সেটা করব। আমরা তোমাকে ভুলব না, শান্তি থেকো সব সময়।’’

গার্সিয়ার মৃত্যুতে স্প্যানিশ ফুটবলে নেমে এসেছে অন্ধকার। ভেঙে পড়েছেন তাঁর সতীর্থ, ছাত্ররা। ক্লাবের বাকিদেরও নজরে রাখা হচ্ছে। করা হচ্ছে পরীক্ষা। অনেকেরই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়ছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যে সাত হাজারের উপর মানুষের প্রান গিয়েছে। আক্রান্ত এক লাখ ৭৫ হাজেরর উপর। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। চিনের পর সব থেকে বেশি এই রোগের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল ইতালিতে। তার পরই রয়েছে ফ্রান্স।

বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশের সব ফুটবল লিগ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভ্রমণের স্থানও।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)