এমএস ধোনি এখন ক্রিকেটার নন তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল

সেনাবাহিনীতে মহেন্দ্র সিং ধোনিসেনাবাহিনীতে মহেন্দ্র সিং ধোনি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: এমএস ধোনি তিনি কিন্তু আপাতত তাঁর নামের পাশে ভারতীয় দলের ক্রিকেটার নয়, লিখতে হবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল। এই মুহূর্তে তাঁর হাতে ব্যাট নয়, রয়েছে একে ৪৭। আগামী কয়েকদিন তাঁর গায়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি নয়, সেনাবাহিনীর ক্যামোফ্লাজ পোশাক। এখন তাঁকে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের সঙ্গে লডারহিল, পোর্ট অফ স্পেনে দেখা যাবে না, তিনি থাকবেন জম্মু–‌কাশ্মীরে মনোজ সিং, আর ডি শর্মাদের সঙ্গে।

মহেন্দ্র সিং ধোনি বুধবার থেকে শ্রীনগরে টেরিটোরিয়াল আর্মির ১০৬ ব্যাটেলিয়নে কাজ শুরু করলেন। প্যারাশুট রেজিমেন্টের সাম্মানিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে ১৫ দিন কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযানে শামিল হবেন ধোনি। তাঁর এই ‘‌সফর’‌ শেষ হবে ১৫ আগস্ট। এই ব্যাটেলিয়ন কাশ্মীর উপত্যকায় ভিক্টর ফোর্সের অংশ হিসেবে কাজ করে। এই বাহিনীর কাজ জঙ্গি হানার মোকাবিলা করা। অবশ্য সত্যিকারের কোনও ঘটনা ঘটলে তার মোকাবিলা করার অনুমতি ধোনিকে দেওয়া হবে না। কারণ তাঁর এই ট্রেনিং নেই। গোটা এলাকায় টহলদারি এবং সেনা চৌকি পাহারা দেওয়ার কাজও করে এই বাহিনী। বাদামি বাঘ ক্যান্টনমেন্টের রাস্তা দেখভালের দায়িত্বও এই ব্যাটেলিয়নের। এগুলো সবই করবেন এমএসডি। তিনি সেনা ব্যারাকেই থাকবেন।

জানা গেছে সেনার পোশাক, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, এ কে ৪৭–‌সহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে ধোনির সঙ্গে থাকবে মোট ১৯ কেজি ওজনের সামগ্রী। পোশাকের ওজন ৩ কেজি, তিনটি লোডেড ম্যাগাজিনের ওজন ৫ কেজি, এক জোড়া বুটের ওজন ২ কেজি, ছয়টি গ্রেনেডের ওজন ৪ কেজি, হেলমেটের ওজন ১ কেজি এবং বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের ওজন হবে ৪ কেজি।

চারটি আর্মি গুডউইল স্কুলে গিয়ে ছাত্রদের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি। স্থানীয় পাঁচটি ক্রিকেট দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার কথা তাঁর। তাদের সঙ্গে ম্যাচও খেলবেন ধোনি।‌‌

এদিকে এমএসডি–র পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় নির্বাচক কমিটির প্রধান এমএসকে প্রসাদ। ধোনিকে জাতীয় দলে প্রধান সম্পদ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। বিশ্বকাপে ধোনির পারফরমেন্স প্রসঙ্গে প্রসাদ বলেন, ‌‘বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে শুরুতে ওইরকম ধস নামার পরেও যদি আমরা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিততাম, তাহলে ধোনি ও জাদেজার ইনিংস সর্বকালের সেরা ইনিংস বলে প্রশংসা পেত। আমি পরিস্কারভাবে বলতে পারি, ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে গ্লাভস হাতে ও ফিনিশার হিসেবে এখনও পর্যন্ত ধোনিই সেরা। ওর কাছাকাছি পৌঁছতে গেলে বাকিদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যাটসম্যান ও উইকেটকিপার হিসেবে ধোনি বিশ্বকাপে ভারতের বড় শক্তি ছিল। অধিনায়ক বিরাট কোহলিও মাঠে ওর অভিজ্ঞতা কাজে লাগাত।’‌

কেন ধোনিকে ক্যারিবিয়ান সফরে দলে রাখা হয়নি সে প্রসঙ্গে প্রসাদ বলেন, ‘‌আমাদের পরিকল্পনা ছিল বিশ্বকাপের পরে ঋষভ পন্থকে তৈরি হওয়ার সুযোগ দেওয়া। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী ও যাতে পারফরমেন্স করতে পারে, তার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হবে। তাই ধোনিকে ক্যারিবিয়ান সফর থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।’‌ ঋষভ পন্থ, খলিল আমেদ, হনুমা বিহারীদের মতো তরুণ ক্রিকেটারদের টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার কথাও শোনা গেছে জাতীয় নির্বাচক কমিটির প্রধানের মুখে।