ইউরোর মাঠে জ্ঞান হারালেন ডেনমার্কের এরিকসন, চলছে চিকিৎসা

ইউরোর মাঠে জ্ঞান হারালেন ডেনমার্কের এরিকসনমাঠ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এরিকসনকে। ছবি-টুইটার

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ইউরোর মাঠে জ্ঞান হারালেন ডেনমার্কের এরিকসন, সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করে দেওয়া হয় খেলা। প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কায় তখন গোটা মাঠ থেকে গ্যালারি। মাঠেই কৃত্রিম উপায়ে তাঁকে শ্বাস প্রশ্বাস ফেরানোর চেষ্টা করা করেন চিকিৎসকরা। সাময়িক বন্ধ রাখা হয় ডেনমার্ক বনাম ফিনল্যান্ড ম্যাচ। তবে পরে দুই দলের সঙ্গে কথা বলে ম্যাচ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচ অফিশিয়া‌ল। তবে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ম্যাচ বাতিল করা হচ্ছে না। দু’পক্ষই চাইছে খেলাটা শেষ করতে। ভারতীয় সময় রাত ১টায় শুরু হবে এই ম্যাচ বলে জানানো হয়েছে। এরিকসনের অবস্থা স্থিতিশীল হওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত। এরিকসনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সতীর্থর পরিস্থিতি দেখে আতঙ্কে কেঁদে ফেলতে দেখা যায় ডেনমার্কের ফুটবলারদের। কাছে থাকায় তাঁরা হয়তো বাস্তব পরিস্থিতিটা বুঝতে পারছিলেন। তবে আশঙ্কা কাটিয়ে জ্ঞান ফিরেছে ফুটবলারের।

১০ মিনিট তাঁকে মাঠেই সিপিআর দেওয়ার চেষ্টা করা হয় কিন্তু মনে করা হচ্ছিল তাতে সাড়া দেননি ক্রিস্টিয়ান এরিকসন। তার পরই তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে মাঠ থেকে স্ট্রেচারে বের করার যে ছবি সামনে আসছে তাতে দেখা যাচ্ছে চোখ কোলা রয়েছে এরিকসনের। আর তিনি নিজের কপালে হাত দিয়ে রেখেছেন। তাতেই অনেকটা স্বস্তি ফেরে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে।

আসজাদ নাজির বলে এক ব্যাক্তি তাঁর টুইটে জানিয়েছেন, দানিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে আপাতত জ্ঞান ফিরেছে এরিকসনের। তাঁর চোখ খোলা অবস্থায় স্ট্রেচারে করে বেরনোর ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি। তবে পরীক্ষা চলছে এই ফুটবলারের। মাঠেই উপস্থিত ছিলেন এরিকসনের স্ত্রী। তাঁকে স্বান্তনা দিতে দেখা যায় ডেনমার্কের ফুটবলারদের। দলের অধিনায়ক কাজেরকে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন এরিকসনের স্ত্রী। ছবি—টুইটার

এরিকসনের এজেন্ট মার্টিন স্কটস জানিয়েছেন, ক্রিস্টিয়ান এরিকসনের শ্বাস প্রশ্বাস চলছে এবং তিনি কথা বলতে পারছেন। জেগে আছেন তিনি। ক্রিস্টিয়ানের বাবার সঙ্গে কথা বলে তিনি এই কথা জানিয়েছেন,এনপিও রেডিও ওয়ানকে। কোপেনহেগেনে গ্রুপ বি-র ম্যাচ চলছিল। যে সময় এরিকসন পড়ে যান সেই সময়ের একটি ভিডিও টুইটারে সামনে এসেছে।  টেলিভিশন থেকে তোলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সব থেকে বেশি প্রশংসা হচ্ছে রেফারি অ্যান্থনি টেলরের। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তিনি ম্যাচ বন্ধ করে এরিকসনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। মনে করা হচ্ছে এই দ্রুত চিকিৎসাই বাঁচিয়ে দিল এরিকসনকে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)