ফাইনালে চেন্নাই বনাম হায়দ্রাবাদ, এবারের মতো বিদায় কলকাতা

ফাইনালে চেন্নাই বনাম হায়দ্রাবাদম্যাচের সেরা রশিদ খান। ছবি-টুইটার।

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ফাইনালে চেন্নাই বনাম হায়দ্রাবাদ । শেষরক্ষা হল না। হায়দ্রাবাদের কাছে হেরে ১১তম আইপিএল-এর ফাইনালে চেন্নাইয়ের মুখোমুখি হওয়া হল না কলকাতা নাইট রাইডার্সের। বরং কলকাতাকে হারিয়ে প্রথম কোয়ালিফাইংয়ে চেন্নাইয়ের কাছে হারের বদলা নেওয়ার সুযোগ চলে এল সাকিবদের সামনে।

ইডেনে দু’দিন আগেই রাজস্থানকে উড়িয়ে স্বপ্ন জিইয়ে রেখেছিল কেকেআর। সেই ঘরের মাঠেই সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের কাছে ১৪ রানে হেরে এ বারের মতো আইপিএল শেষ হয়ে গেল কলকাতার। শুক্রবার টস জিতে প্রথমে হায়দ্রাবাদকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। শুরুটাও দারুণ করে দিয়েছিল অ্যাওয়ে টিম। নিজের চেনা শহরে, চেনা স্টেডিয়ামে শুরুর দায়িত্বটাও ছিল এক বাঙালির হাতেই। সঙ্গে স্পেশালিস্ট ওপেনার শিখর ধবন। ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাট থেকে ২৭ বলে ৩৫ রান এল ৫টি বাউন্ডারির দৌলতে।

একইভাবে শিখর ধবন ২৪ বলে করলেন ৩৪ রান। কিন্তু তিন নম্বরে নেমে মাত্র ৩ রান করেই ফিরলেন ক্যাপ্টেন উইলিয়ামসন। এর পর হায়দ্রাবাদের হাল ধরেন সাকিব (২৮) ও হুদা (১৯)। যদিও ইউসুফ পাঠান (৩) ও ব্রেথওয়েট (৮) হতাশ করেই ফেরেন। তবে ব্যাট হাতে শেষ কাজটি করে যায় রশিদ খানের অপরাজিত ১০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস। ৪টি ছক্কার সঙ্গে ছিল ২টি বাউন্ডারি। হায়দ্রাবাদের ইনিংস শেষ হয় ১৭৪-৭এ।কলকাতার হয়ে দুটো উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। একটি করে উইকেট শিবম মাভি, সুনীল নারিন ও পীযুশ চাওলার।

ফাইনালে চেন্নাই বনাম হায়দ্রাবাদ

কলকাতা বনাম হায়দ্রাবাদ ম্যাচের একটি মুহূর্ত।

লক্ষ্যটা খুব কঠিন ছিল না কেকেআর-এর জন্য। সঙ্গে ছিল ভরা গ্যালারির চিৎকার। কিন্তু হোম গ্রাউন্ডের অ্যাডভান্টেজ কাজে লাগাতে পারল না কার্তিক অ্যান্ড ব্রিগেড।ক্রিস লিন আর সুনীল নারিন শুরুটা ভালই করে দিয়েছিল। নারিন ফেরেন ১৩ বলে ২৬ রান করে। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেতে নীতিশ রানা করেন ১৬ বলে ২২। ক্রিস লিনের ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। অল্পের জন্য হাতছাড়া হল হাফ সেঞ্চুরি।

আজ কারা বাজিমাত করলেন, মিলল কি আমাদের কথা

কিন্তু কলকাতাকে ডোবাল মিডল অর্ডার। উথাপ্পা (২), কার্তিক (৮), রাসেল (৩), চাওলা (১২), শিভম মাভি (৬) দাঁড়াতেই পারেননি। মাঝে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেনশুবমন ইল। ২০ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। কিন্তু জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। কুলদীপ যাদব আর প্রসিধ কৃষ্ণা অপরাজিত থেকে গেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। ১৬০-৯ এই শেষ হয়ে যায় কলকাতার ইনিংস। ব্যৈটের পর বল হাতেও সফল রশিদ। নিলেন তিনটি উইকেট। দুটো করে উইকেট সিদ্ধার্থ কল ও ব্রেথওয়েটের। একটি উইকেট সাকিবের। ম্যাচের সেরা হয়েছেন রশিদ।